Skip to Content
মুসলিম সাহিত্য সমাজ: সভার সংক্ষিপ্ত কার্যবিবরণী ১৯২৬-১৯৩৮

Price:

2,246.25 ৳


The Power of Positive Thinking
The Power of Positive Thinking
405.00 ৳
405.00 ৳

মুসলিম সাহিত্য সমাজ: সভার সংক্ষিপ্ত কার্যবিবরণী ১৯২৬-১৯৩৮

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/20/image_1920?unique=824f4f9

2,246.25 ৳ 2246.25 BDT 2,246.25 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

Terms and Conditions
Multiple Payment Methods:
Credit/Debit card, bKash, Rocket, Nagad, Cash on Delivery is also available

7 Days Happy Return Change of mind is not applicable

Delivery Charge
Inside Dhaka City Tk. 50
Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh) Tk. 100

উনিশ-বিশ শতকে বাঙালি মুসলমানের জাগরণে সভা-সমিতির একটি বিশেষ ভূমিকা ছিল। সংস্কার ও রক্ষণশীলতা, অশিক্ষা ও গোঁড়ামির বলয় থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে বাঙালি মুসলমানকে দিশা দিয়েছিল এই সামাজিক-সাংস্কৃতিক-ধর্মীয় সংগঠনগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯২৬-এর একেবারে গোড়ার দিকে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মুসলিম সাহিত্য সমাজ। ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’ - এই বীজমন্ত্র নিয়ে সাহিত্য সমাজের যাত্রা হয়েছিল শুরু। বারো বছর আয়ুষ্কালের এই সংগঠনটির বার্ষিক মুখপত্রের নাম ছিল শিখা। সংগঠনের নামের আগে ‘মুসলিম’ শব্দটি থাকলেও এখানে সাম্প্রদায়িক বিভাজন ছিল না-হিন্দু-মুসলমান উভয়েই এখানে স্বচ্ছন্দে অংশ নিয়েছেন। উদার মুক্তচিন্তার সঙ্গে সম্প্রদায়-সম্প্রীতির একটি আবহও গড়ে উঠেছিল সংগঠনের কর্মকান্ডে। এই মুসলিম সাহিত্য সমাজের সভার বিবরণ একটি বাঁধানো খাতায় লিখে রাখা হতো। মুসলিম সাহিত্য সমাজের সাধারণ ও বার্ষিক অধিবেশনের কার্যবিবরণী এই সংগঠনের কর্মকা-ের মূল্যবান ও প্রামাণ্য উপকরণ। সাহিত্য সমাজের এই কার্যবিবরণী মূলত সংগঠনের নির্বাচিত বা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকই গুছিয়ে লিখে রাখতেন। যতদিন সমিতির কার্যক্রম চলেছিল, সেই বারো বছরের সভার বিবরণী-খাতা একসময় কাজী আবদুল ওদুদের কাছ থেকে তাঁর জামাতা, ওই সমাজেরই একজন সক্রিয় সদস্য, শামসুল হুদার হাতে আসে। দীর্ঘকাল অযত্নে পড়ে-থাকায় পোকায় কাটা বিবরণীর জীর্ণ খাতাটির বাঁধাই খুলে গিয়ে অবিন্যস্ত হয়ে পড়ে -পৃষ্ঠাও হয়ে ওঠে বিবর্ণ ও নরম। হয়তো আর কিছুকাল পরে এই মূল্যবান সাংস্কৃতিক উপকরণটির কোনো অস্তিত্বই বজায় থাকতো না। সেই বিবেচনায় ড. আবুল আহসান চৌধুরীর উদ্যোগে এই খাতাটির প্রতিলিপি সংস্করণ (ঋধপংরসরষব ঊফরঃরড়হ) পাঠক সমাবেশের সৌজন্যে প্রকাশিত হলো। শিক্ষিত বাঙালি মুসলমানের চেতনায় নাড়া দেওয়ার মতো একটি প্রতিষ্ঠানের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য দলিল প্রকাশের প্রয়োজন ও গুরুত্ব সুধীজন অনুধাবন করলে তা হবে এই কাজের যথাযথ স্বীকৃতি।

Title

মুসলিম সাহিত্য সমাজ: সভার সংক্ষিপ্ত কার্যবিবরণী ১৯২৬-১৯৩৮

Number of Pages

173

Category

  • History
  • First Published

    2015-01-01

    উনিশ-বিশ শতকে বাঙালি মুসলমানের জাগরণে সভা-সমিতির একটি বিশেষ ভূমিকা ছিল। সংস্কার ও রক্ষণশীলতা, অশিক্ষা ও গোঁড়ামির বলয় থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে বাঙালি মুসলমানকে দিশা দিয়েছিল এই সামাজিক-সাংস্কৃতিক-ধর্মীয় সংগঠনগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯২৬-এর একেবারে গোড়ার দিকে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মুসলিম সাহিত্য সমাজ। ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’ - এই বীজমন্ত্র নিয়ে সাহিত্য সমাজের যাত্রা হয়েছিল শুরু। বারো বছর আয়ুষ্কালের এই সংগঠনটির বার্ষিক মুখপত্রের নাম ছিল শিখা। সংগঠনের নামের আগে ‘মুসলিম’ শব্দটি থাকলেও এখানে সাম্প্রদায়িক বিভাজন ছিল না-হিন্দু-মুসলমান উভয়েই এখানে স্বচ্ছন্দে অংশ নিয়েছেন। উদার মুক্তচিন্তার সঙ্গে সম্প্রদায়-সম্প্রীতির একটি আবহও গড়ে উঠেছিল সংগঠনের কর্মকান্ডে। এই মুসলিম সাহিত্য সমাজের সভার বিবরণ একটি বাঁধানো খাতায় লিখে রাখা হতো। মুসলিম সাহিত্য সমাজের সাধারণ ও বার্ষিক অধিবেশনের কার্যবিবরণী এই সংগঠনের কর্মকা-ের মূল্যবান ও প্রামাণ্য উপকরণ। সাহিত্য সমাজের এই কার্যবিবরণী মূলত সংগঠনের নির্বাচিত বা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকই গুছিয়ে লিখে রাখতেন। যতদিন সমিতির কার্যক্রম চলেছিল, সেই বারো বছরের সভার বিবরণী-খাতা একসময় কাজী আবদুল ওদুদের কাছ থেকে তাঁর জামাতা, ওই সমাজেরই একজন সক্রিয় সদস্য, শামসুল হুদার হাতে আসে। দীর্ঘকাল অযত্নে পড়ে-থাকায় পোকায় কাটা বিবরণীর জীর্ণ খাতাটির বাঁধাই খুলে গিয়ে অবিন্যস্ত হয়ে পড়ে -পৃষ্ঠাও হয়ে ওঠে বিবর্ণ ও নরম। হয়তো আর কিছুকাল পরে এই মূল্যবান সাংস্কৃতিক উপকরণটির কোনো অস্তিত্বই বজায় থাকতো না। সেই বিবেচনায় ড. আবুল আহসান চৌধুরীর উদ্যোগে এই খাতাটির প্রতিলিপি সংস্করণ (ঋধপংরসরষব ঊফরঃরড়হ) পাঠক সমাবেশের সৌজন্যে প্রকাশিত হলো। শিক্ষিত বাঙালি মুসলমানের চেতনায় নাড়া দেওয়ার মতো একটি প্রতিষ্ঠানের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য দলিল প্রকাশের প্রয়োজন ও গুরুত্ব সুধীজন অনুধাবন করলে তা হবে এই কাজের যথাযথ স্বীকৃতি।
    No Specifications