Skip to Content
পৃথিবীর পাঠশালায় (ম্যাক্সিম গোর্কি)

Price:

250.00 ৳


গাছও খায়
গাছও খায়
135.00 ৳
135.00 ৳
লুঙ্গি কাহিনী
লুঙ্গি কাহিনী
200.00 ৳
200.00 ৳

পৃথিবীর পাঠশালায় (ম্যাক্সিম গোর্কি)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/35814/image_1920?unique=20e32ae

250.00 ৳ 250.0 BDT 250.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

তাহলে আমি কাজান শহরে চলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে – কম কথা নয়! | বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার চিন্তাটা আমার মাথায় ঢুকিয়েছিল নিকোলাই ইয়েভরেইনভ নামে স্কুলের এক ছাত্র। ইয়েভরেইনভকে দেখলেই ভালাে লাগে, সে খুবই প্রিয়দর্শন। তরুণ, মেয়েদের মতাে কোমল তার চোখদুটো। আমার সঙ্গে একই বাড়ির চিলেকোঠায় থেকেছে সে। প্রায়ই আমার বগলে এক-আধখানা বই দেখে দেখে আমার সম্পর্কে ওর এত আগ্রহ জন্মায় যে আলাপ-পরিচয়ও করে নেয়। তারপর দু-দিন না যেতেই সে আমায় উঠে-পড়ে বােঝাতে থাকে আমার মধ্যে নাকি অসাধারণ পাণ্ডিত্যের প্রকৃতিদত্ত সম্ভাবনা রয়েছে। | সজোরে সুললিত ভঙ্গিতে মাথার লম্বা চুলগুলাে ঝাঁকুনি দিয়ে পিছনে সরিয়ে সে বলত, জ্ঞানবিজ্ঞানের সেবার জন্যই প্রকৃতি তােমায় সৃষ্টি করেছে। | খরগােশ হিসেবেও কেউ যে জ্ঞানবিজ্ঞানের সেবা করতে পারে সে বােধ তখনও আমার জন্মায়নি, এদিকে ইয়েভরেইনভ কিন্তু আমায় জলের মতাে সােজা করে বুঝিয়ে দিল যে বিশ্ববিদ্যালয়ে নাকি ঠিক আমার মতাে ছেলেদেরই অভাব রয়েছে। পণ্ডিত মিখাইল লমনােসভের উজ্জ্বল দৃষ্টান্তটাও সঙ্গে সঙ্গে তুলে ধরল সে। ইয়েভরেইনভ বলল, কাজানে তার সঙ্গেই থেকে আমি শরৎ আর শীতের সময়টায় স্কুলের পাঠ একেবারে সড়গড় করে ফেলব, তারপর আমার দু-চারটে পরীক্ষা দিতে হবে— দু-চারটে, কথাটা সে ওইভাবেই বলেছিল; বিশ্ববিদ্যালয় আমায় বৃত্তি দেবে; এবং বছর পাঁচেকের মধ্যেই আমি একজন বিদ্বান ব্যক্তি হয়ে যাব। ব্যস, জলবৎ তরলং। তা হবে না কেন, ইয়েভরেইনভের বয়েস ছিল উনিশ আর মনটাও ছিল দরাজ।পরীক্ষায় পাশ করে ইয়েভরেইনভ চলে গেল। হপ্তা দুয়েক বাদে আমিও রওনা হলাম।বিদায় নেবার সময় দিদিমা বলেছিলেন : | ‘লােকের সঙ্গে রাগারাগি করিসনে। সবসময়ই তাে রাগারাগি করিস! গোঁয়ার হতে চলেছিস, আর বদমেজাজি। এগুলাে পেয়েছিস তাের দাদুর কাছ থেকে। আর তাের দাদুকে দ্যাখ না, কী ছিল সে? এত বছর বেঁচে রইল, অথচ কোথায় গিয়ে শেষ হল বেচারি বুড়াে! একটা কথা কিন্তু মনে রাখিস : মানুষের পাপপুণ্যির বিচার ভগবানে করে না। ও হল শয়তানের লীলা। আচ্ছা, আয় তবে....'

