Skip to Content
তারাস বুলবো (নিকোলাই গোগোল) (বিএসকে)

Price:

200.00 ৳


উইংস অব ফায়ার : এ পি জে আবদুল কালাম (অন্যধারা)
উইংস অব ফায়ার : এ পি জে আবদুল কালাম (অন্যধারা)
250.00 ৳
250.00 ৳
বঙ্গবন্ধু সংকলন
বঙ্গবন্ধু সংকলন
250.00 ৳
250.00 ৳

তারাস বুলবো (নিকোলাই গোগোল) (বিএসকে)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/34537/image_1920?unique=4c404dc

200.00 ৳ 200.0 BDT 200.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

বঙ্কিমচন্দ্র তার এক ছােট্ট রচনায় বাংলার নব্য লেখকদের উদ্দেশে বলেছিলেন : “যদি মনে এমন বুঝিতে পারেন যে, লিখিয়া দেশের বা মনুষ্যজাতির কিছু মঙ্গল সাধন করিতে পারেন, অথবা সৌন্দর্য সৃষ্টি করিতে পারেন, তবে অবশ্য লিখিবেন।” বাংলার নব্য লেখকেরা বঙ্কিমচন্দ্রের এই পরামর্শ মেনেছিলেন কী না তা গবেষণার বিষয়। তবে পৃথিবীর অনেক মহান শিল্পীর মতােই রুশ ঔপন্যাসিক, রুশ কথাসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী নিকোলাই গােগােল (১৮০৯-১৮৫২) তা গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। রুশ লেখক নিকোলাই নেক্রাসভের কথায় এর সমর্থন মেলে। তিনি ১৮৫৫ সালে ইভান তুর্গেনিভের উদ্দেশে এক চিঠিতে লিখেছিলেন : “... একেই বলে সুসন্তান দেশের সন্তান!... যিনি কোনটা বেশি ভালাে লাগতে পারে তা ভেবে লেখেননি, এমনকি নিজের প্রতিভার পক্ষে সহজতর হতে পারে এমন জিনিশও লেখেননি, যিনি লিখেছেন এমন জিনিশ যা তাঁর স্বদেশের পক্ষে পরম উপকারী বলে গণ্য করেছেন। তিনি ছিলেন এক মহান জাতীয়তাবাদী। লেখক। সমালােচক নিকোলাই চেবুনিশেভস্কির ভাষায় : “পৃথিবীতে বহুকাল এমন আর কোনাে লেখক ছিলেন না যিনি তার নিজের জাতির পক্ষে এত গুরুত্বপূর্ণ, যতখানি গােগােল ছিলেন রাশিয়ার পক্ষে।... তিনি আমাদের বলেন আমরা কী প্রকৃতির, কোথায় আমাদের ঘাটতি, কিসের জন্য আমাদের চেষ্টা করা উচিত, কিসে বিতৃষ্ণা বােধ করতে হয়, কী ভালােবাসতে হয়। তাঁর সমগ্র জীবন ছিল অজ্ঞতা ও স্থূলতার বিরুদ্ধে উদ্দীপ্ত সংগ্রামের। ... সবই ছিল প্রবল, অপরিবর্তনীয় উদ্দেশ্যের দ্বারা নিজের জন্মভূমির হিতার্থে ও সেবার চিন্তায় অনুপ্রাণিত।” এ তাে গেল নিকোলাই গােগােলের লেখার উদ্দেশ্যের কথা। আমরা যদি তার সময়খণ্ডকে বিবেচনায় আনি তাহলে দেখব যে, গােগােলের রচনায় স্থান পেয়েছে। যুগপৎ রুশ বাস্তবতার দুই যুগের কথা : এক, শতাব্দীর সূচনালগ্নের বাস্তবতা; দুই, পুশকিনের জীবননিষ্ঠ বাস্তববাদ এবং শতাব্দীর সমাপ্তিকালীন দস্তয়েভস্কির মর্মান্তিক দ্বৈত মতবাদ। এই ধারাটি রীতিমতাে ‘গােগােলীয় ধারা’ নামে চিহ্নিত। গােগােলের। সেন্ট পিটার্সবার্গ উপাখ্যানমালা (যে-সংকলনের অন্তর্ভুক্ত তাঁর বিখ্যাত রচনা তারাস বুলবা) সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে দস্তয়েভস্কি বলেছিলেন, “আমরা সবাই বেরিয়েছি।

