Skip to Content
শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ (বেগম রোকেয়া) (ভাষাপ্রকাশ)

Price:

350.00 ৳


বঙ্গবন্ধুর জীবনকথা (অন্বেষা)
বঙ্গবন্ধুর জীবনকথা (অন্বেষা)
270.00 ৳
270.00 ৳
The Mad Scientists Daughter
The Mad Scientists Daughter
400.00 ৳
400.00 ৳

শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ (বেগম রোকেয়া) (ভাষাপ্রকাশ)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/28719/image_1920?unique=c773b04

350.00 ৳ 350.0 BDT 350.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

উনিশ শতক পর্যন্ত এই উপমহাদেশে নারীদের জন্য অন্ধকার যুগ। সম্রান্ত মুসলিম পরিবারের মেয়েদের ছিল কঠোর পর্দাপ্রথা। গৃহই ছিল তাদের একমাত্র ঠিকানা। বাড়ির বাইরে যাওয়া ছিল প্রায় নিষিদ্ধ। লেখাপড়ার তেমন সুযােগ ছিল না, কেবল নিজ গৃহে বা স্থানী মক্তব পর্যন্ত ছিল গণ্ডি। নারীশিক্ষা, নারী-অধিকারের প্রতিকূল সময়ে নারীজাগরণের অগ্রদূত হিসেবেই হাজির হন। বেগম রােকেয়া। আর দশজন মুসলিম মেয়ের মতাে বেগম রােকেয়াও বেড়ে ওঠেছিলেন, মুসলিম পারিবারিক নিয়মে। কিন্তু অসীম মনােবলসম্পন্ন এই নারী অকালবৈধব্য হয়েও নারীশিক্ষার বিস্তার ও সমাজসেবায়। আত্মনিয়ােগ করেন। মেয়েদের স্কুল তৈরির পাশাপাশি সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিজস্ব মত ব্যক্ত করেন। সমকালীন পত্র-পত্রিকায় তা প্রকাশিত হতে থাকে। একাধারে নারীশিক্ষার পথিকৃৎ, নারীমুক্তি আন্দোলনের পথপ্রদর্শক, সমাজসংস্কারক, লেখক বেগম রােকেয়া এখনাে বেঁচে আছেন নারীমুক্তির আন্দোলন, সংগ্রামে। তিনি আজীবন কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে। সংগ্রাম করেন। আর অন্তরে লালন করেন আধুনিকতা ও প্রগতিশীলতা। এই পরিচয় রয়েছে তার রচনাগুলােতে। তাঁর প্রবন্ধগুলাে আজও নারীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং কর্মক্ষেত্রে অধিকার সংরক্ষণ ও মর্যাদা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

