Skip to Content
Filters

author.name

পঙ্কজ ভট্টাচার্য

পঙ্কজ ভট্টাচার্য জন্ম চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে, ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৬ আগস্ট। দুই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষের জন্মও এই গ্রামে অগ্নিযুগের বিপ্লবী সূর্য সেন ও মহাকবি নবীনচন্দ্র সেন। পিতামহ রমেশ ভট্টাচার্য ছিলেন ব্রিটিশ আমলে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমাজসংস্কারক। পিতা প্রফলুকুমার ভট্টাচার্য একজন আত্মনিবেদিত শিক্ষাব্রতী, আর জননী মনিকুন্তলা দেবী স্বদেশী ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মাতৃসমা ও তাঁদের অন্যতম আশ্রয়স্থল। পঙ্কজ ভট্টাচার্যের শিক্ষাজীবন অতিবাহিত হয় চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। '৫৭তে ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্তির কারণে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হন। সেখান থেকে রাজনীতি তাঁর পিছু ছাড়েনি। '৬২তে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও পরে কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন। '৬৬-র ৬ দফা ও '৬৯-এর ১১ দফা দাবীতে গণআন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। '৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচন ও '৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে আগরতলার ২ নম্বর সেক্টরে সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। '৭২-এ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে দুই যুগ ধরে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। '৯৩-তে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে গণফোরামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ২০১২ সালে ‘গণঐক্য কমিটি’ নামে দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক মানুষদের পৃথক প্ল্যাটফর্ম গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কারাবরণের ইতিহাস ছাত্রজীবন থেকে। সাহিত্যে আসক্তি বাল্যকাল থেকে। স্কুলের ছাত্রাবস্থা থেকেই লেখালেখি শুরু ও পত্রিকাদিতে প্রকাশ, যা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন পর্যন্ত চলেছে। পরবর্তীতে রাজনীতকেই জীবনের চূড়ান্ত প্রাধান্য দেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে সাম্প্রতিক রাজনীতি বিষয়ে কলাম লিখছেন। তাঁর ‘দুর্মুখের জার্নাল’ ও ‘দুর্মুখ দরবার’ শীর্ষক পৃথক দুটি কলাম রাজনৈতিক মহলে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়।