Skip to Content
শিকড় : জিন, জীবন-ধারা ও ভাষার প্রবাহ: আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রাম

Price:

500.00 ৳


মিনি বিশ্বকোষ পাখি
মিনি বিশ্বকোষ পাখি
750.00 ৳
750.00 ৳
Rowley Jeffersons Awesome Friendly Adventure (PB)
Rowley Jeffersons Awesome Friendly Adventure (PB)
700.00 ৳
700.00 ৳

শিকড় : জিন, জীবন-ধারা ও ভাষার প্রবাহ: আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রাম

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/15829/image_1920?unique=a436325

500.00 ৳ 500.0 BDT 500.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

মানুষের জন্ম আফ্রিকাতে তাকে ‘জ্ঞানী আমরা’ (হোমো সেপিয়েন্স) পর্যায়ে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৫০ লক্ষ বছরের মত। তারপর আরো ৭০ হাজার বছর পরে হয়ে যাবার পর মানুষ আফ্রিকা ছেড়ে বাইরের পৃথিবীতে তার ভাগ্যের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছিল। সেই যাত্রায় আরো বহু বছর পর কোনো এক সময় আমাদের দেশে এসে পৌঁছেছিল। সবার এখন কৌতুহল আমাদের দেশে কখন আসলো।আমাদের জেলায় কখন আসলো? আমাদের গ্রামে কখন আসলো? কী ভাবে আসলো? কোন্ দিক থেকে আসলো? যে পথ অতিক্রম করে আসলো সে পথে আমাদের জন্য কী কী চিহ্ন রেখে আসলো, আমরা কাদের চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছি? নানা প্রসঙ্গে এসব কথা এসে যায় বলে আলতো ভাবে অনেক কথা জানতাম বলে মনে করতাম। কিন্তু ডক্টর ইব্রাহীমের নতুন বই ‘শিকড়’ পড়ার পর প্রথম বুঝতে পারলাম কত কথাই আমার অজানা ছিল (শিকড়, মুহাম্মদ ইব্রাহীম, প্রকাশক অনন্যা)। এরকম বইয়ে কী কী ধরণের খবর আশা করা যেতে পারে একটা ধারণা নিয়েই বইটি পড়া শুরু করেছিলাম। মোটেই বুঝতে পারিনি যে বইটি আমাকে একেবারে মাতিয়ে তুলবে। বইটি কিছুতেই হাত থেকে ছাড়তে পারছিলাম না। ছোটবেলায় রহস্য-উপন্যাস নিয়ে যেরকম মজে যেতাম শিকড় পড়তে গিয়ে আবার সেই আমেজ ফিরে পেলাম। আগ্রহের এমন উত্তেজনা নিয়ে কোনো বই পড়েছি