Skip to Content
বঙ্গবন্ধুকে যেমন দেখেছি (মাওলা)

Price:

550.00 ৳


জয়ন্তী মৌচাক
জয়ন্তী মৌচাক
500.00 ৳
500.00 ৳
Selected Poems (Joy Goswami)
Selected Poems (Joy Goswami)
700.00 ৳
700.00 ৳

বঙ্গবন্ধুকে যেমন দেখেছি (মাওলা)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/14352/image_1920?unique=c773b04

550.00 ৳ 550.0 BDT 550.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানের ফেলে যাওয়া বেআইনি অস্ত্রধারী দুষ্কৃতিকারীরা স্বাধীনতাবিরােধীদের হাতের ক্রীড়নক হয়ে বঙ্গবন্ধুর সরকারকে বিব্রত করতে উঠেপড়ে লেগে যায়। সে অবস্থায়ও তিনি দেশে আইনের শাসন। প্রতিষ্ঠায় কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলে যখন সাত খুন সংঘটিত হয় তখন বঙ্গবন্ধু ফুসফুসে রক্তক্ষরণজনিত রােগের চিকিৎসার জন্য সস্ত্রীক সােভিয়েত সরকারের বিশেষ নিমন্ত্রণে তাদের প্রেরিত রাষ্ট্রীয় বিমানে চড়ে সােভিয়েত ইউনিয়নে; প্রেসিডেন্ট পদগনির সাথে। আলাপরত অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব কানে কানে বললেন দুর্ঘটনার কথা। শুনে তিনি নিশ্ৰুপ হয়ে গেলেন। এ খবর তাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। ১৯৭৪ সালের এপ্রিল মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব মনসুর আলীর আদেশে সাত সকালেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তায় আততায়ীদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হই। মনে মনে সিদ্ধান্ত নেই অপরাধীদের আটক করে আইনের আওতায় আনতেই হবে। ঘটনা পরম্পরা নিশ্চিত হয়ে ছুটে গেলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসগৃহে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, “যেভাবেই হােক আটক করে ওদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করে ফেললাে। বঙ্গবন্ধু। দেশে ফেরার আগেই। কোন রকম ছাড় দিবা না।' আমি দ্রুতগতিতে আসামিদের আটক করে প্রধান প্রধান। কয়েকজনের কাছ থেকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে তৈরি হই। বঙ্গবন্ধুর দেশে প্রত্যাবর্তনের পর প্রমাণাদিসহ মামলার আদি-অন্ত তাকে বিস্তারিত বর্ণনা। করি। তিনি প্রয়ােজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য হুকুম দেন। তিনি শুধু বলেন, ‘পদগনির সঙ্গে কথা বলার সময় এই খবরটা আমি পেয়েছি। লজ্জায় আমার মাথা হেট হয়ে গেছে। কোনাে অবস্থাতেই এদের কোনাে ছাড় নাই। তাড়াতাড়ি চার্জশিট দেওয়ার ব্যবস্থা করবি। যে। দলেরই হােক না কেন তাকে কঠিন সাজা পেতেই হবে। তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।'

মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম

মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম পরাধীনতার নাগপাশ থেকে এদেশকে যারা মুক্ত করলেন জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অন্যতম মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম। ‘এসপি মাহবুব’ নামে তিনি সমধিক পরিচিত। ন্যায়-নীতিতে অটল, সদা হাস্যোজ্জ্বল আলােকিত মাহবুবের জন্ম ১৯৪৫ সালের ৩ জানুয়ারি বরিশাল জেলার আমানতগঞ্জে । পিতা আলতাফ উদ্দিন আহমদ, মাতা জেবুন্নেসা বেগম। তাঁর। পূর্বপুরুষের বসবাস ছিল মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি উপজেলার রব নগরকান্দি। তিনি ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। একই সময়ে সাংবাদিকতায়ও ডিপ্লোমা অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে তল্কালীন পাকিস্তান পুলিশ সার্ভিসে যােগদান করেন এবং বিভিন্ন। দায়িত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন। তিনি ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ থেকে জুলাই ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ঢাকার পুলিশ সুপার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ঝিনাইদহ ও সশস্ত্র সংগ্রামের অধিনায়কও ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে অনুষ্ঠিত প্রথম স্বাধীন। বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতিকে ‘গার্ড অব অনার প্রদানে নেতৃত্ব দান করেন। সুদীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের সাব-সেক্টর কমান্ডার হিসেবে সাতক্ষীরার ভােমরা, বেলেডাঙ্গা, কাকডাঙ্গাসহ বিভিন্ন রণাঙ্গনে পাকিস্তানিদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাঁকে ‘বীরবিক্রম খেতাবে ভূষিত করেন সরকার। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর পরই তার ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে দীর্ঘদিন কারা নির্যাতন ভােগ করেন। ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর তার। পিতা পরলােকগমন করলে তিনি কয়েক ঘণ্টার জন্য প্যারােলে সশস্ত্র পুলিশ প্রহরায় কারামুক্ত হয়ে পিতার শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টে রিটের মাধ্যমে মুক্ত হয়ে তিনি শিল্প, ব্যবসা ও রাজনীতিতে আত্মনিয়ােগ করেন। বর্তমানে মুক্তিযােদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের সমন্বয়ে গঠিত। বিভিন্ন সামাজিক ও সেবাধর্মী সংগঠনের সাথে জড়িত। বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি সবসময় প্রস্তুত। পারিবারিক জীবনে সহধর্মিণী নূপুর আহমদ, পুত্র আরনীব মাহবুব, কন্যা। তাহিয়া মাহবুব ও ফারনাজ মাহবুবকে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার।

Title

বঙ্গবন্ধুকে যেমন দেখেছি (মাওলা)

Author

মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম

Publisher

Mowla Brothers

Number of Pages

251

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Bangabandhu
  • Biography
  • First Published

    FEB 2022

    মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানের ফেলে যাওয়া বেআইনি অস্ত্রধারী দুষ্কৃতিকারীরা স্বাধীনতাবিরােধীদের হাতের ক্রীড়নক হয়ে বঙ্গবন্ধুর সরকারকে বিব্রত করতে উঠেপড়ে লেগে যায়। সে অবস্থায়ও তিনি দেশে আইনের শাসন। প্রতিষ্ঠায় কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলে যখন সাত খুন সংঘটিত হয় তখন বঙ্গবন্ধু ফুসফুসে রক্তক্ষরণজনিত রােগের চিকিৎসার জন্য সস্ত্রীক সােভিয়েত সরকারের বিশেষ নিমন্ত্রণে তাদের প্রেরিত রাষ্ট্রীয় বিমানে চড়ে সােভিয়েত ইউনিয়নে; প্রেসিডেন্ট পদগনির সাথে। আলাপরত অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব কানে কানে বললেন দুর্ঘটনার কথা। শুনে তিনি নিশ্ৰুপ হয়ে গেলেন। এ খবর তাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। ১৯৭৪ সালের এপ্রিল মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব মনসুর আলীর আদেশে সাত সকালেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তায় আততায়ীদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হই। মনে মনে সিদ্ধান্ত নেই অপরাধীদের আটক করে আইনের আওতায় আনতেই হবে। ঘটনা পরম্পরা নিশ্চিত হয়ে ছুটে গেলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসগৃহে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, “যেভাবেই হােক আটক করে ওদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করে ফেললাে। বঙ্গবন্ধু। দেশে ফেরার আগেই। কোন রকম ছাড় দিবা না।' আমি দ্রুতগতিতে আসামিদের আটক করে প্রধান প্রধান। কয়েকজনের কাছ থেকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে তৈরি হই। বঙ্গবন্ধুর দেশে প্রত্যাবর্তনের পর প্রমাণাদিসহ মামলার আদি-অন্ত তাকে বিস্তারিত বর্ণনা। করি। তিনি প্রয়ােজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য হুকুম দেন। তিনি শুধু বলেন, ‘পদগনির সঙ্গে কথা বলার সময় এই খবরটা আমি পেয়েছি। লজ্জায় আমার মাথা হেট হয়ে গেছে। কোনাে অবস্থাতেই এদের কোনাে ছাড় নাই। তাড়াতাড়ি চার্জশিট দেওয়ার ব্যবস্থা করবি। যে। দলেরই হােক না কেন তাকে কঠিন সাজা পেতেই হবে। তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।'
    No Specifications