নান্দনিক আবৃত্তির নির্মাণশৈলী

প্রাচীনকাল থেকে আবৃত্তি শিল্প হিসেবে স্বয়ম্ভ। বর্তমানে এই শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। কবির মূক কথাকে মুখরিত করে তােলে আবৃত্তিশিল্পী। ছাপার অক্ষরকে কণ্ঠ লাবণ্যে স্নিগ্ধ করে উপস্থাপন করা যেমন সহজ কাজ নয় তেমনই কঠিন কিছুও নয়। এর জন্য দরকার সাধনা। যার সাধনা যত বেশি তার কণ্ঠে কবিতা ততটা ফুটে ওঠে। এই সাধনার রয়েছে নানা পদ্ধতি। সেই পদ্ধতিগুলাের সমন্বয় সাধন সময়ের দাবি। নান্দনিক আবৃত্তির নির্মাণশৈলী সেই দাবি পূরণ করেছে। এই বিষয়ে বাজারে বহু * বই থাকলেও দীর্ঘদিন আবৃত্তিশিল্পীরা আবৃত্তির একটা পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণের অভাব অনুভব করছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এ বই সেই অভাব অনেকটা দূর করবে। প্রবন্ধগুলাে সব বয়সের মানুষের কথা চিন্তা করে রচিত। তাই জটিল বিষয়গুলােকে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আবৃত্তি বিষয়ে যত বই বের হয়েছে সব বইয়ের নির্যাস নান্দনিক আবৃত্তির নির্মাণশৈলীতে পাওয়া যাবে। এর বাইরেও গবেষকের নিজস্ব চিন্তনশৈলী পাঠকের মননকে ঋদ্ধ। করবে। এটি আবৃত্তিশিল্পের বিকাশে একটি সমৃদ্ধ। সংযােজন। বইটি মনােযােগ দিয়ে পড়লে এবং সে অনুসারে কাজ করলে একজন ব্যক্তি নিজস্ব প্রচেষ্টায়। আবৃত্তিশিল্পী হয়ে উঠতে পারবে। সংবাদ পাঠ এবং উপস্থাপনা শিল্পের জন্যও বইটি ব্যাপক উপযােগী। এছাড়াও অপরের কাছে নিজেকে বাচনিক নন্দনে নান্দনিকভাবে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা মানুষের স্বভাবজাত। বিবর্তনের ধারায় এ প্রচেষ্টা এখন। মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকাশের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। মানুষ নিজেকে উপস্থাপনের জন্য কণ্ঠকে পুষ্ট করার চেষ্টা করছে। যারা কণ্ঠকে ভরাট ও পুষ্ট করে কণ্ঠে শ্ৰী ফুটিয়ে তুলতে চায় তাদের কাছে এ বই মাইলফলক হয়ে উঠবে।