Title

তারাস বুলবো (নিকোলাই গোগোল) (বিএসকে)

Publisher

Bishwo Shahitto Kendro

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Drama
  • বঙ্কিমচন্দ্র তার এক ছােট্ট রচনায় বাংলার নব্য লেখকদের উদ্দেশে বলেছিলেন : “যদি মনে এমন বুঝিতে পারেন যে, লিখিয়া দেশের বা মনুষ্যজাতির কিছু মঙ্গল সাধন করিতে পারেন, অথবা সৌন্দর্য সৃষ্টি করিতে পারেন, তবে অবশ্য লিখিবেন।” বাংলার নব্য লেখকেরা বঙ্কিমচন্দ্রের এই পরামর্শ মেনেছিলেন কী না তা গবেষণার বিষয়। তবে পৃথিবীর অনেক মহান শিল্পীর মতােই রুশ ঔপন্যাসিক, রুশ কথাসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী নিকোলাই গােগােল (১৮০৯-১৮৫২) তা গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। রুশ লেখক নিকোলাই নেক্রাসভের কথায় এর সমর্থন মেলে। তিনি ১৮৫৫ সালে ইভান তুর্গেনিভের উদ্দেশে এক চিঠিতে লিখেছিলেন : “... একেই বলে সুসন্তান দেশের সন্তান!... যিনি কোনটা বেশি ভালাে লাগতে পারে তা ভেবে লেখেননি, এমনকি নিজের প্রতিভার পক্ষে সহজতর হতে পারে এমন জিনিশও লেখেননি, যিনি লিখেছেন এমন জিনিশ যা তাঁর স্বদেশের পক্ষে পরম উপকারী বলে গণ্য করেছেন। তিনি ছিলেন এক মহান জাতীয়তাবাদী। লেখক। সমালােচক নিকোলাই চেবুনিশেভস্কির ভাষায় : “পৃথিবীতে বহুকাল এমন আর কোনাে লেখক ছিলেন না যিনি তার নিজের জাতির পক্ষে এত গুরুত্বপূর্ণ, যতখানি গােগােল ছিলেন রাশিয়ার পক্ষে।... তিনি আমাদের বলেন আমরা কী প্রকৃতির, কোথায় আমাদের ঘাটতি, কিসের জন্য আমাদের চেষ্টা করা উচিত, কিসে বিতৃষ্ণা বােধ করতে হয়, কী ভালােবাসতে হয়। তাঁর সমগ্র জীবন ছিল অজ্ঞতা ও স্থূলতার বিরুদ্ধে উদ্দীপ্ত সংগ্রামের। ... সবই ছিল প্রবল, অপরিবর্তনীয় উদ্দেশ্যের দ্বারা নিজের জন্মভূমির হিতার্থে ও সেবার চিন্তায় অনুপ্রাণিত।” এ তাে গেল নিকোলাই গােগােলের লেখার উদ্দেশ্যের কথা। আমরা যদি তার সময়খণ্ডকে বিবেচনায় আনি তাহলে দেখব যে, গােগােলের রচনায় স্থান পেয়েছে। যুগপৎ রুশ বাস্তবতার দুই যুগের কথা : এক, শতাব্দীর সূচনালগ্নের বাস্তবতা; দুই, পুশকিনের জীবননিষ্ঠ বাস্তববাদ এবং শতাব্দীর সমাপ্তিকালীন দস্তয়েভস্কির মর্মান্তিক দ্বৈত মতবাদ। এই ধারাটি রীতিমতাে ‘গােগােলীয় ধারা’ নামে চিহ্নিত। গােগােলের। সেন্ট পিটার্সবার্গ উপাখ্যানমালা (যে-সংকলনের অন্তর্ভুক্ত তাঁর বিখ্যাত রচনা তারাস বুলবা) সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে দস্তয়েভস্কি বলেছিলেন, “আমরা সবাই বেরিয়েছি।
    No Specifications