গল্পগুচ্ছ প্রভাব ও সংযোগ

গল্প নিয়ে এর আগে লেখা হয়েছে, পরেও লেখা হবে। রচিত হয়েছে পূর্ণাঙ্গ বই, তার সংখ্যাও অনেক। রবীন্দ্রনাথের সার্ধশততম। জন্মবার্ষিকীর মুখে গল্পলেখকদের গল্পগুচ্ছের সম্মুখীন করা হয়েছিল, বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠতম গল্প সংকলনের সামনে দাড়ালে সেই ভাষার লেখক হিসেবে তারা কী অনুভব করেন? একই মাধ্যমে কাজ করতে করতে এই মহত্তম গদ্যগ্রন্থটিকে তারা কীভাবে বুঝে নেন? প্রত্যাশা ছিল, বাংলাভাষার সাম্প্রতিক গল্পকার ঔপন্যাসিক যাদের এক কথায় কথাসাহিত্যিক বলি, তারা লিখুন এই বইটির ভেতরে পরিভ্রমণের কাহিনী! যে-পরিভ্রমণে দুই দিকে চলাচলযোগ্য এমন একটি সেতু রচিত হবে যাতে একই সঙ্গে রবীন্দ্রনাথকে জানানাে হবে শ্রদ্ধা আর জানা হবে, এই সােয়াশ বছর ধরে গল্পগুচ্ছের যে বর্ণমালার মুখােমুখি হই সে-উপলব্ধি কেমন অথবা আমরা কীভাবে মুখােমুখি হয়েছি ও হচ্ছি। তেইশজন কথাসাহিত্যিক লিখেছেন এই সংকনের জুনে। সাজানাে হয়েছে দুটো গুচ্ছে। প্রথম গুচেছ আছে প্রায় ব্যক্তিগত গল্পগুচ্ছের কথা, নিজস্ব প্রভাবের কথা জীবনব্যাপী যে প্রভাব এই লেখকদের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে। সেখানে গল্পগুচ্ছের ব্যক্তিগত এই পাঠের বাইরে। সমালােচক হিসেবে ভিন্ন ভাবনা ও কল্পনার দিকে গেছেন তারা। দ্বিতীয় গুচ্ছে থাকছে গল্পগুচ্ছ নিয়ে ঘাত অভিঘাত লেখক হিসেবে যেভাবে যাত্রাপথের বিভিন্ন বিন্দুতে তাদের সঙ্গে মিলেছে এই বই অথবা এর কোনাে কোনাে গল্প। কেউ নির্দিষ্ট কোনাে গল্প নিয়ে আলােচনা করেছেন, কেউ একাধিক গল্প নিয়ে, কেউ-বা গােটা গল্পগুচ্ছকেই আলােচনার কেন্দ্রে রেখেছেন। দুটো ক্ষেত্রেই একপ্রকার মােকাবিলার ভিতর দিয়ে যেতে হয়েছে তাদের, গেছেনও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অথবা।