জাক দেরিদা পাঠ ও বিবেচনা

বন্ধু বিমলকৃষ্ণ মতিলাল বলেছিলেন, ডিকনস্ট্রাকশনের বাংলা করা যেত অবিসংযােগ=ন্যায়বৈশেষুিক থেকে তৎসম শব্দে। প্রথমত আমি আদার ব্যাপার, ন্যায়বৈশেমিকে খবর রাখি না । দ্বিতীয়ত, বিমলকার সঙ্গে আলােচনা করে মনে হয়েছিল, নাৰালৈশেমিকের ধারণাটি মাধ্যেমে অর্গালিসিম বা প্রত্যঙ্গল নিহিত্র আছে—বন্তত বিশেষরূপে ধৃত আছে বহুপ্রত্যঙ্গ সংযােগে—তা হয়তাে অলিনির্মাণের ধারণাশৈীর সঙ্গে খাপ খায় না। এই নিয়ে অবশ্য আমি অনেকলর তুক করতে পারল না। তবে অবিমিাণ কথাটা রাখাই ঠিক করলাম। গোড়ায় "বিনির্মাণ' মনে লেগেছিল। কিনস্ট্রাকশন যে 'বিশেষপে নির্মাণ এটা অনেকে মলতে পারেন না। যশােধরা বাগীর কাছে কাপ্রসূঙ্গে শুনে খুশি হয়েছিলাম যে যাদবপুরের নৈক ইংরেজির অধ্যাপক ও স্বতঃপ্রান্ত হয়ে 'বিনির্মাণ প্রতিশব্দ ব্যবহার করেছি। এর পরের ঘটনা শোধরার মনে আছে কি না জানি না। বছর পাঁচেক আগে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ রুম হাশােধরা আলাপ করিয়ে দেয় সমার্থশব্দকোষ-এর লেখক অশােক মুদাপাধ্যায়ের সঙ্গে। শব্দবিন্যাস 5 শপ্রাণ নিয়ে দণ্টাখানেক বিশেষ মনােরম আলােচনা হল। মানিয়ে যেন তেল পড়ল। কালচার ইনস্টিটিউটের ঘরে ফিরে ঘানি ঘুরতে লাগল, আপনাআপনিই, মন বলে উঠল ডিকনস্ট্রাকশন তাে শুধু বিশেষরূপে নির্মাণ নয়, বিশেষরূপে শ্রনির্মাণও লট। মধ্যবিত্ত চলিত বাংলা, যেটার আওত্রার মধ্যে আমরা সাধারণভাবে খোলাঃষরা করি, তাকে অবিনশ্বর-এর ৩ টা উপসর্গ নিয়ে বিব্রীতার্থক শব্দের উদাহরণ আর নেই। এদ্ধেয়া সকুমারী ভট্টাচার্য বলতে পাবেন সংস্কৃতে আছে কিনা । এবং আমি খালার ব্যাপারি । | যদিও ক্ষেত্রবিশেষের অবিনির্মাণ পাদটীকা পরিহার করে না, তবু অম্বা স্তান আহরণের প্রতি তার একটা বলিষ্ঠ অবজ্ঞা আছে। যেখানে দাড়িয়ে আছি সেইখানে অন, এ প্রতিজ্ঞাও অবিনির্মাণের। অবিনশ্বর কীভূত কেন্দ্রে বিশেষণ, এবং এবিনির্মাণ কেন্দ্রসক্তি বিশেষ্য । মর্মে এবং অলংকালে এই ধরনের ক্রীড়া চাবিনির্মাণের স্বভাবধর্ম । | বিগন্ধ শ্রোতা 'প্রতিজ্ঞা করি লালহার রুক্ষ করেছেন নিশ্চই। হ্যা, আমি নাগার্জুনের সেই প্রসিদ্ধ উক্তির কথা ভেবেই 'প্রতিজ্ঞা' কথাটি ব্যবহার করছি।