কামরুদ্দিন আহমেদ
কামরুদ্দিন আহমেদ (জন্ম: ৮ সেপ্টেম্বর ১৯১২ - মৃত্যু: ১৭ ডিসেম্বর ১৯৮২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী আইনজীবী, রাজনীতিক, কূটনীতিক। লেখক হিসেবেও তিনি সমধিক উল্লেখযোগ্য খ্যাতি অর্জন করেন ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে পরবর্তীতে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেন এবং অবসর গ্রহণের পর ১৯৬২ সালে আইন পেশায় যোগ দেন। তিনি অখণ্ড পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত এবং ডেপুটি হাইকমিশনার হয়ে ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত কলকাতায় এবং ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত বার্মায় দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। তিনি মুসলিম লীগের সমর্থক হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। কিন্তু তিনি মুসলিম লীগের কর্মকান্ডের কারণে মুসলিম লীগ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৪৭ সালে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলে তিনি এর গুরুত্ব পূর্ণ সদস্য ছিলেন। ভারত বিভিক্তের পর ১৯৫৪ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগ দেন এবং ১৯৫৫ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন। তিনি পরবর্তীতে কূটনীতিকে পেশা গ্রহণ করে রাজনীতি ত্যাগ করেন। ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনেরও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি একাত্তর সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার হন এবং যুদ্ধের অবধি অবধি কারাগারে বন্দী ছিলেন।