মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসচর্চা : টাঙ্গাইল জেলা

এলকাল যাবৎ বাঙালি কখনও সংগ্রাম করেছে বহিঃশত্রুর বিরুদ্ধে, কখনও সংগ্রাম করেছে। এলশর বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই অনন্ত সংগ্রামেরই সৃষ্টি। সংগ্রামী মন-কেও তিনি ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়েছেন স্বাধীনতার পথে, নতুন সত্তার সন্ধানে। তাঁর মন নেই সংঘটিত হয় মুক্তিযুদ্ধ। ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বহু কাঙ্ক্ষিত অবনত, পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান লাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ। ইহস সত্যাশ্রয়ী। যথার্থ ইতিহাস সাহসী যৌবনের মতাে অকুতােভয়। স্বাধীনতার চার যুগ আজও মুক্তিযুদ্ধের যথার্থ ইতিহাসের জন্য বাঙালি আজও অপেক্ষমান। সার্বিক বিচারে মুক্তিযুদ্ধ লি ইবুদ্ধ। কাজেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কোনাে সরলরৈখিক ইতিহাস হতে পারে না। কারণ কালন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধবিরােধী দালাল, রাজাকার, আলবদর, আলশামস ইত্যাদি মহল সভ হল। একাত্তরে তারা পরাজিত হলেও পঁচাত্তর পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার অংশীদার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলার চেষ্টা = পারেনি, পারবেও না। =ভন্ন রাজনৈতিক ইতিহাস, রণাঙ্গনের ইতিহাস, গণহত্যা, নারী-নির্যাতন, মুক্তিযােদ্ধাদের আজক, কার ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে এবং হচ্ছে। এসব বিষয়ে একশত হত্ত্ব, নিবন্ধ ও গ্রন্থের সংখ্যাও কম নয়। এসবের মধ্যে বেশ কিছু প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও গ্রন্থ হয় এবং নির্মোহভাবে লিখিত। এছাড়া অধিকাংশই একপেশে, চর্বিতচর্বণ কিংবা এর ইতিহাসচর্চা ব্যাপক অর্থে ইতিহাসচর্চারই একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। এ শাখাটি নিয়ে দল বহি তেলে গবেষণা হয়নি। ইতােমধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অনেক তথ্য ও উপাত্ত হারিয়ে গিয়েছে, আছে যা আছে তা-ও সঠিকভাবে সংক্ষরণ করা হচ্ছে না। সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে == নীৰুে সংখ্যা ততই কমে যাচ্ছে। অযত্ন-অবহেলায় মুছে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের