Skip to Content
মুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে : খণ্ড ১ ও ২

Price:

1,000.00 ৳


Atomic Habits by James Clear
Atomic Habits by James Clear
1,798.00 ৳
1,798.00 ৳
Sapiens : A Brief History of Humankind (HB)
Sapiens : A Brief History of Humankind (HB)
2,600.00 ৳
2,600.00 ৳

মুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে : খণ্ড ১ ও ২

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/3067/image_1920?unique=cfa0c57

1,000.00 ৳ 1000.0 BDT 1,000.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

আজকের পৃথিবীতে দেড়শ কোটি মুসলমানের বসবাস, একশব্দে যাদের পরিচয় মুসলিমজাতি। চৌদ্দশ বছর পূর্বে বিদ্যমান জাতিসত্তার তালিকায় যোগ হয়েছিল এই জাতিসত্তার নাম। সেদিন আকাশ-বাতাস, উদয়াচল-অস্তাচল, ঊর্ধ্বগগণ-ধরণিতল সবকিছু আলোড়িত হয়েছিল। কারণ, দিনটি কেবল একটি জাতিসত্তার জন্মদিন ছিল না, ছিল নতুন পৃথিবীর জন্মদিবস! মুসলিম জাতিসত্তার উৎপত্তি ও বিকাশ নিত্যদিনের গতানুগতিক কোনো ঘটনা ছিল না। ইসলামি সভ্যতার কীর্তি ও অবদান কেবল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সীমাবদ্ধ ছিল না। মুহাম্মাদি সংস্কৃতির দান ও কল্যাণ শুধু মুসলিম সমাজে প্রবহমান ছিল না। ইসলাম ও মুসলিমজাতি, ইসলামি সভ্যতা ও মুহাম্মাদি সংস্কৃতি মানবজাতির জন্য আল্লাহ তাআলার এক অনুপম দান, বিশ্বসমাজের জন্য এক অনুকরণীয় আদর্শ। স্রষ্টা-সৃষ্টি সম্পর্কের সুষম ভারসাম্যের পরিচয় ও রূপ পৃথিবীতে ইসলামই তুলে ধরেছে। মানবিক সম্পর্কের ন্যায় ও উদার কাঠামো জগতে মুসলিমজাতিই প্রতিষ্ঠা করেছে। মানবকল্যাণে যা-কিছু প্রয়োজন, ইসলামি সভ্যতাই তার সবকিছু আবিষ্কার ও উৎপাদন করেছে। আদর্শ মানবসমাজ বিনির্মাণে যত উপায়-উপকরণ প্রয়োজন, মুহাম্মাদি সংস্কৃতিই তার দাবি মিটিয়েছে। আর তাই এ দাবিতে মোটেও অত্যুক্তি নেই যে, ইসলামই অন্ধকার পৃথিবীকে আলোর দিশা দিয়েছে, মুসলিমজাতিই বিভ্রান্ত মানবসভ্যতাকে পথের দিশা দিয়েছে, ইসলামি সভ্যতাই বিষণ্ন মানবতার মুখে নির্মল হাসি ফুটিয়েছে এবং মুহাম্মাদি সংস্কৃতিই মশাল হাতে গৌরবময় আগামীর পথ দেখিয়েছে। হায়, মুসলিমজাতি কি জানে আপন অতীতের কথা, সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে তার অনুপম অবদানের কথা?! সুন্দর পৃথিবী নির্মাণে তার সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা?! দেড়শ কোটির এই পরিবার কি জানে, একদিন তারা কেবল বিশ্ব শাসন করেনি, সমাজ ও সভ্যতার প্রতিটি অঙ্গনের তৃষ্ণাও নিবারণ করেছিল। একদিন তারা কেবল ইবাদতের ইমামতি করেনি, জ্ঞানবিজ্ঞান, শিল্প-সংস্কৃতি, চিকিৎসা-দর্শন, স্থাপত্য-নগরায়ণ, রসায়ন-প্রকৌশল—কল্যাণকর প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছিল। হায়, অমুসলিম জাতিসংঘ কি জানে মুসলিমজাতির পরিচয়?! অন্ধকারে কে তাদের হাত ধরেছিল? তৃষ্ণার্ত সন্ধ্যায় কে তাদের ঠোঁটে অমীয় সুধা তুলে ধরেছিল?! কে দিয়েছিল সত্য ও সফলতার সন্ধান?! কে শুনিয়েছিল সাম্য ও সুদিনের জয়গান?! রাহবার কি জানে আত্মপরিচয়?! পথহারা কি জানে রাহবারের পরিচয়?! --------- ড. রাগিব সারজানি। একজন দরদি দাঈ, একজন কুশলী ইতিহাসবিদ। আলোচনার ময়দানে ও বইয়ের পাতায় তিনি তুলে ধরেন মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস ও অবদান, করণীয় ও প্রয়োজন। তিনি সমৃদ্ধ অতীতের গল্প শোনান, সমুজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনেন। তিনি ঘুমন্ত রাহবারকে জাগরণের আহ্বান জানান, দিগ্ভ্রান্ত পথিককে রাহবারের পথ দেখান। নন্দিত ও বরণীয় লেখক ড. রাগিব সারজানির এক অনন্যসাধারণ গ্রন্থ ‘মা-যা কাদ্দামাল মুসলিমুনা লিল-আলাম’। গ্রন্থটিতে তিনি তুলে ধরেছেন পৃথিবী ও মানবজাতির কল্যাণে মুসলিমজাতির উদ্ভাবন ও আবিষ্কার এবং কীর্তি ও অবদানের বয়ান। তথ্য ও যুক্তির মিশেলে তিনি রচনা করেছেন শ্রেষ্ঠতম জাতির নিখুঁত পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য অভিধান। গ্রন্থটিতে আছে ঘুমন্ত রাহবার ও দিকহারা কাফেলা—উভয় শ্রেণির প্রয়োজনীয় তথ্যের চমকপ্রদ বিবরণ। গ্রন্থটি তাই হতে পারে প্রতিটি মুসলমান ও প্রতিটি মানবসন্তানের অধ্যয়ন-তালিকায় অমূল্য সংযোজন। গ্রন্থটি ২০০৯ সালে মিশরের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার ‘মুবারক অ্যাওয়ার্ড’ এবং ২০১৪ সালে ইন্দোনেশিয়ায় সে দেশের ভাষায় অনূদিত ‘শ্রেষ্ঠ বই’ পুরস্কারে ভূষিত হয়। ড. রাগিব সারজানির এ গ্রন্থটি ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার পাশাপাশি পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, ইন্দোনেশীয়, মান্দারিন ও রুশ ভাষায় অনূদিত ও বেশ সমাদৃত হয়েছে।

