Skip to Content
চতুরঙ্গ (রবীন্দ্রনাথ) (বিএসকে)

Price:

155.00 ৳


উইংস অব ফায়ার : এ পি জে আবদুল কালাম (অন্যধারা)
উইংস অব ফায়ার : এ পি জে আবদুল কালাম (অন্যধারা)
250.00 ৳
250.00 ৳
বঙ্গবন্ধু সংকলন
বঙ্গবন্ধু সংকলন
250.00 ৳
250.00 ৳

চতুরঙ্গ (রবীন্দ্রনাথ) (বিএসকে)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/33627/image_1920?unique=b8462fa

155.00 ৳ 155.0 BDT 155.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসগুলাের মধ্যে সমালােচকদের সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তিতে ফেলেছে চতুরঙ্গ। ১৩২১ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন সংখ্যা পর্যন্ত মাসিক ‘সবুজপত্রে’ এই উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩২৩-এর বৈশাখে। সবুজপত্রে’র তৎকালীন পাঠকরা ধরে নিয়েছিলেন যে তাঁরা রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে আলাদা আলাদা গল্প উপহার পাচ্ছেন। বস্তুত পত্রিকায় প্রকাশিত হবার সময় উপন্যাসের অধ্যায়গুলােকে আলাদা আলাদা গল্পের শিরােনাম দিয়ে ছাপা হচ্ছিল। গল্পগুলাের নাম ছিল যথাক্রমে- জ্যাঠামশায়, শচীশ, দামিনী ও শ্রীবিলাস। দ্বিতীয় গল্পটি প্রকাশিত হবার পরেই বােঝা গিয়েছিল যে এগুলাে আলাদা আলাদা কোনও গল্প নয়, একটি সুবৃহৎ গল্পের বিভিন্ন অধ্যায়। ১৩২৩-এর বৈশাখে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হবার পরে নিশ্চিত হওয়া গেল যে এই গল্পগুলাের সমষ্টি হচ্ছে একটি উপন্যাস এবং তার নাম চতুরঙ্গ। রবীন্দ্রনাথও গ্রন্থের শুরুতে লিখে দিয়েছেন : “এই বইখানির নাম চতুরঙ্গ। ‘জ্যাঠামশায়’, ‘শচীশ’, ‘দামিনী’ ও ‘শ্রীবিলাস’ ইহার চারি অংশ।” সমস্যা তথা বিতর্কের উৎসও এখানেই। চতুরঙ্গের তাৎপর্য বুঝতে হলে প্রথাসিদ্ধ উপন্যাসের ধারণাকে যে আগে মন থেকে মুছে ফেলতে হবে, সেই ব্যাপারটি গতানুগতিক উপন্যাসের অভ্যস্ত পাঠক ও সমালােচক তাঁদের চিন্তায় আনেননি। ফলে অনেকেই বলেছেন যে চতুরঙ্গ খাঁটি উপন্যাসের পর্যায়ভুক্ত নয় এবং সেইজন্য উপন্যাসের শর্তাবলিও তার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হয়নি। গভীর উপলব্ধিতে স্পন্দিত ভাষায় বহিবৃত আখ্যানের বৈশিষ্ট্য এতে প্রকট হয়ে ওঠেনি। বরং অন্তৰ্জীবনের অনধিগম্য রহস্য নিয়ে বেশিরকম ব্যাপৃত থাকায় এটি হয়ে উঠেছে কবিতাধর্মী, ফলে উপন্যাসধর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে— এমন বক্তব্যও এসেছে। যেমন শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গসাহিত্যে উপন্যাসের ধারা’তে লিখেছেন : “সমস্ত বিষয়ের আলােচনা অপূর্ণ, শচীশ ও দামিনীর দ্রুত পরিবর্তনগুলি যেন অনেকটা নিয়মহীন উদ্দাম খেয়ালেরই অনুবর্তন করিতেছে বলিয়া মনে হয়। যেন একটা পাগলা হাওয়া যদৃচ্ছক্রমে চরিত্রগুলিকে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত ও তাহাদের পরস্পর সম্পর্কটিকে অস্থির পরিবর্তনের ঘূর্ণাবর্তে সর্বদা বিবর্তিত করিতেছে। উদ্দেশ্যগভীরতার অভাব সর্বত্রই পরিস্ফুট।”

