Skip to Content
একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর

Price:

850.00 ৳


Atomic Habits by James Clear
Atomic Habits by James Clear
1,798.00 ৳
1,798.00 ৳
Hercule Poirot : The Complete Short Stories
Hercule Poirot : The Complete Short Stories
2,100.00 ৳
2,100.00 ৳

একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/1713/image_1920?unique=f760e98

850.00 ৳ 850.0 BDT 850.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস্ সমগ্র বাংলাদেশে ব্যাপক গণহত্যা চালায়। এই গণহত্যার প্রক্রিয়া এবং প্রকৃতি যেমন ছিলাে পৈশাচিক, ভয়াবহ—তেমনি ছিলাে নৃশংসতা আর নিষ্ঠুরতার স্বাক্ষরবাহী। পাকিস্তানিরা বাঙালিদের কখনাে গুলি করে, কখনাে বেয়ােনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে, কখনাে জবাই করে, কখনাে আগুনে পুড়িয়ে, আবার কখনােবা নির্যাতনের পর গর্তের মধ্যে ফেলে জীবন্ত মাটিচাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পুড়িয়ে এবং জবাই করে হত্যা বিষয়টিতেও ছিলাে নানা প্রক্রিয়া-পদ্ধতি। বর্তমান গ্রন্থে এ বিষয়গুলির পরিচয় পাওয়া যাবে। পাকিস্তানিরা সমগ্র দেশে অসংখ্য নির্যাতন কেন্দ্রও গড়ে তুলেছিলাে। এসব নির্যাতন কেন্দ্রে লক্ষ লক্ষ মা-বােন, যুবা-বৃদ্ধা, শিশু-কিশােরদের ধরে এনে হত্যা করে কবরের নামে যত্রতত্র মাটিচাপা দিয়ে রেখেছিলাে। '৭১-এ গােটা দেশটাই পরিণত হয়েছিলাে বধ্যভূমি আর গণকবরে। হত্যা এবং হত্যার পর লাশগুলি ফেলে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানিরা নির্দিষ্ট কিছু স্থান বেছে নিয়েছিলাে। বর্তমান গ্রন্থের প্রথম ভাগে বৃহত্তর জেলাভিত্তিক বধ্যভূমি ও গণকবরগুলির একটা সাধারণ পরিচয় ইতিহাস আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এতৎসংক্রান্ত সংবাদ, সাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে গ্রন্থের দ্বিতীয় ভাগে—যা পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনায় সহায়ক হবে বলে আমাদের ধারণা। বধ্যভূমি-গণকবর কেন্দ্রিক বেশ কিছু শহীদ স্মারক নির্মিত হয়েছে সারা দেশ জুড়েই। এ সংক্রান্ত সংবাদগুলিও গ্রন্থভুক্ত করা হয়েছে। আলােকচিত্রও রয়েছে বেশ কিছু। আমাদের বিশ্বাস এ গ্রন্থ পাঠে বাংলাদেশের বধ্যভূমি ও গণকবর সম্পর্কে একটি নির্ভরযােগ্য চালচিত্র খুঁজে পাওয়া যাবে।

ড. সুকুমার বিশ্বাস

ড. সুকুমার বিশ্বাস ১৯৪৫ সালের ২রামে বর্তমান চুয়াডাঙ্গা জেলায় অন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় খেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এবং ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ. পাশ করেন। ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯১-৯২ সালে এক বছর কলকাতায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৯৩ সালে জাপানের ইনস্টিটিউট অব ডেভলপিং ইকোনমিস নামক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে প্রফেসর হিরোশি সাতোর সঙ্গে 'Religion and Politics in Bangladesh and West Bengal: A study of Communal Relations' গবেষণা করেন। গবেষণা কাজটি জাপান থেকে প্রকাশিত হয়। একই প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে ১৯৯৬ সালের মে-ডিসেম্বর পর্যন্ত আমন্ত্রিত ফেলো হিসেবে ‘Emergence of Bangladesh : The Japanese Viewpoints' বিষয়ে গবেষণা করেন। গবেষণা -কর্মটি জাপান এবং বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে 'জাতীয় স্বাধীনতার ইতিহাস পরিষদ, ১৯৭৪-১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ রাইফেলস-এর ইতিহাস সেল, ১৯৭৭-৭৮ সালে গঠিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস লিখন ও মুদ্রণ প্রকল্প, ১৯৯০ সালে গঠিত ‘মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র, এবং ১৯৯৬-’৯৭ সালে মুক্তিযুদ্ধের কথ্য ইতিহাস প্রকল্পের একজন গবেষক হিসেবে বিশেষ অবদান রাখেন। বর্তমানে তিনি বাংলা একাডেমী পরিচালিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ : দলিল ও ইতিহাস’ বিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশ প্রকল্লের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: অসহযোগ আন্দোলন ’৭১ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুক্তিব্য (১৯৯৬), বাংলাদেশ : মুক্তিযুদ্ধের ভূগোল-ইতিহাস (১৯৯৬), Japan and the Emergence of Bangladesh (1998), মুক্তিযুদ্ধে রাইফেলস ও অন্যান্য বাহিনী (১৯৯৯)। কেবল ইতিহাস নয়—বাংলাদেশেল সাহিত্য সংস্কৃতি-বিষয়ক বেশ কিছুদিকচিহ্নবাহী গবেষণাগ্রন্থও তাঁর রয়েছে।

