Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)
Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)
Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)
International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.
3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable
Multiple Payment Methods
Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available.
সুফি আলেম-ওলামার আগমনে ইসলাম প্রচারের সূচনা পূর্বে হলেও ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম বিজয়ের ফলে ক্রমান্বয়ে বাংলার সমাজজীবনে একটা পরিবর্তনের আভাস পরিলক্ষিত হতে থাকে। আরব, পারস্য ও মধ্য এশিয়া হতে ইসলাম প্রচারকগণ বাংলায় আগমন করতে থাকেন। এ সময় থেকে ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ৩৭২ বছরাধিককাল বাংলায় সুলতানি শাসন স্থায়িত্ব লাভ করে। মুসলিম শাসনের এই সুদীর্ঘ সময় বাংলায় জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা এবং শাস্তি-শৃংখলা লক্ষ করার মত ছিল, এর কারণ ছিল সমকালীন সুসমন্বিত কল্যাণধারার শিক্ষার প্রভাব। মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অংশ থেকে পণ্ডিত, শিক্ষক, ধর্মপ্রচারক এবং সুফিদের এক বিরাট স্রোতধারা এদেশে প্রবেশ করেছিল। মিনহাজ সিরাজ বলেন, "বখতিয়ার এবং তাঁর আমীরদের প্রচেষ্টায় ঐ অঞ্চলসমূহে (বাংলায়) অসংখ্য মসজিদ, মাদরাসা ও খানকাহ নির্মিত হয়।" সুলতান ইওয়াজ খলজি সম্পর্কেও সিরাজ বলেন, “তিনি বহু ইবাদতখানা ও মসজিদ নির্মাণ করেন। ওলামা, মাশাইখ ও সৈয়দদের মধ্যে যাঁরা বিশিষ্ট তিনি তাঁদেরকে ভাতা প্রদান করতেন।" বাংলার পরবর্তী মুসলিম শাসকবর্গও কলা, বিজ্ঞান, ভাষা, সাহিত্য এবং স্থাপত্যের উদার শ্রেষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। রাষ্ট্রীয় নীতিতে শিক্ষাকে খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল, বেসরকারিভাবেও শিক্ষার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। শুধু শহরাঞ্চলেই নয় কসবা বা গ্রামাঞ্চলেও মাদরাসা, মসজিদ ও মক্তব নির্মাণ করা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন অংশে সুফিদের অগণিত খানকাহ ও হুজরা ছিল। অমুসলিমদের জন্যও শিক্ষার সুযোগ ও সম্ভাবনা ছিল অবারিত। হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের নারীরা শিক্ষার সুযোগ পেতো সমান গুরুত্বে। মূলত সকল সম্প্রদায়ের মানবকে উপযোগী মানসম্পন্ন করে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সম্পদে পরিণত করার উদ্দেশ্যেই প্রণীত হয়েছিল সে সময়ের শিক্ষাব্যবস্থা। অর্থনৈতিকভাবে রাষ্ট্র ও সমাজের ফলাফল হয়েছিল সুদূরপ্রসারী।
সুলতানি আমলে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা ড. আবু নোমান রচিত একটি গবেষণা গ্রন্থ। লেখক পূর্বাপর আলোচনা করে অবকাঠামো থেকে শুরু করে সুলতানি আমলে বাংলার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ধর্মীয় ও লৌকিক শিক্ষার যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছিল তা তুলে ধরেছেন যুক্তিগ্রাহ্যভাবে। এক্ষেত্রে লেখক লিপিতাত্ত্বিক প্রমাণ ও সাহিত্যের সূত্র বিশ্লেষণ করে তাঁর যুক্তিকে শানিত ও সমৃদ্ধ করছেন সাধ্যমত। পরিণতিতে সমাজে যে ফলাফল সাধিত হয়েছিল তাও এঁকেছেন লেখক সুনিপুণভাবে। গবেষক অনুসন্ধানী পাঠক ও লেখকদের বইটি কাজে লাগতে পারে।