এরকম কোনো ঘটনা গত বহু বছরের মধ্যে ঘটেছে বলে মনে আসছেনা। শিকড় পড়ার সময় কোনো সময় মনে হয়নি আমি কোনো গবেষণামূলক বই পড়ছি। সব সময় মনে হচ্ছিলো আমি দীর্ঘ পথ ধরে আমার পারিবারিক পরিক্রমার কাহিনী পড়ছি। কাহিনী এমন ভাবে জমে উঠতে শুরু করলো যে এক পর্যায়ে উদ্বিগ্ন বোধ করতে আরম্ভ করলাম বইটির পাতা শেষ হয়ে আসছেনা তো। অবশ্যই বইটি এক সময় শেষ হয়েছে, কিন্তু আমি তাকে শেষ হতে দিইনি, আবার পড়া শুরু করেছি। দ্বিতীয় বার পড়তে গিয়ে যেন আরো নতুন স্বাদ পেতে আরম্ভ করলাম। মানুষের অভিবাসন নিয়ে লেখা বই পড়তে গিয়ে কারো চোখে পানি এসে যাবে এরকম কোনোদিন কল্পনা করিনি। কিন্তু এই বই পড়তে গিয়ে চোখের পানি ঠেকাতে পারিনি। লেখক কি শিকড় বইতে নতুন কোনো কথা বলেছেন? হয়তো বলেছেন, হয়তো বলেননি। কিন্তু আমার দিক থেকে নিশ্চিত করে বলতে পারি লেখক আমার ঔৎসুক্যের মাপে খাপে খাপে মিলিয়ে এমন ভাবে লিখেছেন যাতে এই বইতে গভীর ভাবে মগ্ন হয়ে যেতে পারি; এর কোন কথাই আমার কৌতুহলের গন্ডি ছাড়িয়ে যায়নি। এটা একটা বিজ্ঞানভিত্তিক বই, এই বইতে যা আছে তত্ত¡গত ভাবে তার সবকিছুই নানা ভাষার নানা গবেষণামূলক নিবন্ধে নানা ভাষ্যে নিশ্চয়ই গভীর ভাবে আলোচিত হয়েছে। আপনার আমার অত ধৈর্য নেই যে এত সব নিবন্ধের নানা মত-মতান্তর ঘেঁটে আমাদের ঔৎসুক্য মেটাবো। অতসব গবেষণা পত্রে আমরা নিশ্চয়ই হারিয়ে যেতাম। আমাদের আসল ঔৎসুক্যের স্থলটি খুঁজে পেতামনা। ‘শিকড়’ বইয়ের বড় অবদান হলো লেখক সবটা কাজ করে, তার সব স্বাদ অক্ষুন্ন রেখে গল্পটি আমাদের সামনে তুলে দিয়েছেন। বইটি পড়ার সময় তাই বার বার ইচ্ছে করেছে লেখককে কী ভাবে ধন্যবাদ দিই, এই কাজটির জন্য। অন্য পাঠকদের কী মনে হবে জানিনা, আমার ক্ষেত্রে প্রায় প্রতি পৃষ্ঠায় মনে হয়েছে নতুন কিছু শিখলাম। কিছু জিনিস আমার অজানা ছিল বলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়েছে, আবার কিছু জিনিস বিচ্ছিন্ন ভাবে যেন জান্তাম, কিন্তু এই ভাবে তো নয়। সব কিছু যেন সারিবদ্ধ হয়ে চমৎকার কাহিনীতে রূপান্তরিত হয়েছে।