Title

মুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে : খণ্ড ১ ও ২

Publisher

Maktabatul Hasan

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Religion
  • আজকের পৃথিবীতে দেড়শ কোটি মুসলমানের বসবাস, একশব্দে যাদের পরিচয় মুসলিমজাতি। চৌদ্দশ বছর পূর্বে বিদ্যমান জাতিসত্তার তালিকায় যোগ হয়েছিল এই জাতিসত্তার নাম। সেদিন আকাশ-বাতাস, উদয়াচল-অস্তাচল, ঊর্ধ্বগগণ-ধরণিতল সবকিছু আলোড়িত হয়েছিল। কারণ, দিনটি কেবল একটি জাতিসত্তার জন্মদিন ছিল না, ছিল নতুন পৃথিবীর জন্মদিবস! মুসলিম জাতিসত্তার উৎপত্তি ও বিকাশ নিত্যদিনের গতানুগতিক কোনো ঘটনা ছিল না। ইসলামি সভ্যতার কীর্তি ও অবদান কেবল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সীমাবদ্ধ ছিল না। মুহাম্মাদি সংস্কৃতির দান ও কল্যাণ শুধু মুসলিম সমাজে প্রবহমান ছিল না। ইসলাম ও মুসলিমজাতি, ইসলামি সভ্যতা ও মুহাম্মাদি সংস্কৃতি মানবজাতির জন্য আল্লাহ তাআলার এক অনুপম দান, বিশ্বসমাজের জন্য এক অনুকরণীয় আদর্শ। স্রষ্টা-সৃষ্টি সম্পর্কের সুষম ভারসাম্যের পরিচয় ও রূপ পৃথিবীতে ইসলামই তুলে ধরেছে। মানবিক সম্পর্কের ন্যায় ও উদার কাঠামো জগতে মুসলিমজাতিই প্রতিষ্ঠা করেছে। মানবকল্যাণে যা-কিছু প্রয়োজন, ইসলামি সভ্যতাই তার সবকিছু আবিষ্কার ও উৎপাদন করেছে। আদর্শ মানবসমাজ বিনির্মাণে যত উপায়-উপকরণ প্রয়োজন, মুহাম্মাদি সংস্কৃতিই তার দাবি মিটিয়েছে। আর তাই এ দাবিতে মোটেও অত্যুক্তি নেই যে, ইসলামই অন্ধকার পৃথিবীকে আলোর দিশা দিয়েছে, মুসলিমজাতিই বিভ্রান্ত মানবসভ্যতাকে পথের দিশা দিয়েছে, ইসলামি সভ্যতাই বিষণ্ন মানবতার মুখে নির্মল হাসি ফুটিয়েছে এবং মুহাম্মাদি সংস্কৃতিই মশাল হাতে গৌরবময় আগামীর পথ দেখিয়েছে। হায়, মুসলিমজাতি কি জানে আপন অতীতের কথা, সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে তার অনুপম অবদানের কথা?! সুন্দর পৃথিবী নির্মাণে তার সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা?! দেড়শ কোটির এই পরিবার কি জানে, একদিন তারা কেবল বিশ্ব শাসন করেনি, সমাজ ও সভ্যতার প্রতিটি অঙ্গনের তৃষ্ণাও নিবারণ করেছিল। একদিন তারা কেবল ইবাদতের ইমামতি করেনি, জ্ঞানবিজ্ঞান, শিল্প-সংস্কৃতি, চিকিৎসা-দর্শন, স্থাপত্য-নগরায়ণ, রসায়ন-প্রকৌশল—কল্যাণকর প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছিল। হায়, অমুসলিম জাতিসংঘ কি জানে মুসলিমজাতির পরিচয়?! অন্ধকারে কে তাদের হাত ধরেছিল? তৃষ্ণার্ত সন্ধ্যায় কে তাদের ঠোঁটে অমীয় সুধা তুলে ধরেছিল?! কে দিয়েছিল সত্য ও সফলতার সন্ধান?! কে শুনিয়েছিল সাম্য ও সুদিনের জয়গান?! রাহবার কি জানে আত্মপরিচয়?! পথহারা কি জানে রাহবারের পরিচয়?! --------- ড. রাগিব সারজানি। একজন দরদি দাঈ, একজন কুশলী ইতিহাসবিদ। আলোচনার ময়দানে ও বইয়ের পাতায় তিনি তুলে ধরেন মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস ও অবদান, করণীয় ও প্রয়োজন। তিনি সমৃদ্ধ অতীতের গল্প শোনান, সমুজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনেন। তিনি ঘুমন্ত রাহবারকে জাগরণের আহ্বান জানান, দিগ্ভ্রান্ত পথিককে রাহবারের পথ দেখান। নন্দিত ও বরণীয় লেখক ড. রাগিব সারজানির এক অনন্যসাধারণ গ্রন্থ ‘মা-যা কাদ্দামাল মুসলিমুনা লিল-আলাম’। গ্রন্থটিতে তিনি তুলে ধরেছেন পৃথিবী ও মানবজাতির কল্যাণে মুসলিমজাতির উদ্ভাবন ও আবিষ্কার এবং কীর্তি ও অবদানের বয়ান। তথ্য ও যুক্তির মিশেলে তিনি রচনা করেছেন শ্রেষ্ঠতম জাতির নিখুঁত পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য অভিধান। গ্রন্থটিতে আছে ঘুমন্ত রাহবার ও দিকহারা কাফেলা—উভয় শ্রেণির প্রয়োজনীয় তথ্যের চমকপ্রদ বিবরণ। গ্রন্থটি তাই হতে পারে প্রতিটি মুসলমান ও প্রতিটি মানবসন্তানের অধ্যয়ন-তালিকায় অমূল্য সংযোজন। গ্রন্থটি ২০০৯ সালে মিশরের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার ‘মুবারক অ্যাওয়ার্ড’ এবং ২০১৪ সালে ইন্দোনেশিয়ায় সে দেশের ভাষায় অনূদিত ‘শ্রেষ্ঠ বই’ পুরস্কারে ভূষিত হয়। ড. রাগিব সারজানির এ গ্রন্থটি ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার পাশাপাশি পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, ইন্দোনেশীয়, মান্দারিন ও রুশ ভাষায় অনূদিত ও বেশ সমাদৃত হয়েছে।
    No Specifications