Skip to Content
আয়না ভাঙার পর

Price:

320.00 ৳


Fearless Freedom (Penguin)
Fearless Freedom (Penguin)
600.00 ৳
600.00 ৳
ছায়াছবির ছায়াপথে
ছায়াছবির ছায়াপথে
400.00 ৳
400.00 ৳

আয়না ভাঙার পর

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/22122/image_1920?unique=531b500

320.00 ৳ 320.0 BDT 320.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

'আয়না' নিয়ে রহস্য, রূপকথা বা সংস্কারের কি আর শেষ আছে। গ্রিসের প্রাচীন গাথায় বলা আছে, সেই সময় ডাইনিরা তাদের দৈবাদেশ ও বাণীগুলো লিখে রাখতো গোপন সব আয়নার মাধ্যমে। প্রাচীন রোমেও ধর্মগুরুরা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বর্ণনা করার জন্যে আয়না ব্যবহার করতেন। প্রাচীন মিশরীয়রা অন্য ভুবনের সঙ্গে সংযোগ সাধনার ক্ষেত্রে আয়নার উল্টো পিঠে ব্যবহার করতো মিহি তাম্রচূর্ণ। কারণ তাদের ধারণা ছিল, সৌন্দর্য, প্রেম, কাম, সমৃদ্ধি ও জাদুর দেবী 'হাথোর'-এর বিশেষ সম্পর্ক ছিল উজ্জ্বল ধাতু এই তামার সঙ্গে। প্রাচীন চীনে চাঁদের স্বর্গীয় শক্তি ধরে রাখার জন্যে ব্যবহার করা হতো বিশাল জাদুর আয়না। সেই আয়নার দিকে তাকানো মানুষের মুখে তাকিয়ে বলে দেওয়া যেতো তাদের গোপন চিন্তা-ভাবনা ও মনের আসল খবর। প্রাচীন অ্যাজটেকদের বিশ্বাস ছিল আরও অন্যরকম। তাদের রাত্রি, সময় ও বংশ পরিক্রমায় পাওয়া স্মৃতির দেবতা আয়নাকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে স্বর্গলোক থেকে নেমে আসতেন এই মাটির পৃথিবীতে। এমনিভাবে সুদূর প্রাচীন যুগ থেকে আজ পর্যন্ত এমন আশ্চর্য সব লোকবিশ্বাসের কাছে হার মেনেছে মানুষের যুক্তি। এমনকি হারিয়ে যাওয়া বস্তু কিংবা মানুষের সন্ধানও নিখুঁত বলে দিতে পারে - এমন জাদুর আয়নাও নাকি খুঁজে পাওয়া যাবে পৃথিবীতে। কাল পরম্পরায় আয়না যেমন করে সৌভাগ্য ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠেছে, তেমনি কখনওবা বয়ে আনতে পারে চির দুর্ভাগ্যের পরিণতি। আয়না ভাঙার পর মানুষের বিশ্বাসে তাই তো তা হয়ে ওঠে ভাগ্যের অনিবার্য এক নিয়ন্তা। কিন্তু আয়না ভেঙে গেলে সত্যিই কি কিছু হয়? মানুষের ভেতরকার বিশ্বাসের প্রতীক রূপ এখানে 'আয়না'। তাই 'আয়না' ভাঙা মানে স্বার্থ নিয়ে টানাটানি, মান-অভিমান, দ্বেষ-বিদ্বেষ, ভুল-বোঝাবুঝি এবং চারপাশের চেনা জীবনের টুকরো-ছিন্ন-মমতাহীন কিছু পারিপার্শ্বিক দৃশ্যের সূচনা মাত্র। মানুষের অখণ্ড বিশ্বাস কীভাবে মুহূর্তে টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে যায় আয়না কেবল সে-কথাই বলে। আসলে মানুষের সামগ্রিক জীবন ও অবধারিত পারিবারিক টানাপড়েনের সত্যিকার যাপনচিত্র এই 'আয়না'। আয়না ভাঙার পর তাই যে ভাঙা টুকরোগুলো এদিক-ওদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে সেগুলোও এক একটা মুক্ত স্বাধীন আয়না। তাতেও জীবনের পূর্ণ প্রতিবিম্ব দেখা যেতে পারে যদি কেউ সঠিকভাবে দেখতে চায়। কে কীভাবে দেখবে সেটাই আসল, সেখানেই আপেক্ষিকতা। ঠিক তেমনি জীবনের ছোট ছোট ঘটনাতে যে সত্য, অর্ধসত্য কিংবা অস্বচ্ছ ধূসর কাহিনি ভেসে ওঠে সেটাকে পূর্ণ জীবন মনে না করাই শ্রেয়। সবগুলো ভাঙা খণ্ড একসঙ্গে জড়ো করে জোড়া দিলে চিড় ধরা আয়নাই মিলতে পারে। সেগুলো পূর্ণাঙ্গ জীবনের মাঝে সন্দেহ, অবিশ্বাস আর দূরত্ব ছাড়া আর কিছুই তৈরি করে না। তাই আয়না ভাঙার পর খণ্ডগুলোকে জোড়া দিতে হবে সুনিপুণ কৌশলে, সতর্ক সাবধানে – যেন কখনোই তা সত্যিকার মহৎ জীবনের চেয়ে বড় ও শক্তিমান হয়ে উঠতে না পারে। 'আয়না ভাঙার পর আমার ষষ্ঠ গল্পবই যেখানে উঠে এসেছে মানুষের সেই বিশ্বাসেরই গল্প। তাদের জীবনের বিশ্বাস-অবিশ্বাস অর্ধবিশ্বাস সব অখণ্ড থাকুক অটুট এক আয়নারই মতো হোক সে জাদুর বা বাস্তবের, রহস্য কিংবা - কল্পনার।

