Skip to Content
মুক্তি কোন পথে

Price:

50.00 ৳


আঙ্গুলিনি (শিশু সাহিত্য)
আঙ্গুলিনি (শিশু সাহিত্য)
120.00 ৳
120.00 ৳
The Evidence Act, 1872
The Evidence Act, 1872
90.00 ৳
90.00 ৳

মুক্তি কোন পথে

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/44123/image_1920?unique=41498b2

50.00 ৳ 50.0 BDT 50.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

মুক্তিযুদ্ধের পর জনগণ কেমন মুক্তি পেলাে? ১৯৭১ সালে আমাদের দেশে একটা যুদ্ধ হয়েছিলাে। এই যুদ্ধকে বলা হয়ে থাকে মুক্তিযুদ্ধ। যে সময় এই মুক্তিযুদ্ধ হয় তখন আমাদের দেশে ছিলাে পাকিস্তানী শাসন। পাকিস্তান রাষ্ট্রের একটি অংশ ছিলাে অনেক দূরে, ভারত পার হয়ে পশ্চিম দিকে। অন্যটি ছিলাে পূর্ব দিকে আমাদের এই দেশ। তাই পশ্চিমের অংশকে বলা হতাে পশ্চিম পাকিস্তান। আমাদের অংশের নাম ছিলাে পূর্ব পাকিস্তান। পাকিস্তান রাষ্ট্রের কেন্দ্র (রাজধানী) ছিলাে পশ্চিমে। সেখান থেকেই তারা শাসন কাজ চালাতাে। আমাদের এই অংশকে নিজেদের শাসনের অধীন রেখেই তারা আমাদের জনগণের ওপর শােষণ নির্যাতন করতাে। এই পাকিস্তানী শােষকরা পশ্চিমে নিজেদের অংশের জনগণকেও শােষণ করতাে এবং তাদের ওপর নির্যাতন চালাতাে। কিন্তু আমাদের দেশের জনগণের ওপর তারা শােষণ নির্যাতন করতাে অনেক বেশী। এ কারণেই আমাদের জনগণ পাকিস্তানী শাসন থেকে মুক্ত হয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলাে। এজন্যই ১৯৭১ সালে শুরু হয়েছিলাে এক সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধ। এই মুক্তিযুদ্ধে আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দেয়, জখম হয়, বাড়ীঘর হারিয়ে তারা পথে বসে। মেয়েদের ওপর অকথ্য নির্যাতন হয়। নয়। মাসের এই যুদ্ধে আমাদের দেশের গরীবরাই আসল লড়াইটা করে। কৃষকের ছেলে, মজুরের ছেলেরাই ছিলাে মুক্তিযােদ্ধাদের বিরাট বড়াে অংশ। তার সাথে ছিলাে শহর ও গ্রামের কিছু মধ্যবিত্ত লােকদের ছেলেরা। নয় মাস ধরে এই যুদ্ধ চলার পর এ অঞ্চলে পাকিস্তান রাষ্ট্র উচ্ছেদ হয়ে কায়েম হয় একটি স্বাধীন সহ বিভিন্ন অনুৎপাদনশীল খাতের খরচ দেশীয় সম্পদ শামিল = সম্পদ ব্যবহার আমাদের মত দেশে কেমনভাবে হয়? একটি বড়াে অপপ্রচার উভয়কেই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে = গরীব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের মুক্তির লড়াই জ্যবাদের বিরুদ্ধেও করতে হবে কেই ওড়াতে হবে নিজেদের মুক্তির পতাকা বাঙলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এখানে বাঙালীদের শাসন জারী হয়। বাঙালীদের স্বার্থে সব কিছু চলতে থাকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও জনগণের জীবনে কোন পরিবর্তন আসে না। যারা ক্ষমতায় বসে তারা পাকিস্তানীদের মতােই শােষণ চালায়। জনগণের ওপর চালায় নির্যাতন। সব রকম বিরােধিতা তারা দমন করতে দাঁড়ায় কঠোর হাতে। হাজার হাজার মানুষ তারা খুন করে, বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দিয়ে অগুনতি মানুষকে করে ছিন্নমূল, ভবঘুরে। মানুষের হওয়া পরা, বাড়ীঘর, চিকিৎসা, শিক্ষা কোন কিছুর ব্যবস্থাই না করে তারা নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে থাকে। বাড়ী, গাড়ী, নানা সম্পত্তির অধিকারী হয়ে তারা হয় আঙুল ফুলে কলা গাছের মতাে। জনগণের মধ্যে এ সবের বিরুদ্ধে আন্দোলনের তাগিদ সৃষ্টি হয়। তারা মনে করতে থাকে পাকিস্তানের পর বাঙলাদেশ স্বাধীন হয়ে তাদের কোন উপকার ওল। বাঙলাদেশও তাদের জন্য হয়েছে আর একটি পাকিস্তান।