Title

পৃথিবীর পাঠশালায় (ম্যাক্সিম গোর্কি)

Publisher

Bishwo Shahitto Kendro

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Biographical Novels
  • তাহলে আমি কাজান শহরে চলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে – কম কথা নয়! | বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার চিন্তাটা আমার মাথায় ঢুকিয়েছিল নিকোলাই ইয়েভরেইনভ নামে স্কুলের এক ছাত্র। ইয়েভরেইনভকে দেখলেই ভালাে লাগে, সে খুবই প্রিয়দর্শন। তরুণ, মেয়েদের মতাে কোমল তার চোখদুটো। আমার সঙ্গে একই বাড়ির চিলেকোঠায় থেকেছে সে। প্রায়ই আমার বগলে এক-আধখানা বই দেখে দেখে আমার সম্পর্কে ওর এত আগ্রহ জন্মায় যে আলাপ-পরিচয়ও করে নেয়। তারপর দু-দিন না যেতেই সে আমায় উঠে-পড়ে বােঝাতে থাকে আমার মধ্যে নাকি অসাধারণ পাণ্ডিত্যের প্রকৃতিদত্ত সম্ভাবনা রয়েছে। | সজোরে সুললিত ভঙ্গিতে মাথার লম্বা চুলগুলাে ঝাঁকুনি দিয়ে পিছনে সরিয়ে সে বলত, জ্ঞানবিজ্ঞানের সেবার জন্যই প্রকৃতি তােমায় সৃষ্টি করেছে। | খরগােশ হিসেবেও কেউ যে জ্ঞানবিজ্ঞানের সেবা করতে পারে সে বােধ তখনও আমার জন্মায়নি, এদিকে ইয়েভরেইনভ কিন্তু আমায় জলের মতাে সােজা করে বুঝিয়ে দিল যে বিশ্ববিদ্যালয়ে নাকি ঠিক আমার মতাে ছেলেদেরই অভাব রয়েছে। পণ্ডিত মিখাইল লমনােসভের উজ্জ্বল দৃষ্টান্তটাও সঙ্গে সঙ্গে তুলে ধরল সে। ইয়েভরেইনভ বলল, কাজানে তার সঙ্গেই থেকে আমি শরৎ আর শীতের সময়টায় স্কুলের পাঠ একেবারে সড়গড় করে ফেলব, তারপর আমার দু-চারটে পরীক্ষা দিতে হবে— দু-চারটে, কথাটা সে ওইভাবেই বলেছিল; বিশ্ববিদ্যালয় আমায় বৃত্তি দেবে; এবং বছর পাঁচেকের মধ্যেই আমি একজন বিদ্বান ব্যক্তি হয়ে যাব। ব্যস, জলবৎ তরলং। তা হবে না কেন, ইয়েভরেইনভের বয়েস ছিল উনিশ আর মনটাও ছিল দরাজ।পরীক্ষায় পাশ করে ইয়েভরেইনভ চলে গেল। হপ্তা দুয়েক বাদে আমিও রওনা হলাম।বিদায় নেবার সময় দিদিমা বলেছিলেন : | ‘লােকের সঙ্গে রাগারাগি করিসনে। সবসময়ই তাে রাগারাগি করিস! গোঁয়ার হতে চলেছিস, আর বদমেজাজি। এগুলাে পেয়েছিস তাের দাদুর কাছ থেকে। আর তাের দাদুকে দ্যাখ না, কী ছিল সে? এত বছর বেঁচে রইল, অথচ কোথায় গিয়ে শেষ হল বেচারি বুড়াে! একটা কথা কিন্তু মনে রাখিস : মানুষের পাপপুণ্যির বিচার ভগবানে করে না। ও হল শয়তানের লীলা। আচ্ছা, আয় তবে....'
    No Specifications