মঈনুল হাসান

মঈনুল হাসান কথাসাহিত্যিক, জন্ম : ১৯৭৮ সালের ৪ আগস্ট ঢাকার তেজগাঁওয়ে। শিক্ষা : ঢাকার বটমলী হােম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লােকপ্রশাসন বিভাগ থেকে বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস ডিগ্রি অর্জন। পরবর্তীকালে সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের পর যুক্তরাজ্যের University of Bedfordshire (26% MA in International Human Resource Management বিষয়েও ডিগ্রি অর্জন। বর্তমানে উপসচিব হিসেবে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাবিভাগে কর্মরত। প্রকাশনা : ফুলকুড়ানি মেয়ে (ছােটদের কাব্যগ্রন্থ), বাস্তুসাপ (গল্পগ্রন্থ), সন্ধ্যা নামার আগে (গল্পগ্রন্থ), কল্পে গল্পে ইলিশ (সম্পাদিত গল্প সংকলন), জলসংসার (গল্পগ্রন্থ), শরফুন ও এক শহরের বৃত্তান্ত (গল্পগ্রন্থ), রাঙা শালুক (ছড়াগ্রন্থ), শিল্পী-সাহিত্যিকের স্মৃতিতে বঙ্গবন্ধু (সম্পাদিত গ্রন্থ)।

Title

আয়না ভাঙার পর

Author

মঈনুল হাসান

Publisher

Bengal Publication

Number of Pages

103

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Short Story
  • First Published

