Skip to Content
শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা (সাহিত্য প্রকাশ)

Price:

900.00 ৳


লোককবিতায় বঙ্গবন্ধু ২ খণ্ডে একত্রে
লোককবিতায় বঙ্গবন্ধু ২ খণ্ডে একত্রে
1,500.00 ৳
1,500.00 ৳
Brave New World (Vintage)
Brave New World (Vintage)
1,000.00 ৳
1,000.00 ৳

শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা (সাহিত্য প্রকাশ)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/3342/image_1920?unique=38b16df

900.00 ৳ 900.0 BDT 900.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

প্রায় পঁচিশ বছর ধরে বাগদেবীর পেছনে পেছেনে ছুটে চলেছি। কখনো তিনি আমাকে নিয়ে যান স্নিগ্ধ উপতক্যায় ,প্রাচীন উদ্যানে, ঝরনাতলায় ,সূর্যোদয়ে ঝলমলে টিলায়, কখনো বা তাকে অনুসরণ করতে গিয়ে পৌঁছে যাই চোরাবালিতে। প্রায়শই ব্যর্থতার কুশে পা ক্ষত-বিক্ষত হয়, মাঝে মাঝে অবসাদ আমাকে লক্ষ্য করে ,যেমন কোনো শবভুক পাখি চক্রাকারে ওড়ে মৃতকল্প পথচারীর ওপর।কিন্তু আমি কখনো হাল ছাড়িনি।কোনো একদিন প্রকৃত সিদ্ধির সন্ধান মিলবে। এই আশায় এখনো যাত্রা অব্যাহত রেখেছি। শেষ পর্যন্ত পণ্ডশ্রম হবে কিনা, জানি না। গন্তব্যে পৌঁছতে পারি আর নাই পারি, আমার পথ চলাতেই আনন্দ। কবিতার লেখার সময় ,কোনো এক রহস্যময় কারণে , আমি শুনতে পাই চাবুকের তুখোড় শব্দ। কোনো নারি আর্তনাদ, একটি মোরগের দৃপ্ত ভঙ্গিমা, কিছু পেয়ারা গাছ , বাগান ঘেরা একতলা বাড়ি, একটি মুখচ্ছবি, তুঁত গাছের ডালের কম্পন,ধিকিয়ে চলা ঘোড়ার গাড়ি, ঘুমন্ত সহিস ভেসে ওঠে দৃষ্টিপথে বারবার। কিছুতেই আগুলো দূরে সরিয়ে দিতে পানি না। যা কিছ মানুষের প্রিয়-অপ্রিয়, যা কিছু জড়িত মানব নিয়তির সঙ্গে, সেসব কিছুই আকর্ষণ করে আমাকে। সবচেয়ে বড় কথা, সুদূর সৌরলোক,এই সরাচর মানুষের মুখ,বাঁচার আনন্দ কিংবা যন্ত্রণা, সবসময় বন্দনীয় মনে হয় আমার কাছে। এসবের বন্দনা-ই কি আমার কবিতা? বলা মুশকিল; কবিতা বড় গূঢ়াশ্রয়ী, বড়গ জটিল। আমি তো জীবনের স্তরে স্তরে প্রবেশ করতে চাই, কুড়িয়ে আনতে চাই পাতালের কালি, তার সকল রহস্যময়তা। যে মানুষ টানেলের বাসিন্দা, যে মানুষ দু:খিত, একাকী, সে যেমন আমার সহচর, তেমনি আমি হাঁটি সেসব মানুষেল ভিড়ে, যারা ভবিষ্যতের দিকে মুখ রেখে তৈরি করে মিছিল। যা হোক, এ যাবৎ আমি এগারোটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছি। এই বইগুলোর সাফল্য কিংবা সার্থকতা বিষয়ে আমি আদৌ চিন্তিত নেই। আসলে, একটি বই লেখা হয়ে যাওয়ার পর সেটি আমাকে বেশি দিন ধরে রাখতে পারে না। আমি বিছিন্ন হয়ে যাই সেই গ্রন্থ থেকে, কেমন নৃষ্পহা হয়ে পড়ি। কবিতা বাছাইয়ের ব্যাপারে তেমন কোনো পরিকল্পনার বশীভূত হই নি, তবে বিষয় -বৈচিত্র্যের দিকে নজর রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। এজন্য এমন কিছু কবিতাও বাদ দিতে হয়েছে,যেগুলো এই গ্রন্থে সঙ্কলিত হলে আমি খুশি হতাম। যেহেতু প্রত্যেক বইয়ের একটি নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতা থাকে; তাই ইচ্ছা থাকলেওেএই সঙ্কলনে নির্বাচিত সব কবিতাকে ঠাঁই দেয়া কিছুতেই সম্ভব নয়। এ কারনেই বাদ পড়েছে অনুবাদ কবিতা এবং শিশুতোষ রচনা। কবিতা বাছাই করতে গিয়ে যদিও আমি নিজের পছন্দকেই বেশি প্রশ্রয় দিয়েছি, তবু এ ব্যাপারে আবুল হোসেন ,রশীদ করীম,জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী এবং কায়সুল হকের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ গ্রহণ করেছি কৃতজ্ঞতা চিত্তে । কবিতা নির্বাচনের সময় এমন কিছুসংখ্যক পাঠকের পছন্দ-অপছন্দের কথাও মনে রেখেছি, যাঁরা আমাকে বারংবার প্রশংস ও নিন্দায় ধন্য করেছেন।

শামসুর রহমান

শামসুর রহমান কবি, সাংবাদিক, তিনি ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার ৪৬ নম্বর মাহুতটুলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক বাড়ি ঢাকা জেলার রায়পুর থানার পাড়াতলী গ্রামে। কবির পিতা মোখলেসুর রহমান চৌধুরী এবং মাতা আমেনা খাতুন। শামসুর রহমান বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি হিসেবে খ্যাত। শামসুর রাহমান ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে ১৯৪৫ সালে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আই.এ পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু তিনি অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। তবে তিনি ১৯৫৩ সালে বি.এ (পাস কোর্স) পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে বর্তমান রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, হাসান হাফিজুর রহমান, সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, সাবের রেজা করিম, তরীকুল আলম, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, বদরুদ্দীন উমর, আবুল মাল আবদুল মুহিত, মোস্তফা কামাল, সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, সৈয়দ আলী কবির, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী প্রমুখ ব্যক্তিত্বের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য শামসুর রাহমান আদমজী পুরস্কার (১৯৬৩), বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৯), জীবনানন্দ পুরস্কার (১৯৭৩), একুশে পদক (১৯৭৭), আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮১), নাসিরউদ্দীন স্বর্ণ পদক (১৯৮১), ভাসানী পুরস্কার (১৯৮২), পদাবলী পুরস্কার (১৯৮৪), স্বাধীনতা পুরস্কারে (১৯৯২) ভূষিত হন। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ১৯৮২ সালে তিনি জাপানের মিতসুবিশি পুরস্কার পান। ১৯৯৪ সালে কলকাতার আনন্দ বাজার পত্রিকা তাঁকে আনন্দ পুরস্কারে ভূষিত করে। ওই বছর তাঁকে সাম্মানিক ডিলিট উপাধীতে ভূষিত করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯৬ সালে সাম্মানিক ডিলিট উপাধী দান করে কলকাতার রবীন্দ্রভারতী। তাঁর মৃত্যু ঢাকায়, ১৮ আগস্ট ২০০৬

Title

শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা (সাহিত্য প্রকাশ)

Author

শামসুর রহমান

Publisher

Shahitya Prakash

Number of Pages

672

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Poems
  • First Published

    JUL 2018

    প্রায় পঁচিশ বছর ধরে বাগদেবীর পেছনে পেছেনে ছুটে চলেছি। কখনো তিনি আমাকে নিয়ে যান স্নিগ্ধ উপতক্যায় ,প্রাচীন উদ্যানে, ঝরনাতলায় ,সূর্যোদয়ে ঝলমলে টিলায়, কখনো বা তাকে অনুসরণ করতে গিয়ে পৌঁছে যাই চোরাবালিতে। প্রায়শই ব্যর্থতার কুশে পা ক্ষত-বিক্ষত হয়, মাঝে মাঝে অবসাদ আমাকে লক্ষ্য করে ,যেমন কোনো শবভুক পাখি চক্রাকারে ওড়ে মৃতকল্প পথচারীর ওপর।কিন্তু আমি কখনো হাল ছাড়িনি।কোনো একদিন প্রকৃত সিদ্ধির সন্ধান মিলবে। এই আশায় এখনো যাত্রা অব্যাহত রেখেছি। শেষ পর্যন্ত পণ্ডশ্রম হবে কিনা, জানি না। গন্তব্যে পৌঁছতে পারি আর নাই পারি, আমার পথ চলাতেই আনন্দ। কবিতার লেখার সময় ,কোনো এক রহস্যময় কারণে , আমি শুনতে পাই চাবুকের তুখোড় শব্দ। কোনো নারি আর্তনাদ, একটি মোরগের দৃপ্ত ভঙ্গিমা, কিছু পেয়ারা গাছ , বাগান ঘেরা একতলা বাড়ি, একটি মুখচ্ছবি, তুঁত গাছের ডালের কম্পন,ধিকিয়ে চলা ঘোড়ার গাড়ি, ঘুমন্ত সহিস ভেসে ওঠে দৃষ্টিপথে বারবার। কিছুতেই আগুলো দূরে সরিয়ে দিতে পানি না। যা কিছ মানুষের প্রিয়-অপ্রিয়, যা কিছু জড়িত মানব নিয়তির সঙ্গে, সেসব কিছুই আকর্ষণ করে আমাকে। সবচেয়ে বড় কথা, সুদূর সৌরলোক,এই সরাচর মানুষের মুখ,বাঁচার আনন্দ কিংবা যন্ত্রণা, সবসময় বন্দনীয় মনে হয় আমার কাছে। এসবের বন্দনা-ই কি আমার কবিতা? বলা মুশকিল; কবিতা বড় গূঢ়াশ্রয়ী, বড়গ জটিল। আমি তো জীবনের স্তরে স্তরে প্রবেশ করতে চাই, কুড়িয়ে আনতে চাই পাতালের কালি, তার সকল রহস্যময়তা। যে মানুষ টানেলের বাসিন্দা, যে মানুষ দু:খিত, একাকী, সে যেমন আমার সহচর, তেমনি আমি হাঁটি সেসব মানুষেল ভিড়ে, যারা ভবিষ্যতের দিকে মুখ রেখে তৈরি করে মিছিল। যা হোক, এ যাবৎ আমি এগারোটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছি। এই বইগুলোর সাফল্য কিংবা সার্থকতা বিষয়ে আমি আদৌ চিন্তিত নেই। আসলে, একটি বই লেখা হয়ে যাওয়ার পর সেটি আমাকে বেশি দিন ধরে রাখতে পারে না। আমি বিছিন্ন হয়ে যাই সেই গ্রন্থ থেকে, কেমন নৃষ্পহা হয়ে পড়ি। কবিতা বাছাইয়ের ব্যাপারে তেমন কোনো পরিকল্পনার বশীভূত হই নি, তবে বিষয় -বৈচিত্র্যের দিকে নজর রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। এজন্য এমন কিছু কবিতাও বাদ দিতে হয়েছে,যেগুলো এই গ্রন্থে সঙ্কলিত হলে আমি খুশি হতাম। যেহেতু প্রত্যেক বইয়ের একটি নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতা থাকে; তাই ইচ্ছা থাকলেওেএই সঙ্কলনে নির্বাচিত সব কবিতাকে ঠাঁই দেয়া কিছুতেই সম্ভব নয়। এ কারনেই বাদ পড়েছে অনুবাদ কবিতা এবং শিশুতোষ রচনা। কবিতা বাছাই করতে গিয়ে যদিও আমি নিজের পছন্দকেই বেশি প্রশ্রয় দিয়েছি, তবু এ ব্যাপারে আবুল হোসেন ,রশীদ করীম,জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী এবং কায়সুল হকের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ গ্রহণ করেছি কৃতজ্ঞতা চিত্তে । কবিতা নির্বাচনের সময় এমন কিছুসংখ্যক পাঠকের পছন্দ-অপছন্দের কথাও মনে রেখেছি, যাঁরা আমাকে বারংবার প্রশংস ও নিন্দায় ধন্য করেছেন।
    No Specifications