Skip to Content
বাংলায় ফারসি ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশের ইতিহাস

Price:

400.00 ৳


চেঙ্গিস খান : সব মানুষের সম্রাট
চেঙ্গিস খান : সব মানুষের সম্রাট
325.00 ৳
325.00 ৳
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের খোঁজে কুড়িগ্রাম
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের খোঁজে কুড়িগ্রাম
325.00 ৳
325.00 ৳

বাংলায় ফারসি ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশের ইতিহাস

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/26617/image_1920?unique=c773b04

400.00 ৳ 400.0 BDT 400.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

ত্রয়ােদশ শতকের গােড়ার দিকে রাজা লক্ষণ সেনের রাজত্বকালে (১২০৪ খ্রিস্টাব্দে) ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি কর্তৃক বাংলা বিজয়ের পর থেকেই এদেশে ফারসি চর্চা ইতিহাসে স্বীকৃত স্থান লাভ করে এবং এতদঞ্চলের লােকজন ফারসি ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে শুরু করে। আরও পরে, সম্রাট আকবরের শাসনামলে (১৫৪২-১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে) বাংলা মােগল শাসকদের অধিকারে আসে এবং ফারসি হয়ে ওঠে এতদঞ্চলসহ সারা ভারতবর্ষের আদালত, প্রশাসন এবং জ্ঞানচর্চার ভাষা। এই সময়ে সম্রাট আকবর ফারসি ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা বা রাজ্য শাসনের ভাষা হিসেবে নির্ধারণ করেন। অপর দিকে, ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে পরাজিত করে ব্রিটিশরা বাংলায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং এই কোম্পানি শাসন ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে এক ফরমানের মাধ্যমে ফারসিকে রাষ্ট্রীয় ভাষা থেকে বিযুক্ত করে ফারসির পরিবর্তে ইংরেজি ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে প্রচলন করে। ১২০৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাসহ সমগ্র ভারতবর্ষের প্রশাসন, রাজকার্য এবং সাহিত্য-সংস্কৃতির ভাষা ছিল ফারসি।। প্রশাসনিক ভাষা থেকে বিযুক্ত হওয়ার পরও অদ্যাবধি এতদঞ্চলে নানাভাবে ফারসি ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশ ও ইরানের সাংস্কৃতিক যােগাযােগ ও সম্পর্ক এতটাই নিবিড় যে, প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিকবুদ্ধিজীবী, কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী-বণিক, শিক্ষক-গবেষক দুই দেশে প্রতি নিয়ত যাতায়াত করছেন এবং দুই দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যেও পারস্পরিক সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান ঘটছে। প্রতি বছরই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসব, চলচ্চিত্র উৎসব, বাণিজ্য মেলা। এসব অনুষ্ঠানাদিতে ইরানি শিল্পী, চলচ্চিত্রকার ও বণিকগণ নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন। বাঙালির রান্নাঘরে ইরানি মেলামাইনের তৈজসপত্র, বসার ঘরে ইরানি কার্পেট, মেয়েদের হিজাবে ইরানি বুরকা, স্কার্ভ, খাবার তালিকায় ফিনি, হালুয়া, পােলাও, কাবাব, বিরিয়ানী, ফালুদা হরহামেশাই চোখে পড়ছে। মােটকথা ব্রিটিশ-পাক শাসনামলে স্লান হয়ে ওঠা বাংলা-ইরান সংস্কৃতিক ঐতিহ্য স্বাধীনতা-উত্তরকালে, বিশেষ করে ইরানের ইসলামি বিপ্লবােত্তরকালে ক্রমান্বয়ে উজ্জ্বলতর হয়ে উঠছে। সূচনাকাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বাংলা অঞ্চলে ফারসি ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির যে বিকাশ ঘটেছে তাই-ই ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতায় এ গ্রন্থে আলােচিত হয়েছে।

Title

বাংলায় ফারসি ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশের ইতিহাস

Publisher

Rodela Prokashani

Number of Pages

302

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Literary Criticism
  • First Published

    AUG 2017

    ত্রয়ােদশ শতকের গােড়ার দিকে রাজা লক্ষণ সেনের রাজত্বকালে (১২০৪ খ্রিস্টাব্দে) ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি কর্তৃক বাংলা বিজয়ের পর থেকেই এদেশে ফারসি চর্চা ইতিহাসে স্বীকৃত স্থান লাভ করে এবং এতদঞ্চলের লােকজন ফারসি ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে শুরু করে। আরও পরে, সম্রাট আকবরের শাসনামলে (১৫৪২-১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে) বাংলা মােগল শাসকদের অধিকারে আসে এবং ফারসি হয়ে ওঠে এতদঞ্চলসহ সারা ভারতবর্ষের আদালত, প্রশাসন এবং জ্ঞানচর্চার ভাষা। এই সময়ে সম্রাট আকবর ফারসি ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা বা রাজ্য শাসনের ভাষা হিসেবে নির্ধারণ করেন। অপর দিকে, ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে পরাজিত করে ব্রিটিশরা বাংলায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং এই কোম্পানি শাসন ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে এক ফরমানের মাধ্যমে ফারসিকে রাষ্ট্রীয় ভাষা থেকে বিযুক্ত করে ফারসির পরিবর্তে ইংরেজি ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে প্রচলন করে। ১২০৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাসহ সমগ্র ভারতবর্ষের প্রশাসন, রাজকার্য এবং সাহিত্য-সংস্কৃতির ভাষা ছিল ফারসি।। প্রশাসনিক ভাষা থেকে বিযুক্ত হওয়ার পরও অদ্যাবধি এতদঞ্চলে নানাভাবে ফারসি ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশ ও ইরানের সাংস্কৃতিক যােগাযােগ ও সম্পর্ক এতটাই নিবিড় যে, প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিকবুদ্ধিজীবী, কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী-বণিক, শিক্ষক-গবেষক দুই দেশে প্রতি নিয়ত যাতায়াত করছেন এবং দুই দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যেও পারস্পরিক সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান ঘটছে। প্রতি বছরই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসব, চলচ্চিত্র উৎসব, বাণিজ্য মেলা। এসব অনুষ্ঠানাদিতে ইরানি শিল্পী, চলচ্চিত্রকার ও বণিকগণ নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন। বাঙালির রান্নাঘরে ইরানি মেলামাইনের তৈজসপত্র, বসার ঘরে ইরানি কার্পেট, মেয়েদের হিজাবে ইরানি বুরকা, স্কার্ভ, খাবার তালিকায় ফিনি, হালুয়া, পােলাও, কাবাব, বিরিয়ানী, ফালুদা হরহামেশাই চোখে পড়ছে। মােটকথা ব্রিটিশ-পাক শাসনামলে স্লান হয়ে ওঠা বাংলা-ইরান সংস্কৃতিক ঐতিহ্য স্বাধীনতা-উত্তরকালে, বিশেষ করে ইরানের ইসলামি বিপ্লবােত্তরকালে ক্রমান্বয়ে উজ্জ্বলতর হয়ে উঠছে। সূচনাকাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বাংলা অঞ্চলে ফারসি ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির যে বিকাশ ঘটেছে তাই-ই ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতায় এ গ্রন্থে আলােচিত হয়েছে।
    No Specifications