ভাষার ভিতরে ভাষা

এ সেই বই যা একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে ছাড়া যায়না। একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানীর ভিতরে কি রকম অদ্ভুত রসিকতাপূর্ণ চমকপ্রদ বাক্য ও হাস্যরসাত্মক শব্দ লুক্কায়িত আছে-যা নানা ভাষা থেকে বিশেষ করে আরবী, ফার্সি, উর্দু, হিন্দি ও সংস্কৃত হতে এসে অনায়াসেই ঢুকে পড়ে বাংলা ভাষায় পরিণত হয়েছে এবং এই ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে। যে শব্দগুলাে বাদ দিলে আমরা কোন দরকারী কথা ও কাজ সম্পন্ন করতে পারবাে এ কথার প্রমাণ পেতে বইটি পড়লেই বুঝতে পারবেন। কেন বলছি- বইটি পড়ে আমি নিজেও হেসেছি, পাঠকরাও হাসবেন বলে আমার বিশ্বাস। কিন্তু এই বইটির মতাে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে স্যারের কোন রচনাই পড়িনি। আমার কাছে বইটি বিশ্বখ্যাত হাসির রাজা মার্ক টোয়েনের রম্যগড়ের মতােই মনে হয়েছে। যেখানে হাসির পাশাপাশি জীবনের নানা ক্ষেত্রে রসিকতার বিভিন্ন বিষয় যুক্ত হয়েছে রান্না ঘর থেকে শুরু করে বাজারের ফর্দ পর্যন্ত বাদ পড়েনি। বইটির শেষ অংশে যুক্ত হয়েছে বিজ্ঞানের নানা বিষয়সমূহ এবং ভাষার অভ্যন্তরীণ পাঠ কিভাবে বিভিন্ন ভাষার শব্দ অন্য ভাষায় ঢুকে সেই ভাষায় পরিণত হয়। তারই চমকপ্রদ বিবরণ আছে বইটিতে। সত্যিই অবাক হয়েছি। একজন পরমাণু বিজ্ঞানীর সাহিত্যের ভাষা কত মজাদার, রম্য ও কৌতূহলে ভরা বইটি পড়লে অবশ্যই ভালাে লাগবে। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।