কপিল ঘোষ
কপিল ঘোষ সাংবাদিকতায় একসাথে লেখাপড়া করেছি। এখন তিনি সংবাদ-কর্মী ও উন্নয়নকর্মী। সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তার ভূমিকা রয়েছে। তার জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৭৮। শান্তির অন্বেষণে তিনি বারবার বাড়ি ছেড়েছেন। ১৯৯৪ সালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ‘ফুজি ফটোগ্রাফিক্সে’ ১১ মাস ফটোগ্রাফির কাজ শেখেন। ১৯৯৭ সালে বাগেরহাটের দৈনিক দূত, খুলনার দৈনিক জন্মভূমি এবং এনামুর রেজা দীপুর নির্বাহী সম্পাদনায় প্রকাশিত খবর গ্রুপের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন চিত্রবাংলায় লেখা শুরু করেন। এ বছরই কলেজ ভাঙচুরের ছবি তােলাকালে সন্ত্রাসী হামলায় তিনি প্রথম আহত হন। ২০০০ সালের ২০ আগস্ট জনপ্রিয় নেতা আইনজীবী কালিদাস বড়াল হত্যা ও প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়। এই উত্তাল সময়ে “দৈনিক যুগান্তর’র ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি বিষ্ণুপ্ৰসাদ চক্রবর্তীর (বর্তমানে স্টাফ রিপাের্টার, ৭১ টেলিভিশন; বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি, কালের কণ্ঠ ও ইউএনবি) চেষ্টায় তিনি যুগান্তর’র উপজেলা প্রতিনিধি হন। ২০০৬ সালে সমকালে যুক্ত হন। ২০০৭ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়াধীন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) হতে আমরা সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা অর্জন করি। আপসহীনভাবে অন্যায়ের চিত্র তুলে ধরায় সন্ত্রাসীরা একাধিকবার কপিলকে আহত করে। বিয়ের পর গ্রামীণ সাংবাদিকতা ছাড়েন। উন্নয়ন ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবন শুরু করেন। ২০১৮ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে চাকরি ছাড়েন। এরি ফাঁকে তিনি তৌফিক তাহেরর তথ্যচিত্র ‘দশমহল বেতার, মােল্লা সাগরের তথ্যচিত্র 'ও পাখি’ নির্মাণ, জেলায় জেলায় বই উৎসব, চট্টগ্রামে আন্তঃস্কুল নাট্য প্রতিযােগিতা, সুন্দরবনে ফিল্ম ক্যাম্পসহ নানা ও সাংস্কৃতিক কাজে ভূমিকা রাখেন। তার সম্পাদনায় সাহিত্য সাময়িকী 'কড়া নাড়ে’, ‘পূর্বাচল, সুন্দরবনে শিবসার সুর ‘বন্ধু’ প্রকাশ হয়। তার সংগ্রহে রয়েছে কবিগানের দুর্লভ ‘কবির পল্লা।' লােককাহিনী, ভ্রমণ, অমানবিক ও বৈষম্যের নানা ঘটনার আলােকে গল্প লিখছেন। বর্তমানে তিনি কালের কণ্ঠের উপজেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন। পাঠকের ভালাে লাগলে তার লেখা সার্থক হবে। এই বই বিক্রয়ের টাকা তার চিকিৎসায় খরচ হবে।