Skip to Content
ঢাকার নবাব পরিবার ও তৎকালীন ঢাকার সমাজ

Price:

412.50 ৳


The Power of Positive Thinking
The Power of Positive Thinking
405.00 ৳
405.00 ৳

ঢাকার নবাব পরিবার ও তৎকালীন ঢাকার সমাজ

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/522/image_1920?unique=824f4f9

412.50 ৳ 412.5 BDT 412.50 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

Terms and Conditions
Multiple Payment Methods:
Credit/Debit card, bKash, Rocket, Nagad, Cash on Delivery is also available

7 Days Happy Return Change of mind is not applicable

Delivery Charge
Inside Dhaka City Tk. 50
Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh) Tk. 100

ঢাকার ইতিহাসে আমরা দুটো নবাব পরিবারের সন্ধান পাই—একটি মোগল নবাব এবং আরেকটি ব্রিটিশ উপাধিপ্রাপ্ত ঢাকার নবাব। কথিত আছে যে, ঢাকার নবাবেরা ভাগ্যান্বেষণে প্রথমে দিল্লি থেকে সিলেট ও পরে ইউরোপীয়দের সাথে বাণিজ্যসূত্রে ঢাকায় আগমন করেন। ঢাকায় আসার সময় তাদের পারিবারিক উপাধি ছিল ‘খাজা’। পরে ব্রিটিশ সান্নিধ্যে এসে জনহিতকর কাজের জন্য বংশানুক্রমে ‘নবাব’ উপাধিতে ভূষিত হন। ইংরেজদের সান্নিধ্য লাভ তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে। সিপাহিযুদ্ধকালে ইংরেজদের পক্ষ নিয়ে তাদের আস্থায় আসেন এবং পুরো ঊনবিংশ শতকে তাদের সাথে সামাজিক মেলামেশা, বিনোদন ও মিউনিসিপালিটির মাধ্যমে জনহিতকর কার্যে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকার নবাবরা মহা সমারোহে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসবাদি পালন করতেন। মহররম, ঈদ ও জন্মাষ্টমীরও নবাবরা ছিলেন অকৃত্রিম পৃষ্ঠপোষক। উনিশ ও বিশ শতকে ঢাকায় ওয়াটার ওয়ার্কস, পয়ঃপ্রণালি, বিজলিবাতি প্রতিষ্ঠা এবং রাস্তাঘাট নির্মাণে এ পরিবারের অবদান নমস্য। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে সার্বিক উন্নয়নে ইউরোপীয় প্রচেষ্টার সাথে নবাবদের সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ঢাকায় রইস শ্রেণি ও ঢাকাবাসীদের সামাজিক অনুশাসন ও সুশাসনের বিষয়টি বিস্ময়করভাবে সমন্বয় করেছে তাদের ‘পঞ্চায়েত প্রথা’। এ গ্রন্থে বিশ শতকের ঢাকার পঞ্চায়েত প্রথা সম্পর্কে সবিশেষ আলোচনা আছে। উনিশ ও বিশ শতকের ঢাকার রাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে পূর্ব বাংলার দাবি-দাওয়া অগ্রসর করার পেছনে ঢাকার নবাব পরিবার অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে। ঢাকার মোহামেডান এডুকেশন সোসাইটি ও পরবর্তীকালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা উপমহাদেশের সমাজ-রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। মুসলিমদের জন্য স্বতন্ত্র ভূমি এবং মুসলিম শিক্ষা সম্প্রসারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অন্যদের সাথে নবাব পরিবারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। দেশ ভাগের পরে এ পরিবারের দৃশ্যমান রাজনৈতিক উত্থান লক্ষ করা গেলেও রাষ্ট্রশাসন ও রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে তাদের একপেশে ও অগণতান্ত্রিক ভূমিকা জাতিকে হতাশ করে। পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনে এ পরিবারের ভূমিকা গণস্রোতের বিপরীতমুখী অবস্থান নেয়। স্বাধীনতার পরে সংঘবদ্ধ নবাব পরিবার বিচ্ছিন্ন ও বিনাশের পথ ধরে অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। উনিশ ও বিশ শতকের ঢাকার নবাবদের প্রভাবশালী আহসান মঞ্জিলটি এখন একটি রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত জাদুঘরে রূপ নিয়ে টিকে আছে। ‘ঢাকার নবাব পরিবার ও তৎকালীন ঢাকার সমাজ’ গ্রন্থটি উনিশ ও বিশ শতকের ঢাকার নবাব তথা ঢাকা সমাজের একটি অনবদ্য দলিল। সুখপাঠ্য এ গ্রন্থটি বহুল সমাদৃত হওয়ার দাবি রাখে।

