কবিয়াল বিজয়ের আত্মকথা : নদী চলে সাগর সন্ধানে

বিজয় সরকারের আত্মকথা তাঁর তিরােধানের পরে এক অংশ মানিক বিশ্বাসের কাছে আরেক অংশ ডাঃ খগেন বিশ্বাসের কাছে থেকে যায়। আমার অনুলিখিত অংশ থাকে আমার কাছে। মূলতঃ মানিক বাবুর লেখা খগেন বাবুর লেখারই অনুকৃতি, ঐ গুলাের মূললেখক খগেন বাবু। মানিক বাবু কিছু উপশিরােনাম দিয়েছিলেন, সম্পদনার সময় তা সবটা রক্ষা করা সম্ভব হয় নি। যা হােক পরবর্তী কালে মানিক বাবু ও খগেন বাবুর অনুলেখার ফটোকপি ভারত ও বাংলাদেশের কয়েকজনের হাতে চলে যায়। ভারতে স্থায়ী বসবাসকারী একজন বিজয়ভক্ত আমার ঢাকার অফিসে আমার অনুলেখা পাণ্ডুলিপির অংশ নিতে এসেছিলেন। নানা বিষয়ে আলােচনা করলেও তিনি আমার অনুলেখা ‘বিজয়ের আত্মকথা’ চাইতে সাহসি হন নি। এদিকে নড়াইলে খোঁজখবর নিয়ে জানলাম, আমার অসম্ভব প্রিয়ভাজন ও শুভার্থী মানিক বিশ্বাস পরলােক গমন করেছেন। খগেন বিশ্বাসও খুব সুস্থ নন। ইতােমধ্যে মানিক বাবু ও খগেন বাবুর অনুলেখা পাণ্ডুলিপির অংশবিশেষ ভারতের একটি প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন কবিয়াল বিজয় সরকারের জ্যেষ্ঠ পুত্র কাজল অধিকারী। তিনি দুঃখের সঙ্গে আমাকে টেলিফোনে জানিয়েছেন ঐ প্রকাশনীর সঙ্গে জড়িত কয়েকজন তাদের ইচ্ছে মতাে পাণ্ডুলিপিতে নিজেদের মত সংযােজন ও বিয়ােজন করেছেন- যা সত্যের অপলাপ।। আমি ভেবেছিলাম, মানিক বাবু ও খগেন বাবুর অনুলেখা পাণ্ডুলিপির ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়া আরও কোনও অংশ যদি পাই তা হলে অনুলেখা অংশ দিয়ে কবিয়াল বিজয় সরকারের আত্মকথা : নদী চলে সাগর সন্ধানে প্রকাশ করবাে। এই ভাবে বেশ দিন গত হলাে কিন্তু আর না, যা পেয়েছি তা-ই দিয়েই গ্রন্থ সম্পাদনা করলাম । মানিক বাবুর অনুলেখা কিছু অংশ পাণ্ডুলিপি আমাকে ডা. মােস্তাফিজুর রহমান দিয়েছেন তা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি।