বাংলাদেশ একুশ শতকের পররাষ্ট্রনীতি : উন্নয়ন ও নেতৃত্ব

স্বাধীনতা কেবল অর্জনই নয়, স্বাধীন বাংলাদেশ কীভাবে যাত্রা করবে, বহির্বিশ্বের সঙ্গে এর সম্পর্ক কী হবে, রাজনৈতিক জীবনপ্রবাহের নানা ঘটনা থেকে অভিজ্ঞতা আর ভবিষ্যৎ দূরদর্শিতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘােষণা করলেন স্বাধীন দেশের পররাষ্ট্রনীতি। এতে প্রাধান্য পেল বঙ্গবন্ধুর অহিংস, মানবপ্রেমী, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আর শান্তিপ্রিয় নীতি, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারাে সাথে। বৈরিতা নয়। এ নীতিতে ভর করে বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির কোনাে জোট নয়, বাংলাদেশ হবে শান্তিপূর্ণ দেশ, হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড। মানবতাই সবার উর্ধ্বে-তেমনি এক আলােকিত পরিমণ্ডল থেকে উঠে এসেছেন শেখ হাসিনা। দেশে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসাশিক্ষাসহ সকল মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। অবিচল থেকে তিনি কাজ করে চলেছেন নিরন্তর। যাতে প্রাধান্য পেয়েছে বিশ্ব শান্তি ও মানবিকতার দিকটাও। তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘে অনেকগুলাে প্রস্তাব আনে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানবকল্যাণ, টেকসই উন্নয়ন এবং সকল জাতিসত্তার অব্যাহত উন্নয়ন ও মুক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ধৈর্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে। গিয়েছেন। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মােমেনের। মতে, দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হলাে মানবসম্পদ ও পানিসম্পদ। এ সম্পদের যথােপযুক্ত ব্যবহার করতে না পারলে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এ দুটি সম্পদ যথাযথভাবে কাজে লাগানাে এবং | প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আমাদের স্বপ্ন ‘সােনার। বাংলা অর্জনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুটি প্যাকেজ পলিসি চালু করেছে। এগুলাে হচ্ছে অর্থনৈতিক কূটনীতি (Economic Diplomacy) ও জনকূটনীতি (Public Diplomacy)। একুশ শতকের পররাষ্ট্রনীতি বইটিতে বিষয়গুলাে। যথাযথভাবে ফুটে উঠেছে।