Skip to Content
ভ্রান্তিবিলাস

Price:

100.00 ৳


আঙ্গুলিনি (শিশু সাহিত্য)
আঙ্গুলিনি (শিশু সাহিত্য)
120.00 ৳
120.00 ৳
The Evidence Act, 1872
The Evidence Act, 1872
90.00 ৳
90.00 ৳

ভ্রান্তিবিলাস

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/43942/image_1920?unique=8fb8efa

100.00 ৳ 100.0 BDT 100.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

ভ্রান্তিবিলাস রচিত হয় ১৮৬৯ সালে, বিদ্যাসাগরের প্রথম রচনা বেতালপঞ্চবিংশতির বাইশ বছর পরে। তিনি শুধু সাহিত্যের জন্য সাহিত্য রচনা করেননি। তাঁর প্রায় সমস্ত রচনাই শিক্ষা এবং সমাজ রূপান্তরের লক্ষ্যে রচিত। সমাজ পরিমণ্ডলকে জ্ঞানচর্চার আওতায় এনে মানুষের জীবনকে মানসম্মত করার প্রয়াসে নিবেদিত ছিল তাঁর সৃজনশক্তি। সে জন্য তার বিষয়-নির্বাচন কখনও শিক্ষামূলক, কখনও উপদেশমূলক, কখনও নৈতিকবােধ উদ্রেককারী, কখনও আনন্দ-বিনােদনমূলক। . ভ্রান্তিবিলাস বিশ্বখ্যাত নাট্যকার শেক্সপীয়রের ‘কমেডি অব এররস' নাটক অবলম্বনে রচিত। বইয়ের বিজ্ঞাপন’ শিরােনাম অংশে তিনি লিখেছেন : “কিছু দিন পূর্বে, ইংলন্ডের অদ্বিতীয় কবি শেক্সপীয়রের প্রণীত ভ্রান্তিপ্রহসন পড়িয়া আমার বােধ হইয়াছিল, এতদীয় উপাখ্যানভাগ বাঙ্গালাভাষায় সঙ্কলিত হইলে লােকের চিত্তরঞ্জন হইতে পারে। তদনুসারে ঐ প্রহসনের উপাখ্যানভাগ বাঙ্গালাভাষায় সঙ্কলিত ও ভ্রান্তিবিলাস নামে প্রচারিত হইল।' এরপরে তিনি বলেছেন যে এই নাটকের কাব্য-অংশ শেক্সপীয়রের অন্যান্য নাটকের চেয়ে নিকৃষ্ট’, কিন্তু এর কাহিনী-অংশ কৌতুকপূর্ণ। সেজন্য তিনি এই নাটকটি বাংলাভাষায় রূপান্তরের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন পাঠককে আনন্দ দানের উদ্দেশ্যে। ব্যক্তির আনন্দ উপভােগের জায়গাটিও তার সমাজ সংস্কারের অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে এর দ্বারা প্রতীয়মান হয়। বিনােদনের সুস্থ পরিচর্যাকে তিনি অস্বীকার করেননি। বিজ্ঞাপনের শেষ বাক্যে তিনি লিখেছেন : যদি ভ্রান্তিবিলাস পড়িয়া এক ব্যক্তিরও চিত্তে কিঞ্চিত্মাত্র প্রীতিসঞ্চার হয়, তাহা হইলেই শ্রম সফল বােধ করিব।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ – ২৯ জুলাই ১৮৯১) উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। তাঁর প্রকৃত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য প্রথম জীবনেই তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল তাঁর। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও অপরবোধ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। তাঁকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী বলে অভিহিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি রচনা করেছেন যুগান্তকারী শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয় সহ একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ। সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ সাহিত্য ও জ্ঞানবিজ্ঞান সংক্রান্ত বহু রচনা নারীমুক্তির আন্দোলনেও তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে বিদ্যাসাগর মহাশয় ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারকও। বিধবা বিবাহ ও স্ত্রীশিক্ষার প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তাঁর অক্লান্ত সংগ্রাম আজও স্মরিত হয় যথোচিত শ্রদ্ধার সঙ্গে । বাংলার নবজাগরণের এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘দয়ার সাগর’ নামে।দরিদ্র, আর্ত ও পীড়িত কখনওই তাঁর দ্বার থেকে শূন্য হাতে ফিরে যেত না। এমনকি নিজের চরম অর্থসঙ্কটের সময়ও তিনি ঋণ নিয়ে পরোপকার করেছেন‌। তাঁর পিতামাতার প্রতি তাঁর ঐকান্তিক ভক্তি ও বজ্রকঠিন চরিত্রবল বাংলায় প্রবাদপ্রতিম। মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর মধ্যে দেখতে পেয়েছিলেন প্রাচীন ঋষির প্রজ্ঞা, ইংরেজের কর্মোদ্যম ও বাঙালি মায়ের হৃদয়বৃত্তি।বাঙালি সমাজে বিদ্যাসাগর মহাশয় আজও এক প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরে তাঁর স্মৃতিরক্ষায় স্থাপিত হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজধানী কলকাতার আধুনিক স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন বিদ্যাসাগর সেতু তাঁরই নামে উৎসর্গিত।

Title

ভ্রান্তিবিলাস

Author

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

Publisher

Bishwo Shahitto Kendro

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Drama
  • ভ্রান্তিবিলাস রচিত হয় ১৮৬৯ সালে, বিদ্যাসাগরের প্রথম রচনা বেতালপঞ্চবিংশতির বাইশ বছর পরে। তিনি শুধু সাহিত্যের জন্য সাহিত্য রচনা করেননি। তাঁর প্রায় সমস্ত রচনাই শিক্ষা এবং সমাজ রূপান্তরের লক্ষ্যে রচিত। সমাজ পরিমণ্ডলকে জ্ঞানচর্চার আওতায় এনে মানুষের জীবনকে মানসম্মত করার প্রয়াসে নিবেদিত ছিল তাঁর সৃজনশক্তি। সে জন্য তার বিষয়-নির্বাচন কখনও শিক্ষামূলক, কখনও উপদেশমূলক, কখনও নৈতিকবােধ উদ্রেককারী, কখনও আনন্দ-বিনােদনমূলক। . ভ্রান্তিবিলাস বিশ্বখ্যাত নাট্যকার শেক্সপীয়রের ‘কমেডি অব এররস' নাটক অবলম্বনে রচিত। বইয়ের বিজ্ঞাপন’ শিরােনাম অংশে তিনি লিখেছেন : “কিছু দিন পূর্বে, ইংলন্ডের অদ্বিতীয় কবি শেক্সপীয়রের প্রণীত ভ্রান্তিপ্রহসন পড়িয়া আমার বােধ হইয়াছিল, এতদীয় উপাখ্যানভাগ বাঙ্গালাভাষায় সঙ্কলিত হইলে লােকের চিত্তরঞ্জন হইতে পারে। তদনুসারে ঐ প্রহসনের উপাখ্যানভাগ বাঙ্গালাভাষায় সঙ্কলিত ও ভ্রান্তিবিলাস নামে প্রচারিত হইল।' এরপরে তিনি বলেছেন যে এই নাটকের কাব্য-অংশ শেক্সপীয়রের অন্যান্য নাটকের চেয়ে নিকৃষ্ট’, কিন্তু এর কাহিনী-অংশ কৌতুকপূর্ণ। সেজন্য তিনি এই নাটকটি বাংলাভাষায় রূপান্তরের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন পাঠককে আনন্দ দানের উদ্দেশ্যে। ব্যক্তির আনন্দ উপভােগের জায়গাটিও তার সমাজ সংস্কারের অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে এর দ্বারা প্রতীয়মান হয়। বিনােদনের সুস্থ পরিচর্যাকে তিনি অস্বীকার করেননি। বিজ্ঞাপনের শেষ বাক্যে তিনি লিখেছেন : যদি ভ্রান্তিবিলাস পড়িয়া এক ব্যক্তিরও চিত্তে কিঞ্চিত্মাত্র প্রীতিসঞ্চার হয়, তাহা হইলেই শ্রম সফল বােধ করিব।
    No Specifications