অবরুদ্ধ অশ্রুর দিন : পারিবারিক স্মৃতিভাষ্য ১৯৭১
Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)
Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)
Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)
International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.
3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable
Multiple Payment Methods
Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available.
ভােলানাথ বসু, বাগেরহাটের এক পরিবার-প্রধান, সফল। ব্যবসায়ী, হৃদয়বান সজ্জন পরােপকারী পুরুষ, নানা। টানাপােড়েনের মধ্য দিয়ে পথ চলে স্থিত হয়েছেন জীবনে, শহরের বনেদি এক বাড়ির স্বত্ব গ্রহণ করেছেন, হাল ধরেছেন বড় সংসারের, ব্যস্ততার মধ্যেও পুত্র-কন্যাদের মানুষ করে । তলবার দিকে রয়েছেন মনােযােগী। বাংলার আরাে অনেক পরিবারের মতাে জীবনানন্দে তপ্ত সুখময় সংসারযাত্রা হঠাৎ বাধাগ্রস্ত হয় উনিশ শ' একাত্তরে, আন্দোলন-সংগ্রামে উত্তাল। বাগেরহাট থমকে যায় পাকবাহিনী সূচিত গণহত্যাভিযানে। মে। মাসে শহরে প্রবেশ করে সেনাবাহিনী, তাদের সাথে হাত মেলায়। স্থানীয় অনুগত দালালগােষ্ঠী, যারা ভােলানাথ বসুর অপরিচিত নয়, অনেকে তাঁর বদান্যতায় উপকৃতও বটে। এরপর ভােলানাথ। বসুর জীবনপ্রদীপ আকস্মিক কীভাবে নিভিয়ে দেয়া হলাে, নিষ্ঠুর । যে হত্যাকাণ্ড ঘটলাে তাঁরই আপন গৃহে সবার চোখের সামনে, পরিবারের দিশেহারা সদস্যরা, প্রবীণ মাতা থেকে কনিষ্ঠতম। পুত্র, কীভাবে সবাই সেই ভয়ঙ্করতার মুখােমুখি হলেন, রক্তক্ষত। অন্তরে বহন করে অশ্রু অবরুদ্ধ রেখে কেমন করে পরিচালনা। করলেন আরেক সংগ্রাম—সেসব কথা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন ।। চল্লিশ বছর পর সেই স্মৃতিভাষ্য মেলে ধরেছেন পরিবারের সদস্য, পাড়া-প্রতিবেশী নিকটজন এবং বন্ধু-সুহৃদেরা। একাত্তরের নারকীয়তার এ-এক খণ্ড ছবি, নরকাভিজ্ঞতার মুখােমুখি মানুষদের ব্যক্তিগত নিবিড়তম অনুভূতির কষ্টকর। প্রকাশ; তবে এই বয়ান আমাদের সামনে মেলে ধরে ইতিহাসের বড় সত্য, একজন মানুষ ও একটি পরিবারের বেদনায় একাকার হয়ে পড়বেন সকল পাঠক, একাত্তরের গণহত্যাকাণ্ডের প্রতীক হয়ে উঠবেন শহীদ ভােলানাথ বসু।
ভােলানাথ বসু, বাগেরহাটের এক পরিবার-প্রধান, সফল। ব্যবসায়ী, হৃদয়বান সজ্জন পরােপকারী পুরুষ, নানা। টানাপােড়েনের মধ্য দিয়ে পথ চলে স্থিত হয়েছেন জীবনে, শহরের বনেদি এক বাড়ির স্বত্ব গ্রহণ করেছেন, হাল ধরেছেন বড় সংসারের, ব্যস্ততার মধ্যেও পুত্র-কন্যাদের মানুষ করে । তলবার দিকে রয়েছেন মনােযােগী। বাংলার আরাে অনেক পরিবারের মতাে জীবনানন্দে তপ্ত সুখময় সংসারযাত্রা হঠাৎ বাধাগ্রস্ত হয় উনিশ শ' একাত্তরে, আন্দোলন-সংগ্রামে উত্তাল। বাগেরহাট থমকে যায় পাকবাহিনী সূচিত গণহত্যাভিযানে। মে। মাসে শহরে প্রবেশ করে সেনাবাহিনী, তাদের সাথে হাত মেলায়। স্থানীয় অনুগত দালালগােষ্ঠী, যারা ভােলানাথ বসুর অপরিচিত নয়, অনেকে তাঁর বদান্যতায় উপকৃতও বটে। এরপর ভােলানাথ। বসুর জীবনপ্রদীপ আকস্মিক কীভাবে নিভিয়ে দেয়া হলাে, নিষ্ঠুর । যে হত্যাকাণ্ড ঘটলাে তাঁরই আপন গৃহে সবার চোখের সামনে, পরিবারের দিশেহারা সদস্যরা, প্রবীণ মাতা থেকে কনিষ্ঠতম। পুত্র, কীভাবে সবাই সেই ভয়ঙ্করতার মুখােমুখি হলেন, রক্তক্ষত। অন্তরে বহন করে অশ্রু অবরুদ্ধ রেখে কেমন করে পরিচালনা। করলেন আরেক সংগ্রাম—সেসব কথা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন ।। চল্লিশ বছর পর সেই স্মৃতিভাষ্য মেলে ধরেছেন পরিবারের সদস্য, পাড়া-প্রতিবেশী নিকটজন এবং বন্ধু-সুহৃদেরা। একাত্তরের নারকীয়তার এ-এক খণ্ড ছবি, নরকাভিজ্ঞতার মুখােমুখি মানুষদের ব্যক্তিগত নিবিড়তম অনুভূতির কষ্টকর। প্রকাশ; তবে এই বয়ান আমাদের সামনে মেলে ধরে ইতিহাসের বড় সত্য, একজন মানুষ ও একটি পরিবারের বেদনায় একাকার হয়ে পড়বেন সকল পাঠক, একাত্তরের গণহত্যাকাণ্ডের প্রতীক হয়ে উঠবেন শহীদ ভােলানাথ বসু।
No Specifications