সুফি আলেম-ওলামার আগমনে ইসলাম প্রচারের সূচনা পূর্বে হলেও ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম বিজয়ের ফলে ক্রমান্বয়ে বাংলার সমাজজীবনে একটা পরিবর্তনের আভাস পরিলক্ষিত হতে থাকে। আরব, পারস্য ও মধ্য এশিয়া হতে ইসলাম প্রচারকগণ বাংলায় আগমন করতে থাকেন। এ সময় থেকে ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ৩৭২ বছরাধিককাল বাংলায় সুলতানি শাসন স্থায়িত্ব লাভ করে। মুসলিম শাসনের এই সুদীর্ঘ সময় বাংলায় জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা এবং শাস্তি-শৃংখলা লক্ষ করার মত ছিল, এর কারণ ছিল সমকালীন সুসমন্বিত কল্যাণধারার শিক্ষার প্রভাব। মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অংশ থেকে পণ্ডিত, শিক্ষক, ধর্মপ্রচারক এবং সুফিদের এক বিরাট স্রোতধারা এদেশে প্রবেশ করেছিল। মিনহাজ সিরাজ বলেন, "বখতিয়ার এবং তাঁর আমীরদের প্রচেষ্টায় ঐ অঞ্চলসমূহে (বাংলায়) অসংখ্য মসজিদ, মাদরাসা ও খানকাহ নির্মিত হয়।" সুলতান ইওয়াজ খলজি সম্পর্কেও সিরাজ বলেন, “তিনি বহু ইবাদতখানা ও মসজিদ নির্মাণ করেন। ওলামা, মাশাইখ ও সৈয়দদের মধ্যে যাঁরা বিশিষ্ট তিনি তাঁদেরকে ভাতা প্রদান করতেন।" বাংলার পরবর্তী মুসলিম শাসকবর্গও কলা, বিজ্ঞান, ভাষা, সাহিত্য এবং স্থাপত্যের উদার শ্রেষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। রাষ্ট্রীয় নীতিতে শিক্ষাকে খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল, বেসরকারিভাবেও শিক্ষার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। শুধু শহরাঞ্চলেই নয় কসবা বা গ্রামাঞ্চলেও মাদরাসা, মসজিদ ও মক্তব নির্মাণ করা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন অংশে সুফিদের অগণিত খানকাহ ও হুজরা ছিল। অমুসলিমদের জন্যও শিক্ষার সুযোগ ও সম্ভাবনা ছিল অবারিত। হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের নারীরা শিক্ষার সুযোগ পেতো সমান গুরুত্বে। মূলত সকল সম্প্রদায়ের মানবকে উপযোগী মানসম্পন্ন করে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সম্পদে পরিণত করার উদ্দেশ্যেই প্রণীত হয়েছিল সে সময়ের শিক্ষাব্যবস্থা। অর্থনৈতিকভাবে রাষ্ট্র ও সমাজের ফলাফল হয়েছিল সুদূরপ্রসারী।
সুলতানি আমলে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা ড. আবু নোমান রচিত একটি গবেষণা গ্রন্থ। লেখক পূর্বাপর আলোচনা করে অবকাঠামো থেকে শুরু করে সুলতানি আমলে বাংলার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ধর্মীয় ও লৌকিক শিক্ষার যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছিল তা তুলে ধরেছেন যুক্তিগ্রাহ্যভাবে। এক্ষেত্রে লেখক লিপিতাত্ত্বিক প্রমাণ ও সাহিত্যের সূত্র বিশ্লেষণ করে তাঁর যুক্তিকে শানিত ও সমৃদ্ধ করছেন সাধ্যমত। পরিণতিতে সমাজে যে ফলাফল সাধিত হয়েছিল তাও এঁকেছেন লেখক সুনিপুণভাবে। গবেষক অনুসন্ধানী পাঠক ও লেখকদের বইটি কাজে লাগতে পারে।
No Specifications