Title

ঢাকার নবাব পরিবার ও তৎকালীন ঢাকার সমাজ

Category

  • Culture
  • First Published

    2024-02-01

    ঢাকার ইতিহাসে আমরা দুটো নবাব পরিবারের সন্ধান পাই—একটি মোগল নবাব এবং আরেকটি ব্রিটিশ উপাধিপ্রাপ্ত ঢাকার নবাব। কথিত আছে যে, ঢাকার নবাবেরা ভাগ্যান্বেষণে প্রথমে দিল্লি থেকে সিলেট ও পরে ইউরোপীয়দের সাথে বাণিজ্যসূত্রে ঢাকায় আগমন করেন। ঢাকায় আসার সময় তাদের পারিবারিক উপাধি ছিল ‘খাজা’। পরে ব্রিটিশ সান্নিধ্যে এসে জনহিতকর কাজের জন্য বংশানুক্রমে ‘নবাব’ উপাধিতে ভূষিত হন। ইংরেজদের সান্নিধ্য লাভ তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে। সিপাহিযুদ্ধকালে ইংরেজদের পক্ষ নিয়ে তাদের আস্থায় আসেন এবং পুরো ঊনবিংশ শতকে তাদের সাথে সামাজিক মেলামেশা, বিনোদন ও মিউনিসিপালিটির মাধ্যমে জনহিতকর কার্যে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকার নবাবরা মহা সমারোহে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসবাদি পালন করতেন। মহররম, ঈদ ও জন্মাষ্টমীরও নবাবরা ছিলেন অকৃত্রিম পৃষ্ঠপোষক। উনিশ ও বিশ শতকে ঢাকায় ওয়াটার ওয়ার্কস, পয়ঃপ্রণালি, বিজলিবাতি প্রতিষ্ঠা এবং রাস্তাঘাট নির্মাণে এ পরিবারের অবদান নমস্য। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে সার্বিক উন্নয়নে ইউরোপীয় প্রচেষ্টার সাথে নবাবদের সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ঢাকায় রইস শ্রেণি ও ঢাকাবাসীদের সামাজিক অনুশাসন ও সুশাসনের বিষয়টি বিস্ময়করভাবে সমন্বয় করেছে তাদের ‘পঞ্চায়েত প্রথা’। এ গ্রন্থে বিশ শতকের ঢাকার পঞ্চায়েত প্রথা সম্পর্কে সবিশেষ আলোচনা আছে। উনিশ ও বিশ শতকের ঢাকার রাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে পূর্ব বাংলার দাবি-দাওয়া অগ্রসর করার পেছনে ঢাকার নবাব পরিবার অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে। ঢাকার মোহামেডান এডুকেশন সোসাইটি ও পরবর্তীকালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা উপমহাদেশের সমাজ-রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। মুসলিমদের জন্য স্বতন্ত্র ভূমি এবং মুসলিম শিক্ষা সম্প্রসারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অন্যদের সাথে নবাব পরিবারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। দেশ ভাগের পরে এ পরিবারের দৃশ্যমান রাজনৈতিক উত্থান লক্ষ করা গেলেও রাষ্ট্রশাসন ও রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে তাদের একপেশে ও অগণতান্ত্রিক ভূমিকা জাতিকে হতাশ করে। পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনে এ পরিবারের ভূমিকা গণস্রোতের বিপরীতমুখী অবস্থান নেয়। স্বাধীনতার পরে সংঘবদ্ধ নবাব পরিবার বিচ্ছিন্ন ও বিনাশের পথ ধরে অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। উনিশ ও বিশ শতকের ঢাকার নবাবদের প্রভাবশালী আহসান মঞ্জিলটি এখন একটি রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত জাদুঘরে রূপ নিয়ে টিকে আছে। ‘ঢাকার নবাব পরিবার ও তৎকালীন ঢাকার সমাজ’ গ্রন্থটি উনিশ ও বিশ শতকের ঢাকার নবাব তথা ঢাকা সমাজের একটি অনবদ্য দলিল। সুখপাঠ্য এ গ্রন্থটি বহুল সমাদৃত হওয়ার দাবি রাখে।
    No Specifications