    FEB 2023

    'আয়না' নিয়ে রহস্য, রূপকথা বা সংস্কারের কি আর শেষ আছে। গ্রিসের প্রাচীন গাথায় বলা আছে, সেই সময় ডাইনিরা তাদের দৈবাদেশ ও বাণীগুলো লিখে রাখতো গোপন সব আয়নার মাধ্যমে। প্রাচীন রোমেও ধর্মগুরুরা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বর্ণনা করার জন্যে আয়না ব্যবহার করতেন। প্রাচীন মিশরীয়রা অন্য ভুবনের সঙ্গে সংযোগ সাধনার ক্ষেত্রে আয়নার উল্টো পিঠে ব্যবহার করতো মিহি তাম্রচূর্ণ। কারণ তাদের ধারণা ছিল, সৌন্দর্য, প্রেম, কাম, সমৃদ্ধি ও জাদুর দেবী 'হাথোর'-এর বিশেষ সম্পর্ক ছিল উজ্জ্বল ধাতু এই তামার সঙ্গে। প্রাচীন চীনে চাঁদের স্বর্গীয় শক্তি ধরে রাখার জন্যে ব্যবহার করা হতো বিশাল জাদুর আয়না। সেই আয়নার দিকে তাকানো মানুষের মুখে তাকিয়ে বলে দেওয়া যেতো তাদের গোপন চিন্তা-ভাবনা ও মনের আসল খবর। প্রাচীন অ্যাজটেকদের বিশ্বাস ছিল আরও অন্যরকম। তাদের রাত্রি, সময় ও বংশ পরিক্রমায় পাওয়া স্মৃতির দেবতা আয়নাকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে স্বর্গলোক থেকে নেমে আসতেন এই মাটির পৃথিবীতে। এমনিভাবে সুদূর প্রাচীন যুগ থেকে আজ পর্যন্ত এমন আশ্চর্য সব লোকবিশ্বাসের কাছে হার মেনেছে মানুষের যুক্তি। এমনকি হারিয়ে যাওয়া বস্তু কিংবা মানুষের সন্ধানও নিখুঁত বলে দিতে পারে - এমন জাদুর আয়নাও নাকি খুঁজে পাওয়া যাবে পৃথিবীতে। কাল পরম্পরায় আয়না যেমন করে সৌভাগ্য ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠেছে, তেমনি কখনওবা বয়ে আনতে পারে চির দুর্ভাগ্যের পরিণতি। আয়না ভাঙার পর মানুষের বিশ্বাসে তাই তো তা হয়ে ওঠে ভাগ্যের অনিবার্য এক নিয়ন্তা। কিন্তু আয়না ভেঙে গেলে সত্যিই কি কিছু হয়? মানুষের ভেতরকার বিশ্বাসের প্রতীক রূপ এখানে 'আয়না'। তাই 'আয়না' ভাঙা মানে স্বার্থ নিয়ে টানাটানি, মান-অভিমান, দ্বেষ-বিদ্বেষ, ভুল-বোঝাবুঝি এবং চারপাশের চেনা জীবনের টুকরো-ছিন্ন-মমতাহীন কিছু পারিপার্শ্বিক দৃশ্যের সূচনা মাত্র। মানুষের অখণ্ড বিশ্বাস কীভাবে মুহূর্তে টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে যায় আয়না কেবল সে-কথাই বলে। আসলে মানুষের সামগ্রিক জীবন ও অবধারিত পারিবারিক টানাপড়েনের সত্যিকার যাপনচিত্র এই 'আয়না'। আয়না ভাঙার পর তাই যে ভাঙা টুকরোগুলো এদিক-ওদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে সেগুলোও এক একটা মুক্ত স্বাধীন আয়না। তাতেও জীবনের পূর্ণ প্রতিবিম্ব দেখা যেতে পারে যদি কেউ সঠিকভাবে দেখতে চায়। কে কীভাবে দেখবে সেটাই আসল, সেখানেই আপেক্ষিকতা। ঠিক তেমনি জীবনের ছোট ছোট ঘটনাতে যে সত্য, অর্ধসত্য কিংবা অস্বচ্ছ ধূসর কাহিনি ভেসে ওঠে সেটাকে পূর্ণ জীবন মনে না করাই শ্রেয়। সবগুলো ভাঙা খণ্ড একসঙ্গে জড়ো করে জোড়া দিলে চিড় ধরা আয়নাই মিলতে পারে। সেগুলো পূর্ণাঙ্গ জীবনের মাঝে সন্দেহ, অবিশ্বাস আর দূরত্ব ছাড়া আর কিছুই তৈরি করে না। তাই আয়না ভাঙার পর খণ্ডগুলোকে জোড়া দিতে হবে সুনিপুণ কৌশলে, সতর্ক সাবধানে – যেন কখনোই তা সত্যিকার মহৎ জীবনের চেয়ে বড় ও শক্তিমান হয়ে উঠতে না পারে। 'আয়না ভাঙার পর আমার ষষ্ঠ গল্পবই যেখানে উঠে এসেছে মানুষের সেই বিশ্বাসেরই গল্প। তাদের জীবনের বিশ্বাস-অবিশ্বাস অর্ধবিশ্বাস সব অখণ্ড থাকুক অটুট এক আয়নারই মতো হোক সে জাদুর বা বাস্তবের, রহস্য কিংবা - কল্পনার।
    No Specifications