Skip to Content
মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা খণ্ড ২

Price:

2,000.00 ৳


Atomic Habits by James Clear
Atomic Habits by James Clear
1,798.00 ৳
1,798.00 ৳
Sapiens : A Brief History of Humankind (HB)
Sapiens : A Brief History of Humankind (HB)
2,600.00 ৳
2,600.00 ৳

মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা খণ্ড ২

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/3025/image_1920?unique=cfa0c57

2,000.00 ৳ 2000.0 BDT 2,000.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের গৌরবময় মূল্যবান অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ২৫ মার্চ, ১৯৭১-এর কালরাতে দেশব্যাপী যে প্রতিরােধ যুদ্ধ গড়ে ওঠে, ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে তার পরিসমাপ্তি ঘটে। স্বাধীনতাসংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২৪ বছরের ইতিহাসে হাজারাে যুগান্তকারী ঘটনার সমন্বয় ঘটেছে। এককথায় বলা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পিছনে এক বিশাল পটভূমি রয়েছে, যার সঙ্গে এ ভূখণ্ডের জন্য মুক্তিযুদ্ধই অবিচ্ছেদ্য পরিণতি। যদিও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ৯ মাসের একটি রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে অর্জিত, তাহলেও স্বাধীনতাসংগ্রামের পটভূমিতে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি, যাকে মুক্তিসংগ্রামের ধারাবাহিকতা বলা হয়, তার বাস্তবতা এবং স্বরূপ জানা ছাড়া স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা সম্ভব নয়। ১৯৫২'র ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২'র শিক্ষা কমিশন রিপাের্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬৬'র ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯'র গণঅভ্যুত্থান এবং পরিশেষে ১৯৭০'র সাধারণ নির্বাচনের রায় বানচাল করার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন মুক্তিযুদ্ধকে অবশ্যম্ভাবী করে তােলে। দেশের সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক অংশগ্রহণে অর্জিত এই স্বাধীনতার ইতিহাস বিশ্বের মানবমুক্তি আন্দোলনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। একই সাথে বিশাল এই জনযুদ্ধের ইতিহাসে উল্লিখিত হয়ে আছে পুলিশ সদস্যদের বিজয়গাথা। মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা' গ্রন্থটি একটি ঐতিহাসিক দলিল। মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের বিশাল কর্মকাণ্ডকে জনসমক্ষে তুলে ধরার প্রচেষ্টায় এই প্রকল্প গৃহীত হয়। ১৯৯৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আলােচনাসভায় সাবেক পুলিশ সুপার মাহবুবউদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম, মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রমের বিবরণ উপস্থাপনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী সকল পুলিশ সদস্যের কৃতিত্বপূর্ণ অবদান লিপিবদ্ধ করা এবং সকলের ছবি সংরক্ষণের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল পুলিশ সদস্যের বীরত্বগাথা লিপিবদ্ধ করার বিষয়টিও তিনি আলােচনায় উল্লেখ করেন। একই অনুষ্ঠানে তকালীন ডিআইজি এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের গৌরবােজ্জ্বল অংশগ্রহণকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে শহীদ পুলিশ সদস্যদের নামে পুলিশ স্থাপনার নিয়ন্ত্রণাধীন অভ্যন্তরীণ রাস্তা-ঘাট, বিভিন্ন স্থাপনা, গুরুত্বপূর্ণ ইমারত, হল, মাঠ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের নামকরণ এবং পুলিশ একাডেমিসহ বিভিন্ন পুলিশ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা বিষয়ক পাঠ প্রশিক্ষণসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেন। এই প্রস্তাবের সমর্থনে আলােচনাসভায় অনেকেই একমত পােষণ করেন। আইজি আজিজুল হক বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য বিবেচনায় নেয়া হবে বলে মত প্রকাশ করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আলােচনাসভায় একইভাবে ডিআইজি এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী কর্তৃক বিষয়টি পুনরায় উপস্থাপিত হলে আইজি ইসমাইল হুসেন একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রকল্পের বিষয়টি প্রস্তাবনা আকারে উপস্থাপনের পক্ষে মত প্রকাশ করেন। ২২-৭-১৯৯৮ তারিখে আইজি মােহাম্মদ ইসমাইল হুসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা” শীর্ষক পুস্তক প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গৃহীত হয়। একই সাথে প্রকল্পের প্রয়ােজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রদানের লক্ষ্যে আইজি মহােদয়ের সভাপতিত্বে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। জনাব ইসমাইল হুসেন অবসর গ্রহণ করলে পরবর্তী আইজি এ ওয়াই বি আই সিদ্দিকী প্রকল্পের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

