রাহে বেলায়াত

রাসূলুল্লাহ -এর সুন্নাত বা রীতি ও পদ্ধতিই আমাদের এ বইয়ের একমাত্র ভিত্তি আমি বেলায়াত, তাযকিয়া, যিক্র ইত্যাদির ফযীলত আলােচনা করেই শেষ করিনি। উপরন্তু সেগুলির ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (*) ও সাহাবীগণের পদ্ধতি বিস্তারিত আলােচনা করতে চেষ্টা করেছি। কারণ এ সকল বিষয় সর্বোত্তমভাবে পালন ও অর্জন। করেছেন রাসূলুল্লাহ () ও তাঁর সাহাবীগণ। তারা কীভাবে, কখন, কী পরিমাণে, কতবার, কী কী বাক্য দ্বারা যিক্র করেছেন তা বিস্তারিতভাবে জানার ও লেখার চেষ্টা করেছি। আমি আমার সাধ্যমত শুধু সহীহ ও হাসান হাদীসের উপর নির্ভর করার চেষ্টা করেছি। আলােচনার মধ্যে কোনাে যয়ীফ হাদীসের প্রসঙ্গত উল্লেখ হলে সে সম্পর্কে স্পষ্ট বলেছি। অনেক সময় যয়ীফ হাদীস শুধু এজন্য উল্লেখ করেছি যে, হাদীসটি আমাদের দেশে প্রচলিত হাদীসটি যে যয়ীফ তা অনেকের অজানা হয়ত কোনাে সুন্নাত-প্রেমিক পাঠক হাদীসটির সনদের দুর্বলতা জানতে পারলে তিনি উপকৃত হবেন। পরে তিনি তার পরিবর্তে সহীহ হাদীসের উপর নির্ভর করবেন অথবা অন্তত হাদীসটির সনদের দুর্বলতা প্রকাশ করে তা বর্ণনা করবেন। সহীহ, যয়ীফ নির্ধারণের ক্ষেত্রে ইজমা বা মুহাদ্দিসগণের সমন্বিত মতের উপর নির্ভর করার চেষ্টা করেছি বিশেষত প্রাচীন ও পরবর্তী ইমামগণের মতের উপর নির্ভর করেছি। যেমন, ইমাম আহমদ, বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনু মাঈন, ইবনু। হিব্বান, ইবনু খুযাইমা, মুনযিরী, হাইসামী, যাহাবী, যাইলায়ী, ইবনু হাজার ও অন্যান্য ইমাম, রাহিমাহুমুল্লাহ এছাড়া বর্তমান যুগের মুহাদ্দিসগণের আলােচনার সাহায্য গ্রহণ করেছি। উলেখ্য যে, হাদীসের সনদের অবস্থা, অর্থাৎ তা সহীহ, হাসান বা যয়ীফ কোন পর্যায়ের তা আমি কখনাে মূল বইয়ে হাদীসের পরেই উল্লেখ করেছি। কখনাে পাদটীকায় উল্লেখ করেছি। পাঠককে বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রাখতে অনুরােধ করছি হাদীসের পাদটীকায় এক বা একাধিক গ্রন্থের উল্লেখ করেছি, যে সকল গ্রন্থে হাদীসটি সংকলিত বা আলােচিত হয়েছে। হাদীসের সুত্রের সুবিধার জন্য আমি যিগুলিতে নম্বর প্রদান করেছি। ব্যাপক অর্থে দু'আ, মুনাজাত, ইসতিগফার ইত্যাদি সবই যিক্র এজন্য আমি সবগুলিকেই যি হিসেবে নম্মর প্রদান করেছি।