Skip to Content
Filters

author.name

কে. জি. মুসতাফা

কাজা গােলাম মুস্তাফা (কে. জি. মুস্তাফা) মাতা মরহুমা রাহাতুন্নেছা , পিতা মরহুম কাজী আব্দুর রশিদ। জন্মঃ ১৯৪৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, ফরিদপুর জেলার মাদারীপুর মহকুমার (বর্তমানে জেলা) শিবচর থানার বাশকান্দি ইউনিয়নের শেখপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত কাজী বংশের রক্ষণশীল একটি সাধারণ পরিবারে। wkক্ষt ইস্ট পাকিস্তান কলেজ অব আর্টস এন্ড ক্রাফটস, ঢাকা (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট) থেকে কমার্শিয়াল আর্টসে স্নাতক (১৯৬৪)। তার শিক্ষা জীবনের শুরু মাতৃভূমি প্রত্যন্ত গ্রাম শেখপুরে। তিনি শেখপুর ফ্রি প্রাইমারি স্কুল, লক্ষীপুর ফ্রি প্রাইমারি স্কুল, ভান্ডারীকান্দি আছালত খা মেমােরিয়াল হাইস্কুল (এ. কে. এম হাই স্কুল) এবং বরিশাল ব্রজমােহন ইন্সটিটিউটের (বি.এম.স্কুল) শিক্ষার্থী ছিলেন । কর্মজীবন ঃ এই পর্বটা ছিল ঘটনাবহুল যার শুরু ১৯৬৪ সালে। এ জীবনে তিনি বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে ডিজাইনার এবং ডিজাইন অ্যাডভাইজার পদে চাকরি করেছেন। আত্মকর্মসংস্থান হিসেবে একাধিক প্রতিষ্ঠানও গড়েছিলেন। এক সময় চলচিত্র জগতেও কাজ করেছেন। তার উল্লেখযােগ্য কর্মস্থলের মধ্যে পাকিস্তান সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন, এশিয়াটিক অ্যাডভার্টাইজিং ফার্ম, এসােসিয়েটেড প্রিন্টার্স, ফাইজার ল্যাবরেটরিজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কালার ডটক্স গ্রাফিক্স এসােসিয়েটস অন্যতম। শিল্পকর্ম ও নানা ধরণের বৈচিত্রময় ও নান্দনিক ডিজাইনের অসংখ্য কাজ করেছেন তিনি, যার অধিকাংশ ছিল দেশের জন্য নিবেদিত। এর মধ্যে তাঁর উল্লেখযােগ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ শিল্পকর্ম হচ্ছে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের নিজস্ব মুদ্রা ও ডাকটিকিটের কতিপয় নকশা প্রণয়ন করে ইতিহাসের অংশীদার হয়ে থাকা বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজাইন অ্যাডভাইজরি কমিটির একজন সম্মানিত সদস্য এবং COLLECtOR পত্রিকার একজন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বীকৃতি ও রং তুলির আচঁড়ে সৃষ্ট শিল্প দ্বারা যে দেশ সেবা করা যায়, শিল্পী কে, জি, মুস্তাফা তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাকে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান সম্মাননা প্রদান করেছে। আমাদের প্রত্যাশা দেশাত্ববােধে উজ্জীবিত বরেণ্য এই কৃতী চিত্রশিল্পীকে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ অচিরেই সরকার তাঁকে রাষ্ট্রীয় পুরষ্কারে ভূষিত করে জাতিকে ঋণমুক্ত করবেন ইনশাল্লাহ।