Badruddin Umar

বদরুদ্দীন উমর (জন্ম: ২০ ডিসেম্বর ১৯৩১) একজন বাংলাদেশি মার্কসবাদী–লেনিনবাদী তাত্ত্বিক, রাজনৈতিক সক্রিয়তাবাদী, ইতিহাসবিদ, লেখক, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) (উমর)-এর নেতা। তিন খণ্ডে উমর রচিত পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি (১৯৭০, ১৯৭৬, ১৯৮১) বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস রচনায় পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচিত।তার পিতা আবুল হাশিম ভারতীয় উপমহাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ছিলেন।প্রথমে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে। বদরুদ্দীন উমর ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের যাত্রা শুরু হয় তারই হাত ধরে। ১৯৬৮তে পদত্যাগ করেন। তিনি সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী ছিলেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের। তিনি সভাপতি আছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের এবং বাংলাদেশ লেখক শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে 'সংস্কৃতি' নামে একটি রাজনৈতিক সাময়িকী সম্পাদনা করেছেন। তিনি ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। তাকে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ১৯৭৬ সালের মাঝামঝি অনুষ্ঠেয় বিশেষ কংগ্রেসের প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়।

Title

মুক্তি কোন পথে

Author

Badruddin Umar

Publisher

Shrabon Prokashani

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Essays
  • মুক্তিযুদ্ধের পর জনগণ কেমন মুক্তি পেলাে? ১৯৭১ সালে আমাদের দেশে একটা যুদ্ধ হয়েছিলাে। এই যুদ্ধকে বলা হয়ে থাকে মুক্তিযুদ্ধ। যে সময় এই মুক্তিযুদ্ধ হয় তখন আমাদের দেশে ছিলাে পাকিস্তানী শাসন। পাকিস্তান রাষ্ট্রের একটি অংশ ছিলাে অনেক দূরে, ভারত পার হয়ে পশ্চিম দিকে। অন্যটি ছিলাে পূর্ব দিকে আমাদের এই দেশ। তাই পশ্চিমের অংশকে বলা হতাে পশ্চিম পাকিস্তান। আমাদের অংশের নাম ছিলাে পূর্ব পাকিস্তান। পাকিস্তান রাষ্ট্রের কেন্দ্র (রাজধানী) ছিলাে পশ্চিমে। সেখান থেকেই তারা শাসন কাজ চালাতাে। আমাদের এই অংশকে নিজেদের শাসনের অধীন রেখেই তারা আমাদের জনগণের ওপর শােষণ নির্যাতন করতাে। এই পাকিস্তানী শােষকরা পশ্চিমে নিজেদের অংশের জনগণকেও শােষণ করতাে এবং তাদের ওপর নির্যাতন চালাতাে। কিন্তু আমাদের দেশের জনগণের ওপর তারা শােষণ নির্যাতন করতাে অনেক বেশী। এ কারণেই আমাদের জনগণ পাকিস্তানী শাসন থেকে মুক্ত হয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলাে। এজন্যই ১৯৭১ সালে শুরু হয়েছিলাে এক সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধ। এই মুক্তিযুদ্ধে আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দেয়, জখম হয়, বাড়ীঘর হারিয়ে তারা পথে বসে। মেয়েদের ওপর অকথ্য নির্যাতন হয়। নয়। মাসের এই যুদ্ধে আমাদের দেশের গরীবরাই আসল লড়াইটা করে। কৃষকের ছেলে, মজুরের ছেলেরাই ছিলাে মুক্তিযােদ্ধাদের বিরাট বড়াে অংশ। তার সাথে ছিলাে শহর ও গ্রামের কিছু মধ্যবিত্ত লােকদের ছেলেরা। নয় মাস ধরে এই যুদ্ধ চলার পর এ অঞ্চলে পাকিস্তান রাষ্ট্র উচ্ছেদ হয়ে কায়েম হয় একটি স্বাধীন সহ বিভিন্ন অনুৎপাদনশীল খাতের খরচ দেশীয় সম্পদ শামিল = সম্পদ ব্যবহার আমাদের মত দেশে কেমনভাবে হয়? একটি বড়াে অপপ্রচার উভয়কেই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে = গরীব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের মুক্তির লড়াই জ্যবাদের বিরুদ্ধেও করতে হবে কেই ওড়াতে হবে নিজেদের মুক্তির পতাকা বাঙলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এখানে বাঙালীদের শাসন জারী হয়। বাঙালীদের স্বার্থে সব কিছু চলতে থাকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও জনগণের জীবনে কোন পরিবর্তন আসে না। যারা ক্ষমতায় বসে তারা পাকিস্তানীদের মতােই শােষণ চালায়। জনগণের ওপর চালায় নির্যাতন। সব রকম বিরােধিতা তারা দমন করতে দাঁড়ায় কঠোর হাতে। হাজার হাজার মানুষ তারা খুন করে, বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দিয়ে অগুনতি মানুষকে করে ছিন্নমূল, ভবঘুরে। মানুষের হওয়া পরা, বাড়ীঘর, চিকিৎসা, শিক্ষা কোন কিছুর ব্যবস্থাই না করে তারা নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে থাকে। বাড়ী, গাড়ী, নানা সম্পত্তির অধিকারী হয়ে তারা হয় আঙুল ফুলে কলা গাছের মতাে। জনগণের মধ্যে এ সবের বিরুদ্ধে আন্দোলনের তাগিদ সৃষ্টি হয়। তারা মনে করতে থাকে পাকিস্তানের পর বাঙলাদেশ স্বাধীন হয়ে তাদের কোন উপকার ওল। বাঙলাদেশও তাদের জন্য হয়েছে আর একটি পাকিস্তান।
    No Specifications