Title

শিকড় : জিন, জীবন-ধারা ও ভাষার প্রবাহ: আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রাম

Publisher

Ananya

Number of Pages

320

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Essays
  • First Published

    FEB 2021

    মানুষের জন্ম আফ্রিকাতে তাকে ‘জ্ঞানী আমরা’ (হোমো সেপিয়েন্স) পর্যায়ে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৫০ লক্ষ বছরের মত। তারপর আরো ৭০ হাজার বছর পরে হয়ে যাবার পর মানুষ আফ্রিকা ছেড়ে বাইরের পৃথিবীতে তার ভাগ্যের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছিল। সেই যাত্রায় আরো বহু বছর পর কোনো এক সময় আমাদের দেশে এসে পৌঁছেছিল। সবার এখন কৌতুহল আমাদের দেশে কখন আসলো।আমাদের জেলায় কখন আসলো? আমাদের গ্রামে কখন আসলো? কী ভাবে আসলো? কোন্ দিক থেকে আসলো? যে পথ অতিক্রম করে আসলো সে পথে আমাদের জন্য কী কী চিহ্ন রেখে আসলো, আমরা কাদের চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছি? নানা প্রসঙ্গে এসব কথা এসে যায় বলে আলতো ভাবে অনেক কথা জানতাম বলে মনে করতাম। কিন্তু ডক্টর ইব্রাহীমের নতুন বই ‘শিকড়’ পড়ার পর প্রথম বুঝতে পারলাম কত কথাই আমার অজানা ছিল (শিকড়, মুহাম্মদ ইব্রাহীম, প্রকাশক অনন্যা)। এরকম বইয়ে কী কী ধরণের খবর আশা করা যেতে পারে একটা ধারণা নিয়েই বইটি পড়া শুরু করেছিলাম। মোটেই বুঝতে পারিনি যে বইটি আমাকে একেবারে মাতিয়ে তুলবে। বইটি কিছুতেই হাত থেকে ছাড়তে পারছিলাম না। ছোটবেলায় রহস্য-উপন্যাস নিয়ে যেরকম মজে যেতাম শিকড় পড়তে গিয়ে আবার সেই আমেজ ফিরে পেলাম। আগ্রহের এমন উত্তেজনা নিয়ে কোনো বই পড়েছি এরকম কোনো ঘটনা গত বহু বছরের মধ্যে ঘটেছে বলে মনে আসছেনা। শিকড় পড়ার সময় কোনো সময় মনে হয়নি আমি কোনো গবেষণামূলক বই পড়ছি। সব সময় মনে হচ্ছিলো আমি দীর্ঘ পথ ধরে আমার পারিবারিক পরিক্রমার কাহিনী পড়ছি। কাহিনী এমন ভাবে জমে উঠতে শুরু করলো যে এক পর্যায়ে উদ্বিগ্ন বোধ করতে আরম্ভ করলাম বইটির পাতা শেষ হয়ে আসছেনা তো। অবশ্যই বইটি এক সময় শেষ হয়েছে, কিন্তু আমি তাকে শেষ হতে দিইনি, আবার পড়া শুরু করেছি। দ্বিতীয় বার পড়তে গিয়ে যেন আরো নতুন স্বাদ পেতে আরম্ভ করলাম। মানুষের অভিবাসন নিয়ে লেখা বই পড়তে গিয়ে কারো চোখে পানি এসে যাবে এরকম কোনোদিন কল্পনা করিনি। কিন্তু এই বই পড়তে গিয়ে চোখের পানি ঠেকাতে পারিনি। লেখক কি শিকড় বইতে নতুন কোনো কথা বলেছেন? হয়তো বলেছেন, হয়তো বলেননি। কিন্তু আমার দিক থেকে নিশ্চিত করে বলতে পারি লেখক আমার ঔৎসুক্যের মাপে খাপে খাপে মিলিয়ে এমন ভাবে লিখেছেন যাতে এই বইতে গভীর ভাবে মগ্ন হয়ে যেতে পারি; এর কোন কথাই আমার কৌতুহলের গন্ডি ছাড়িয়ে যায়নি। এটা একটা বিজ্ঞানভিত্তিক বই, এই বইতে যা আছে তত্ত¡গত ভাবে তার সবকিছুই নানা ভাষার নানা গবেষণামূলক নিবন্ধে নানা ভাষ্যে নিশ্চয়ই গভীর ভাবে আলোচিত হয়েছে। আপনার আমার অত ধৈর্য নেই যে এত সব নিবন্ধের নানা মত-মতান্তর ঘেঁটে আমাদের ঔৎসুক্য মেটাবো। অতসব গবেষণা পত্রে আমরা নিশ্চয়ই হারিয়ে যেতাম। আমাদের আসল ঔৎসুক্যের স্থলটি খুঁজে পেতামনা। ‘শিকড়’ বইয়ের বড় অবদান হলো লেখক সবটা কাজ করে, তার সব স্বাদ অক্ষুন্ন রেখে গল্পটি আমাদের সামনে তুলে দিয়েছেন। বইটি পড়ার সময় তাই বার বার ইচ্ছে করেছে লেখককে কী ভাবে ধন্যবাদ দিই, এই কাজটির জন্য। অন্য পাঠকদের কী মনে হবে জানিনা, আমার ক্ষেত্রে প্রায় প্রতি পৃষ্ঠায় মনে হয়েছে নতুন কিছু শিখলাম। কিছু জিনিস আমার অজানা ছিল বলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়েছে, আবার কিছু জিনিস বিচ্ছিন্ন ভাবে যেন জান্তাম, কিন্তু এই ভাবে তো নয়। সব কিছু যেন সারিবদ্ধ হয়ে চমৎকার কাহিনীতে রূপান্তরিত হয়েছে।
    No Specifications