Title

মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা খণ্ড ২

Publisher

Liberation war Museum of Bangladesh Police

Number of Pages

710

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Liberation War
  • First Published

    NOV 2019

    বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের গৌরবময় মূল্যবান অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ২৫ মার্চ, ১৯৭১-এর কালরাতে দেশব্যাপী যে প্রতিরােধ যুদ্ধ গড়ে ওঠে, ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে তার পরিসমাপ্তি ঘটে। স্বাধীনতাসংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২৪ বছরের ইতিহাসে হাজারাে যুগান্তকারী ঘটনার সমন্বয় ঘটেছে। এককথায় বলা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পিছনে এক বিশাল পটভূমি রয়েছে, যার সঙ্গে এ ভূখণ্ডের জন্য মুক্তিযুদ্ধই অবিচ্ছেদ্য পরিণতি। যদিও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ৯ মাসের একটি রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে অর্জিত, তাহলেও স্বাধীনতাসংগ্রামের পটভূমিতে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি, যাকে মুক্তিসংগ্রামের ধারাবাহিকতা বলা হয়, তার বাস্তবতা এবং স্বরূপ জানা ছাড়া স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা সম্ভব নয়। ১৯৫২'র ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২'র শিক্ষা কমিশন রিপাের্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬৬'র ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯'র গণঅভ্যুত্থান এবং পরিশেষে ১৯৭০'র সাধারণ নির্বাচনের রায় বানচাল করার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন মুক্তিযুদ্ধকে অবশ্যম্ভাবী করে তােলে। দেশের সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক অংশগ্রহণে অর্জিত এই স্বাধীনতার ইতিহাস বিশ্বের মানবমুক্তি আন্দোলনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। একই সাথে বিশাল এই জনযুদ্ধের ইতিহাসে উল্লিখিত হয়ে আছে পুলিশ সদস্যদের বিজয়গাথা। মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা' গ্রন্থটি একটি ঐতিহাসিক দলিল। মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের বিশাল কর্মকাণ্ডকে জনসমক্ষে তুলে ধরার প্রচেষ্টায় এই প্রকল্প গৃহীত হয়। ১৯৯৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আলােচনাসভায় সাবেক পুলিশ সুপার মাহবুবউদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম, মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রমের বিবরণ উপস্থাপনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী সকল পুলিশ সদস্যের কৃতিত্বপূর্ণ অবদান লিপিবদ্ধ করা এবং সকলের ছবি সংরক্ষণের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল পুলিশ সদস্যের বীরত্বগাথা লিপিবদ্ধ করার বিষয়টিও তিনি আলােচনায় উল্লেখ করেন। একই অনুষ্ঠানে তকালীন ডিআইজি এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের গৌরবােজ্জ্বল অংশগ্রহণকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে শহীদ পুলিশ সদস্যদের নামে পুলিশ স্থাপনার নিয়ন্ত্রণাধীন অভ্যন্তরীণ রাস্তা-ঘাট, বিভিন্ন স্থাপনা, গুরুত্বপূর্ণ ইমারত, হল, মাঠ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের নামকরণ এবং পুলিশ একাডেমিসহ বিভিন্ন পুলিশ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা বিষয়ক পাঠ প্রশিক্ষণসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেন। এই প্রস্তাবের সমর্থনে আলােচনাসভায় অনেকেই একমত পােষণ করেন। আইজি আজিজুল হক বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য বিবেচনায় নেয়া হবে বলে মত প্রকাশ করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আলােচনাসভায় একইভাবে ডিআইজি এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী কর্তৃক বিষয়টি পুনরায় উপস্থাপিত হলে আইজি ইসমাইল হুসেন একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রকল্পের বিষয়টি প্রস্তাবনা আকারে উপস্থাপনের পক্ষে মত প্রকাশ করেন। ২২-৭-১৯৯৮ তারিখে আইজি মােহাম্মদ ইসমাইল হুসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা” শীর্ষক পুস্তক প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গৃহীত হয়। একই সাথে প্রকল্পের প্রয়ােজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রদানের লক্ষ্যে আইজি মহােদয়ের সভাপতিত্বে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। জনাব ইসমাইল হুসেন অবসর গ্রহণ করলে পরবর্তী আইজি এ ওয়াই বি আই সিদ্দিকী প্রকল্পের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
    No Specifications