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পকার, চিত্রশিল্পী, সংগীতস্রষ্টা, অভিনেতা, কন্ঠশিল্পী, কবি, সমাজ-সংস্কারক এবং দার্শনিক। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য প্রথম বাঙালি হিসেবে ১৯১৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ মে তৎকালীন ব্রিটিশ-শাসিত ভারতে কলকাতার ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিমনা জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। ভানুসিংহ ঠাকুর ছিল তাঁর ছদ্মনাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই মানেই এক মোহের মাঝে আটকে যাওয়া, যে মোহ পাঠককে জীবনের নানা রঙের সাথে পরিচিত করিয়ে দেয় নানা ঢঙে, নানা ছন্দে, নানা সুর ও বর্ণে। তাঁর ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাট্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর কিছুদিন পরই আলোর মুখ দেখে। কাবুলিওয়ালা, হৈমন্তী, পোস্টমাস্টারসহ মোট ৯৫টি গল্প স্থান পেয়েছে তাঁর ‘গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থে। অন্যদিকে ‘গীতবিতান’ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে ১,৯১৫টি গান। উপন্যাস, কবিতা, সঙ্গীত, ছোটগল্প, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনীসহ সাহিত্যের সকল শাখাই যেন ধারণ করে আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই সমূহ। তিনি একাধারে নাট্যকার ও নাট্যাভিনেতা দুই-ই ছিলেন। কোনো প্রথাগত শিক্ষা ছাড়া তিনি চিত্রাংকনও করতেন। তৎকালীন সমাজ-সংস্কারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাতেই অনূদিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই সমগ্র। তাঁর যাবতীয় রচনা ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ নামে ত্রিশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট জোড়াসাঁকোর বাড়িতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পর এতদিন পেরিয়ে গেলেও তাঁর সাহিত্যকর্ম আজও স্বমহিমায় ভাস্বর। আজও আমাদের বাঙালি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে বিশ্বকবির সাহিত্যকর্ম।

Title

চতুরঙ্গ (রবীন্দ্রনাথ) (বিএসকে)

Author

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Publisher

Bishwo Shahitto Kendro

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Stories
  • Rabindranath
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসগুলাের মধ্যে সমালােচকদের সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তিতে ফেলেছে চতুরঙ্গ। ১৩২১ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন সংখ্যা পর্যন্ত মাসিক ‘সবুজপত্রে’ এই উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩২৩-এর বৈশাখে। সবুজপত্রে’র তৎকালীন পাঠকরা ধরে নিয়েছিলেন যে তাঁরা রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে আলাদা আলাদা গল্প উপহার পাচ্ছেন। বস্তুত পত্রিকায় প্রকাশিত হবার সময় উপন্যাসের অধ্যায়গুলােকে আলাদা আলাদা গল্পের শিরােনাম দিয়ে ছাপা হচ্ছিল। গল্পগুলাের নাম ছিল যথাক্রমে- জ্যাঠামশায়, শচীশ, দামিনী ও শ্রীবিলাস। দ্বিতীয় গল্পটি প্রকাশিত হবার পরেই বােঝা গিয়েছিল যে এগুলাে আলাদা আলাদা কোনও গল্প নয়, একটি সুবৃহৎ গল্পের বিভিন্ন অধ্যায়। ১৩২৩-এর বৈশাখে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হবার পরে নিশ্চিত হওয়া গেল যে এই গল্পগুলাের সমষ্টি হচ্ছে একটি উপন্যাস এবং তার নাম চতুরঙ্গ। রবীন্দ্রনাথও গ্রন্থের শুরুতে লিখে দিয়েছেন : “এই বইখানির নাম চতুরঙ্গ। ‘জ্যাঠামশায়’, ‘শচীশ’, ‘দামিনী’ ও ‘শ্রীবিলাস’ ইহার চারি অংশ।” সমস্যা তথা বিতর্কের উৎসও এখানেই। চতুরঙ্গের তাৎপর্য বুঝতে হলে প্রথাসিদ্ধ উপন্যাসের ধারণাকে যে আগে মন থেকে মুছে ফেলতে হবে, সেই ব্যাপারটি গতানুগতিক উপন্যাসের অভ্যস্ত পাঠক ও সমালােচক তাঁদের চিন্তায় আনেননি। ফলে অনেকেই বলেছেন যে চতুরঙ্গ খাঁটি উপন্যাসের পর্যায়ভুক্ত নয় এবং সেইজন্য উপন্যাসের শর্তাবলিও তার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হয়নি। গভীর উপলব্ধিতে স্পন্দিত ভাষায় বহিবৃত আখ্যানের বৈশিষ্ট্য এতে প্রকট হয়ে ওঠেনি। বরং অন্তৰ্জীবনের অনধিগম্য রহস্য নিয়ে বেশিরকম ব্যাপৃত থাকায় এটি হয়ে উঠেছে কবিতাধর্মী, ফলে উপন্যাসধর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে— এমন বক্তব্যও এসেছে। যেমন শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গসাহিত্যে উপন্যাসের ধারা’তে লিখেছেন : “সমস্ত বিষয়ের আলােচনা অপূর্ণ, শচীশ ও দামিনীর দ্রুত পরিবর্তনগুলি যেন অনেকটা নিয়মহীন উদ্দাম খেয়ালেরই অনুবর্তন করিতেছে বলিয়া মনে হয়। যেন একটা পাগলা হাওয়া যদৃচ্ছক্রমে চরিত্রগুলিকে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত ও তাহাদের পরস্পর সম্পর্কটিকে অস্থির পরিবর্তনের ঘূর্ণাবর্তে সর্বদা বিবর্তিত করিতেছে। উদ্দেশ্যগভীরতার অভাব সর্বত্রই পরিস্ফুট।”
    No Specifications