চার ইমাম

হামদ ও সালাতের পর আরজ ইসলামের আলিমগণ দীন ও কুরআন সুন্নাহ’র হেফাযতের জন্য প্রথমে রিজাল শাস্ত্রের হণীস বর্ণনাকারিগণের জীবন চরিত] আশ্রয় নিয়েছেন। হাদীস বর্ণনাকারীদের অবস্থাদি বিবৃত ও বিন্যস্ত করার মাধ্যমে তাদের জীবনের একেকটি দিকের ওপর অত্যন্ত আমানতদারি ও রশীলতার সঙ্গে আলােকপাত করেছেন। পরবর্তীকালে এই শাস্ত্র অত্যন্ত ব্যাপকতা লাভ করে। যার ফলে পূর্বসূরি ও রসুরিদের মধ্যে সেতুবন্ধনরূপে ‘তবকাত’ বা স্তরভিত্তিক জীবনী এবং সাধারণ জীবনীশাস্ত্র অস্তিত্বে আসে। সর্বযুগের অসখ্য আলিম, ফকীহ, মুহাদ্দিস, আবেদ, যাহেদ এবং মাশায়েখ ইহা সর্বস্তরের জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিবর্গের জীবনচরিত এবং তাদের ননী ও ইলমী অবদান থেকে মুসলমানদের উপকার লাভের যোগ লাভ হয়। এভাবে ইতিহাস ও রিজাল শাস্ত্র শুধু জ্ঞান ১ঠর বিষয় হয়েই থাকেনি; বরং তা মুসলমানদের দীনী, ইলমী ও আমলী জীবনে প্রভাব বিস্তার করে। এর উপকারিতা ও করে পেক্ষাপটে সুযােগ্য ব্যক্তিবর্গ বহুসংখ্যক শহর ও অলের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে সেসব অঞ্চলের উলামা মাশরিখের জীবন চরিত তুলে ধরেছেন, এই স্বর্ণশৃঙ্খলের =ণে আজ পর্যন্ত পূর্বসুরি ও উত্তরসুরিদের মাঝে এক অটুট বন্ধন সুপ্রতিষ্ঠিত রয়েছে। বক্ষ্যমাণ ‘আয়েম্মায়ে আরবাআ' গ্রন্থটি সে স্বর্ণ-শৃংখলেরই একটি কড়ি। যার মধ্যে ইমাম আবু হানীফা রহ. ইমাম মালিক বহ, ইমাম শাফিঈ রহ. এবং ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ.এর নির্ভরযােগ্য ও গ্রহণযােগ্য জীবনচরিত সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যেহেতু এই কিতাবে সাধারণ মুসলিম সমাজের