Begum Rokeya

(সাহিত্যসেবী মহলে তিনি বেগম রোকেয়া নামেই সমধিক পরিচিত; ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ - ৯ ডিসেম্বর ১৯৩২) হলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। তাঁকে বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে গণ্য করা হয়। তার প্রকৃত নাম "রোকেয়া খাতুন" এবং বৈবাহিকসূত্রে নাম "বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন"। রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ সালে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার অর্ন্তগত পায়রাবন্দ গ্রামে। তাঁর পিতা জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের সম্ভ্রান্ত ভূস্বামী ছিলেন। তাঁর মাতা রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী। রোকেয়ার দুই বোন করিমুননেসা ও হুমায়রা, আর তিন ভাই যাদের একজন শৈশবে মারা যায়। তিনি একজন অসাধারণ নারী।১৮৯৮ সালে ১৮ বছর বয়সে রোকেয়ার বিয়ে হয় ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সাথে। বিয়ের পর তিনি "বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন" নামে পরিচিত হন। তাঁর স্বামী মুক্তমনের মানুষ ছিলেন, রোকেয়াকে তিনি লেখালেখি করতে উৎসাহ দেন এবং একটি স্কুল তৈরির জন্য অর্থ আলাদা করে রাখেন। রোকেয়া সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ১৯০২ সালে পিপাসা নামে একটি বাংলা গল্প লিখে সাহিত্যজগতে তার অবদান রাখা শুরু হয়। স্কুল পরিচালনা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রোকেয়া নিজেকে সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখেন। ১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম বাঙালি নারীদের সংগঠন আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন সভায় তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন। ১৯২৬ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলার নারী শিক্ষা বিষয়ক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া মৃত্যুবরণ করেন। সেসময় তিনি ‘নারীর অধিকার’ নামে একটি প্রবন্ধ লিখছিলেন। তাঁর কবর উত্তর কলকাতার সোদপুরে অবস্থিত যা পরবর্তীকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক অমলেন্দু দে আবিষ্কার করেন । বাংলাদেশের ৭ম বিভাগ হিসেবে রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে 'রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়' ৮ অক্টোবর ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর ২০০৯ সালে 'নারী জাগরণের অগ্রদূত' হিসেবে তাঁর নামকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়টির বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করেন । উল্লেখ্য , নারীর নামে বাংলাদেশে প্রথম কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এটি।ছাড়াও, মহিয়সী বাঙালি নারী হিসেবে বেগম রোকেয়ার অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসনের জন্য "রোকেয়া হল" নামকরণ করা হয়। রোকেয়ার তাঁর নারীবাদী চিন্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন মতিচূর প্রবন্ধসংগ্রহের প্রথম (১৯০৪) ও দ্বিতীয় খণ্ডে (১৯২২)। সুলতানার স্বপ্ন (১৯০৫), পদ্মরাগ (১৯২৪), অবরোধবাসিনী (১৯৩১) ইত্যাদি তাঁর সৃজনশীল রচনা। তাঁর সুলতানার স্বপ্নকে বিশ্বের নারীবাদী সাহিত্যে একটি মাইলফলক ধরা হয়।

Title

শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ (বেগম রোকেয়া) (ভাষাপ্রকাশ)

Author

Begum Rokeya

Publisher

Bhashaprokash

Number of Pages

303

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Essays
  • First Published

    JUN 2022

    উনিশ শতক পর্যন্ত এই উপমহাদেশে নারীদের জন্য অন্ধকার যুগ। সম্রান্ত মুসলিম পরিবারের মেয়েদের ছিল কঠোর পর্দাপ্রথা। গৃহই ছিল তাদের একমাত্র ঠিকানা। বাড়ির বাইরে যাওয়া ছিল প্রায় নিষিদ্ধ। লেখাপড়ার তেমন সুযােগ ছিল না, কেবল নিজ গৃহে বা স্থানী মক্তব পর্যন্ত ছিল গণ্ডি। নারীশিক্ষা, নারী-অধিকারের প্রতিকূল সময়ে নারীজাগরণের অগ্রদূত হিসেবেই হাজির হন। বেগম রােকেয়া। আর দশজন মুসলিম মেয়ের মতাে বেগম রােকেয়াও বেড়ে ওঠেছিলেন, মুসলিম পারিবারিক নিয়মে। কিন্তু অসীম মনােবলসম্পন্ন এই নারী অকালবৈধব্য হয়েও নারীশিক্ষার বিস্তার ও সমাজসেবায়। আত্মনিয়ােগ করেন। মেয়েদের স্কুল তৈরির পাশাপাশি সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিজস্ব মত ব্যক্ত করেন। সমকালীন পত্র-পত্রিকায় তা প্রকাশিত হতে থাকে। একাধারে নারীশিক্ষার পথিকৃৎ, নারীমুক্তি আন্দোলনের পথপ্রদর্শক, সমাজসংস্কারক, লেখক বেগম রােকেয়া এখনাে বেঁচে আছেন নারীমুক্তির আন্দোলন, সংগ্রামে। তিনি আজীবন কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে। সংগ্রাম করেন। আর অন্তরে লালন করেন আধুনিকতা ও প্রগতিশীলতা। এই পরিচয় রয়েছে তার রচনাগুলােতে। তাঁর প্রবন্ধগুলাে আজও নারীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং কর্মক্ষেত্রে অধিকার সংরক্ষণ ও মর্যাদা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
    No Specifications