Skip to Content
দি কোড অব হাম্বুরাবী ( সি. এইচ. ডব্লিউ জোনস)

Price:

220.00 ৳


উইংস অব ফায়ার : এ পি জে আবদুল কালাম (অন্যধারা)
উইংস অব ফায়ার : এ পি জে আবদুল কালাম (অন্যধারা)
250.00 ৳
250.00 ৳
বঙ্গবন্ধু সংকলন
বঙ্গবন্ধু সংকলন
250.00 ৳
250.00 ৳

দি কোড অব হাম্বুরাবী ( সি. এইচ. ডব্লিউ জোনস)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/34740/image_1920?unique=20d6fc2

220.00 ৳ 220.0 BDT 220.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন হতেই মানুষকে প্রকৃতির বৈরিতার সাথে সংগ্রাম করে বাঁচার জন্য সমাজবদ্ধ বা জোটবদ্ধ হতে হয়েছে। সমাজবদ্ধ বা জোটবদ্ধ হয়ে বাঁচার জন্য মানুষকে কিছু না কিছু নিয়ম-কানুন, রীতি-নীতি, বিধি-বিধান, সামাজিক প্রথা ও অনুশাসন মানতে হয়েছে। সে বিধি-বিধান ও রীতি-নীতি ও প্রথা যেমনই হোক না কেন । প্রাকৃতিক পরিবেশ, সামাজিক প্রেক্ষাপট ও ভৌগলিক অবস্থান, মানুষের অভ্যাস ও স্বভাব এর উপর ভিত্তি করে এ সব রীতি-নীতি, নিয়ম-কানুনের ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যতা সব সময় সব সমাজ ব্যবস্থাতেই ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ সবের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কল্যাণ ভাবনা, মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করা। এ কল্যাণ ভাবনা গোত্র, সমাজ ও দেশ ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই। সভ্যতার ক্রমোন্নতির সাথে সাথে নিয়ম-কানুন, রীতি-নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের উপর বিভিন্ন দেশ ও সমাজ গুরুত্ব দিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা নিয়ম-কানুনকে লিখিতরূপে প্রকাশে উদ্যোগী হয়েছে। খ্রিষ্টের জন্মের হাজার হাজার বছর পূর্ব হতেই মানুষ তা করেছে। ব্যবিলনের রাজা হাম্বুরাবী'র কোড অব ল' এমনি লিখিত কিছু আইন বা বিধি যা সেই সময়ে তো বটেই আজও বহুল আলোচিত ও সমাদৃত। আজও এ আইন নিয়ে দেশে দেশে গবেষণা হয়। দেশ বিদেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কোড অব ল' পড়ানো হয়। বিশেষজ্ঞগণ কোড অব ল' নিয়ে রীতিমত গবেষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ব্যবস্থাপনা চিন্তাধারা বিষয়ক বইতে এ কোড অব ল' এর কোন কোন অংশ পাঠ্য বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়। আমার জানা মতে হাম্বুরাবী'র কোড অব ল' বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা হয়নি। তাই স্বপ্রণোদিত হয়েই হাম্বুরাবি'র কোড অব ল' বাংলা অনুবাদে আত্মনিয়োগ করি। কোন দেশের বা সমাজের আইন, বিধি বা কোড মূলতঃ সেই দেশের বা সমাজের মানুষের বিচার ব্যবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা, জীবনযাত্রার নানা বিষয়ের চিত্র তুলে ধরে। হাম্বুরাবির কোড অব ল'তেও আমরা তার প্রমাণ পাই । এই কোড অব ল' পড়ে সেই সময়ের বিচার ব্যবস্থার নানা চিত্র আমাদের চোখের সামনে বা মানস পটে ভেসে উঠে। সাম্য,বিভেদ-বৈষম ও মানুষে মানুষে মর্যাদাগত পার্থক্যের কারণেও বিচারের ভিন্নতার বর্ণনা পাওয়া যায় প্রতিটি কোড পড়ে। এ কোড অব ল' আমাদেরকে আত্মবিশ্লেষণেরও সুযোগ এনে দেয়। বর্তমান আধুনিক সভ্য সমাজের মানুষের দাবীদার আমরা কতটা মানুষে মানুষে বৈষম্যের অন্ধকার জগৎ হতে বের হতে পেরেছি, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কতটা ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে পেরেছি তা নিয়ে ভাবনার সুযোগ করে দেয়। পৃথিবী অনেক বুড়ো হয়েছে, সভ্যতা অনেক উন্নত হয়েছে, বিজ্ঞানের অনেক অগ্রগতি হয়েছে, মানুষের ক্রমোন্নতি প্রসারিত হয়েছে। কিন্তু পেরেছি কী আমরা আদিম শোষণ ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে সকল মানুষের মুক্তির পক্ষে রাষ্ট্রের আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে? চিন্তাশীল মনে এ প্রশ্ন বার বার ঘুরে ফিরে আসবে হাম্বুরাবি'র কোড অব ল' পড়তে পড়তে। পাঠক একবার ঘুরে আসতে পারেন হাম্বুরাবি'র ব্যবিলন রাজ্যে। এ অভিযাত্রায় আপনাকে স্বাগতম জানাই ।