ড. সুকুমার বিশ্বাস

ড. সুকুমার বিশ্বাস ১৯৪৫ সালের ২রামে বর্তমান চুয়াডাঙ্গা জেলায় অন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় খেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এবং ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ. পাশ করেন। ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯১-৯২ সালে এক বছর কলকাতায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৯৩ সালে জাপানের ইনস্টিটিউট অব ডেভলপিং ইকোনমিস নামক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে প্রফেসর হিরোশি সাতোর সঙ্গে 'Religion and Politics in Bangladesh and West Bengal: A study of Communal Relations' গবেষণা করেন। গবেষণা কাজটি জাপান থেকে প্রকাশিত হয়। একই প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে ১৯৯৬ সালের মে-ডিসেম্বর পর্যন্ত আমন্ত্রিত ফেলো হিসেবে ‘Emergence of Bangladesh : The Japanese Viewpoints' বিষয়ে গবেষণা করেন। গবেষণা -কর্মটি জাপান এবং বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে 'জাতীয় স্বাধীনতার ইতিহাস পরিষদ, ১৯৭৪-১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ রাইফেলস-এর ইতিহাস সেল, ১৯৭৭-৭৮ সালে গঠিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস লিখন ও মুদ্রণ প্রকল্প, ১৯৯০ সালে গঠিত ‘মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র, এবং ১৯৯৬-’৯৭ সালে মুক্তিযুদ্ধের কথ্য ইতিহাস প্রকল্পের একজন গবেষক হিসেবে বিশেষ অবদান রাখেন। বর্তমানে তিনি বাংলা একাডেমী পরিচালিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ : দলিল ও ইতিহাস’ বিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশ প্রকল্লের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: অসহযোগ আন্দোলন ’৭১ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুক্তিব্য (১৯৯৬), বাংলাদেশ : মুক্তিযুদ্ধের ভূগোল-ইতিহাস (১৯৯৬), Japan and the Emergence of Bangladesh (1998), মুক্তিযুদ্ধে রাইফেলস ও অন্যান্য বাহিনী (১৯৯৯)। কেবল ইতিহাস নয়—বাংলাদেশেল সাহিত্য সংস্কৃতি-বিষয়ক বেশ কিছুদিকচিহ্নবাহী গবেষণাগ্রন্থও তাঁর রয়েছে।

Title

একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর

Author

ড. সুকুমার বিশ্বাস , ড. সুকুমার বিশ্বাস

Publisher

Anupam Prokashani

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Diary
  • Politics
  • Liberation
  • Memories
  • ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস্ সমগ্র বাংলাদেশে ব্যাপক গণহত্যা চালায়। এই গণহত্যার প্রক্রিয়া এবং প্রকৃতি যেমন ছিলাে পৈশাচিক, ভয়াবহ—তেমনি ছিলাে নৃশংসতা আর নিষ্ঠুরতার স্বাক্ষরবাহী। পাকিস্তানিরা বাঙালিদের কখনাে গুলি করে, কখনাে বেয়ােনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে, কখনাে জবাই করে, কখনাে আগুনে পুড়িয়ে, আবার কখনােবা নির্যাতনের পর গর্তের মধ্যে ফেলে জীবন্ত মাটিচাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পুড়িয়ে এবং জবাই করে হত্যা বিষয়টিতেও ছিলাে নানা প্রক্রিয়া-পদ্ধতি। বর্তমান গ্রন্থে এ বিষয়গুলির পরিচয় পাওয়া যাবে। পাকিস্তানিরা সমগ্র দেশে অসংখ্য নির্যাতন কেন্দ্রও গড়ে তুলেছিলাে। এসব নির্যাতন কেন্দ্রে লক্ষ লক্ষ মা-বােন, যুবা-বৃদ্ধা, শিশু-কিশােরদের ধরে এনে হত্যা করে কবরের নামে যত্রতত্র মাটিচাপা দিয়ে রেখেছিলাে। '৭১-এ গােটা দেশটাই পরিণত হয়েছিলাে বধ্যভূমি আর গণকবরে। হত্যা এবং হত্যার পর লাশগুলি ফেলে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানিরা নির্দিষ্ট কিছু স্থান বেছে নিয়েছিলাে। বর্তমান গ্রন্থের প্রথম ভাগে বৃহত্তর জেলাভিত্তিক বধ্যভূমি ও গণকবরগুলির একটা সাধারণ পরিচয় ইতিহাস আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এতৎসংক্রান্ত সংবাদ, সাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে গ্রন্থের দ্বিতীয় ভাগে—যা পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনায় সহায়ক হবে বলে আমাদের ধারণা। বধ্যভূমি-গণকবর কেন্দ্রিক বেশ কিছু শহীদ স্মারক নির্মিত হয়েছে সারা দেশ জুড়েই। এ সংক্রান্ত সংবাদগুলিও গ্রন্থভুক্ত করা হয়েছে। আলােকচিত্রও রয়েছে বেশ কিছু। আমাদের বিশ্বাস এ গ্রন্থ পাঠে বাংলাদেশের বধ্যভূমি ও গণকবর সম্পর্কে একটি নির্ভরযােগ্য চালচিত্র খুঁজে পাওয়া যাবে।
    No Specifications