নাসির আলী মামুন
নাসির আলী মামুন (জন্ম জুলাই ১, ১৯৫৩) একজন বাংলাদেশি প্রতিকৃতি আলোকচিত্রী, লেখক এবং সাক্ষাৎকারগ্রহীতা। শিল্পাঙ্গনে তিনি "ক্যামেরার কবি" হিসেবেও পরিচিত। বাংলাদেশের প্রতিকৃতি আলোকচিত্রাঙ্গণে গত চার দশকের বেশি সময় ধরে তিনি অগ্রণী হিসেবেও ভূমিকা রাখেন। সাধারণ নারী-পুরুষের পাশাপাশি তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রায় শতাধিক কবি, শিল্পী, লেখক, রাজনীতিবিদদের প্রতিকৃতি ক্যামেরায় ধারণ করেছেন। সত্তরের দশকে বাংলাদেশে তিনি প্রথম প্রতিকৃতি আলোকচিত্রের সূচনা করেন। পাশাপাশি লেখক এবং সাক্ষাৎকারগ্রহীতা হিসেবে তার ১১টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার তোলা প্রতিকৃতি আলোকচিত্রের সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি। এছাড়াও পঞ্চাশের অধিক একক আলোকচিত্র প্রদর্শনি আয়োজিত হয়েছে। ২০১৩ সালে ষাটতম জন্মবার্ষিকীতে,তার সাক্ষাৎকার অবলম্বনে নাসির আলী মামুন: তার আলো তার ছায়া নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। ২০০৯ সালে নাসির আলী মামুনের কাজের উপর ভিত্তি করে মন্জুরুল আলম পলাশ "পোয়েট অব ক্যামেরা" শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। মামুন শৈশব থেকে ক্যামেরা নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছেন। ১৯৬৯ সাল থেকে গত ৪৫ বছর ধরে তিনি শুধুমাত্র প্রতিকৃতি আলোকচিত্রে ধ্যান-সাধনা করেছেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে তিনি প্রথম প্রতিকৃতি আলোকচিত্র ধারার অবতারনা ঘটান। বাংলাদেশের শিল্পী পরিতোষ সেন, কামরুল হাসান, এসএম সুলতান, কাজী আবুল কাশেম, আমিনুল ইসলাম, যোগেন চৌধুরী, সুহাস চক্রবর্তী, দেবদাস চক্রবর্তী, মনিরুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ ইউনূস, সন্তুর সম্রাট শিবকুমার শর্মা, ঠুমরি রানী বিদুষী গিরিজা দেবী, কবি শামসুর রাহমান, নির্মলেন্দু গুণ, বরেণ্য শিক্ষাবিদ আবদুর রাজ্জাক, আহমদ ছফা, আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান, সুফিয়া কামাল, জসীম উদ্ দীন, শামসুর রাহমান, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, বদরুদ্দীন উমর, গুন্টার গ্রাস, অ্যালেন গিন্সবার্গসহ শতাধিক খ্যাতিমান ব্যক্তির প্রতিকৃতি আলোকচিত্রী মামুনের ক্যামেরায় অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। কবি শামসুর রাহমান তার সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে তাকে ক্যামেরার কবি বলে মন্তব্য করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে মামুন নাজমুন নেসাকে বিয়ে করেন এবং বর্তমানে তারা একসাথে ঢাকায় বাস করছেন। অন্যতম তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান।