Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)
Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)
Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)
International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.
3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable
Multiple Payment Methods
Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available.
বিশ্বসাহিত্যাঙ্গনে বাঙালির এক উদ্ধত অহংকারের নাম ‘বাউলগান'। কারণ, এখন একমাত্র বাংলাসাহিত্যেরই রয়েছে অন্যকোনও সাহিত্যের নেই। বাংলার সোঁদামাটি থেকে এর উদ্ভব, বাংলার জমিনে এর বিস্তার-বিচরণ, বাঙালির গভীর জীবনদর্শন থেকে এর উৎসারণ এবং বাঙালি-মননে এর লালন। তাই বাউলগান একান্তই বাঙালির নিজস্ব সম্পদ।
বাউলগানের উদ্ভব কখন, কোথায়, কার হাতে-এ নিয়ে পণ্ডিতেরা বহুধা বিভক্ত। এ গানের দুটো প্রধানধারা প্রবহমান। একটি কুষ্টিয়ার লালন ফকিরের অনুসারী, অনুগামীধারা অন্যটি নেত্রকোণার বাউলগুরু ওস্তাদ রশিদ উদ্দিনের হাতে জন্ম নেয়া ‘মালজোড়া বাউলগান'-এর ধারা। লালনের হাতে পূর্ণতা পাওয়া ধারাটির প্রবর্তক লালন নন, কেউ বলেন মাধব বিবি, কেউ বলেন আউলচাদ এ ধারার প্রবর্তক। চৈতন্যদেবের জন্মের বহু আগে থেকেই বাউলগানের অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও কেউ কেউ চৈতন্যদেবকে ‘আদিবাউল' হিসেবে ঠাওরান। বাউলগানের এতদিনের প্রচলিতধারার অচলায়তন ভেঙ্গে নতুনধারার উৎসমুখ খোলে দেন ওস্তাদ রশিদ উদ্দিন। আর তাঁর এবং তাঁর শিষ্যদের হাতেই এ ধারাটি পূর্ণতা পায়। তবে অযোগ্য উত্তরসূরিদের হাতে এবং তস্করদের দৌরাত্ম্যে রশিদ উদ্দিনের সৃষ্টিসম্ভার নিরাপদ ও অটুট থাকেনি-অধিকাংশই হারিয়ে গেছে। যে নগণ্য অংশ কোনোক্রমে টিকে ছিল তা-ও ছিল হাজারো ভুল-ভ্রান্তিতে আকীর্ণ। বহুমাত্রিক সাহিত্যব্যক্তিত্ব অধ্যাপক গাজি আব্দুল আউয়াল সবুজ তাঁর একনিষ্ঠ গবেষণা ও প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় রশিদ উদ্দিনের সৃষ্টিকর্মকে ভুল-ভ্রান্তির অনেকটাই রাহুমুক্ত করেছেন; বেশ ক'টি হারিয়ে যাওয়া গানকে মাঠ-ঘাট চষে মানুষের কণ্ঠ থেকে উদ্ধার করে মলাটবন্দি করে একটা গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের সাহিত্যাঙ্গনে-বিশেষ করে বাউলসাহিত্যের ইতিহাসে ‘বাউলগুরু রশিদ উদ্দিন এক হরিলুটের মাল' বইটি এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলে বিবেচিত হবে।\
বিশ্বসাহিত্যাঙ্গনে বাঙালির এক উদ্ধত অহংকারের নাম ‘বাউলগান'। কারণ, এখন একমাত্র বাংলাসাহিত্যেরই রয়েছে অন্যকোনও সাহিত্যের নেই। বাংলার সোঁদামাটি থেকে এর উদ্ভব, বাংলার জমিনে এর বিস্তার-বিচরণ, বাঙালির গভীর জীবনদর্শন থেকে এর উৎসারণ এবং বাঙালি-মননে এর লালন। তাই বাউলগান একান্তই বাঙালির নিজস্ব সম্পদ।
বাউলগানের উদ্ভব কখন, কোথায়, কার হাতে-এ নিয়ে পণ্ডিতেরা বহুধা বিভক্ত। এ গানের দুটো প্রধানধারা প্রবহমান। একটি কুষ্টিয়ার লালন ফকিরের অনুসারী, অনুগামীধারা অন্যটি নেত্রকোণার বাউলগুরু ওস্তাদ রশিদ উদ্দিনের হাতে জন্ম নেয়া ‘মালজোড়া বাউলগান'-এর ধারা। লালনের হাতে পূর্ণতা পাওয়া ধারাটির প্রবর্তক লালন নন, কেউ বলেন মাধব বিবি, কেউ বলেন আউলচাদ এ ধারার প্রবর্তক। চৈতন্যদেবের জন্মের বহু আগে থেকেই বাউলগানের অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও কেউ কেউ চৈতন্যদেবকে ‘আদিবাউল' হিসেবে ঠাওরান। বাউলগানের এতদিনের প্রচলিতধারার অচলায়তন ভেঙ্গে নতুনধারার উৎসমুখ খোলে দেন ওস্তাদ রশিদ উদ্দিন। আর তাঁর এবং তাঁর শিষ্যদের হাতেই এ ধারাটি পূর্ণতা পায়। তবে অযোগ্য উত্তরসূরিদের হাতে এবং তস্করদের দৌরাত্ম্যে রশিদ উদ্দিনের সৃষ্টিসম্ভার নিরাপদ ও অটুট থাকেনি-অধিকাংশই হারিয়ে গেছে। যে নগণ্য অংশ কোনোক্রমে টিকে ছিল তা-ও ছিল হাজারো ভুল-ভ্রান্তিতে আকীর্ণ। বহুমাত্রিক সাহিত্যব্যক্তিত্ব অধ্যাপক গাজি আব্দুল আউয়াল সবুজ তাঁর একনিষ্ঠ গবেষণা ও প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় রশিদ উদ্দিনের সৃষ্টিকর্মকে ভুল-ভ্রান্তির অনেকটাই রাহুমুক্ত করেছেন; বেশ ক'টি হারিয়ে যাওয়া গানকে মাঠ-ঘাট চষে মানুষের কণ্ঠ থেকে উদ্ধার করে মলাটবন্দি করে একটা গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের সাহিত্যাঙ্গনে-বিশেষ করে বাউলসাহিত্যের ইতিহাসে ‘বাউলগুরু রশিদ উদ্দিন এক হরিলুটের মাল' বইটি এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলে বিবেচিত হবে।\
No Specifications