Title

দি কোড অব হাম্বুরাবী ( সি. এইচ. ডব্লিউ জোনস)

Publisher

Arony Publishers

Number of Pages

80

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Property
  • Law
  • First Published

    JUL 2024

    মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন হতেই মানুষকে প্রকৃতির বৈরিতার সাথে সংগ্রাম করে বাঁচার জন্য সমাজবদ্ধ বা জোটবদ্ধ হতে হয়েছে। সমাজবদ্ধ বা জোটবদ্ধ হয়ে বাঁচার জন্য মানুষকে কিছু না কিছু নিয়ম-কানুন, রীতি-নীতি, বিধি-বিধান, সামাজিক প্রথা ও অনুশাসন মানতে হয়েছে। সে বিধি-বিধান ও রীতি-নীতি ও প্রথা যেমনই হোক না কেন । প্রাকৃতিক পরিবেশ, সামাজিক প্রেক্ষাপট ও ভৌগলিক অবস্থান, মানুষের অভ্যাস ও স্বভাব এর উপর ভিত্তি করে এ সব রীতি-নীতি, নিয়ম-কানুনের ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যতা সব সময় সব সমাজ ব্যবস্থাতেই ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ সবের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কল্যাণ ভাবনা, মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করা। এ কল্যাণ ভাবনা গোত্র, সমাজ ও দেশ ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই। সভ্যতার ক্রমোন্নতির সাথে সাথে নিয়ম-কানুন, রীতি-নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের উপর বিভিন্ন দেশ ও সমাজ গুরুত্ব দিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা নিয়ম-কানুনকে লিখিতরূপে প্রকাশে উদ্যোগী হয়েছে। খ্রিষ্টের জন্মের হাজার হাজার বছর পূর্ব হতেই মানুষ তা করেছে। ব্যবিলনের রাজা হাম্বুরাবী'র কোড অব ল' এমনি লিখিত কিছু আইন বা বিধি যা সেই সময়ে তো বটেই আজও বহুল আলোচিত ও সমাদৃত। আজও এ আইন নিয়ে দেশে দেশে গবেষণা হয়। দেশ বিদেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কোড অব ল' পড়ানো হয়। বিশেষজ্ঞগণ কোড অব ল' নিয়ে রীতিমত গবেষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ব্যবস্থাপনা চিন্তাধারা বিষয়ক বইতে এ কোড অব ল' এর কোন কোন অংশ পাঠ্য বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়। আমার জানা মতে হাম্বুরাবী'র কোড অব ল' বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা হয়নি। তাই স্বপ্রণোদিত হয়েই হাম্বুরাবি'র কোড অব ল' বাংলা অনুবাদে আত্মনিয়োগ করি। কোন দেশের বা সমাজের আইন, বিধি বা কোড মূলতঃ সেই দেশের বা সমাজের মানুষের বিচার ব্যবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা, জীবনযাত্রার নানা বিষয়ের চিত্র তুলে ধরে। হাম্বুরাবির কোড অব ল'তেও আমরা তার প্রমাণ পাই । এই কোড অব ল' পড়ে সেই সময়ের বিচার ব্যবস্থার নানা চিত্র আমাদের চোখের সামনে বা মানস পটে ভেসে উঠে। সাম্য,বিভেদ-বৈষম ও মানুষে মানুষে মর্যাদাগত পার্থক্যের কারণেও বিচারের ভিন্নতার বর্ণনা পাওয়া যায় প্রতিটি কোড পড়ে। এ কোড অব ল' আমাদেরকে আত্মবিশ্লেষণেরও সুযোগ এনে দেয়। বর্তমান আধুনিক সভ্য সমাজের মানুষের দাবীদার আমরা কতটা মানুষে মানুষে বৈষম্যের অন্ধকার জগৎ হতে বের হতে পেরেছি, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কতটা ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে পেরেছি তা নিয়ে ভাবনার সুযোগ করে দেয়। পৃথিবী অনেক বুড়ো হয়েছে, সভ্যতা অনেক উন্নত হয়েছে, বিজ্ঞানের অনেক অগ্রগতি হয়েছে, মানুষের ক্রমোন্নতি প্রসারিত হয়েছে। কিন্তু পেরেছি কী আমরা আদিম শোষণ ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে সকল মানুষের মুক্তির পক্ষে রাষ্ট্রের আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে? চিন্তাশীল মনে এ প্রশ্ন বার বার ঘুরে ফিরে আসবে হাম্বুরাবি'র কোড অব ল' পড়তে পড়তে। পাঠক একবার ঘুরে আসতে পারেন হাম্বুরাবি'র ব্যবিলন রাজ্যে। এ অভিযাত্রায় আপনাকে স্বাগতম জানাই ।
    No Specifications