উচ্চ জীবন (উৎস)

পৃথিবীতে মানুষ আসে সুনির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব পালন করতে। ছােট্ট দুর্ভেদ্য একটা চক্রে বাধা মানুষের। জীবন। একমাত্র মানুষের দ্বারাই ধরণীকে ফুলে-ফলে। গড়ে তােলা সম্ভব। হচ্ছেও তাই-উদ্যমী মানুষই পৃথিবীকে সাজাচ্ছে, রাঙাচ্ছে, গড়ছে, ভাঙছে। জীবনের মহিমান্বিত দিক যেমন আছে, তেমনি আছে নেতিবাচক অবস্থানও। ইতি-নেতি দুটি দিক নিয়েই। মানব জীবন, মানব সম্প্রদায়ের টিকে থাকার নিরন্তর সংগ্রাম। স্বতন্ত্র আঙ্গিকে নানা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে ডা. মােহাম্মদ লুৎফর রহমান মানব জীবনের চিত্র। এঁকেছেন। সাধারণের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি—মহত্ত্ব যেমন আলােচিত হয়েছে, আবার কাম-ক্রোধ-রিপুর প্রতিও দৃষ্টিসম্পাত করেছেন লেখক। জীবনকে। সুশৃঙ্খল ও সঠিক প্রক্রিয়ায় চালিত করতে ধর্মচর্চা অন্যতম নিয়ামক। ধর্মের বিষয়বস্তু আলােচনা করে লেখক বলতে চেয়েছেন যথার্থ একজন ধার্মিকের। জীবন অবশ্যই সুবিন্যস্ত, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যাতৃত কীসে মানুষের কল্যাণ, কীসে অকল্যাণ, কীভাবে শান্তি তথা ভ্রাতৃত্ববােধের অভাবে মানব জীবন নিরাশার অন্ধকারে ঘুরপাক খায়—এমনতর অসংখ্য বিষয়ে আলােকপাত করে লেখক মানুষকে জাগাতে ও বােঝাতে চেয়েছেন। প্রসঙ্গক্রমে নজির টেনেছেন। অসংখ্য মনীষীর জীবন ও কর্মের, দর্শন ও ইতিহাসের নেতিবাচক নজিরও উপস্থাপন করেছেন প্রাসঙ্গিকতা বর্ণনায় লেখকের দিকনির্দেশনা অবলম্বন করলে পার্থিব জীবনে যে কেউই সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হবেনবলার অপেক্ষা রাখে না। মানব জীবনের বিজয় নিশান ওড়াতে বইটি অবশ্যই আলােকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।