মুহাম্মদ ফজলুল হক
মুহাম্মদ ফজলুল হক একজন শিক্ষক, একজন সমাজকর্মী, একজন কলামলেখক, একজন নাট্যকার—কিন্তু সব পরিচয় ছাপিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন একজন কথাসাহিত্যিক। পদার্থবিজ্ঞানে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী লেখক ত্রিশাল মহিলা ডিগ্রি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত। ব্রহ্মপুত্রের কোলঘেঁষা ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের বারুয়ামারী গ্রামে তিনি ১৯৬৫ সালে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আলহাজ বদর উদ্দিন এবং মাতা ফাতেমা বেগম। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক লেখক সস্ত্রীক ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরে বসবাস করেন। লেখকের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৪টি। এর মধ্যে ১২টিই উপন্যাস। লেখকের লেখা উপন্যাস অচেনা আপন, হ্যালাে মাওলানা, কেউ কথা রাখেনি, শিকার, দেহকাব্য বেশ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। লেখক তার উপন্যাসের ভেতর দিয়ে পাঠককে ইসলামি জাগরণের স্বপ্ন ফেরি করে বেড়ান। তবে শুধু কলমেই তিনি সীমাবদ্ধ থাকেননি, ইসলামি আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আর্তমানবতার সেবায় প্রতিষ্ঠা করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মায়ের মমতা কল্যাণ সংস্থা। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত সংগঠনটি দাতাদের সহযােগিতায় ময়মনসিংহ জেলার কয়েকটি উপজেলায় এতিম শিক্ষার্থী ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের আশার জায়গায় দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ বৃহত্তর ময়মনসিংহের কৃতী সন্তানদের পদক দিয়ে সম্মান জানানাের জন্যে প্রতিষ্ঠান ‘পেন অ্যাওয়ার্ড কর্তৃপক্ষ সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্যে লেখককে ‘খাজা ওসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড' দেওয়ার ঘােষণা দিয়েছে। লেখক এখন নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। তার সাবলীল গল্প বলা এবং চরিত্র সৃজনের দক্ষতায় উপন্যাসের চরিত্রগুলাে রক্ত-মাংসের অবয়ব নিয়ে পাঠকের সামনে হাজির হয়। পাঠক মনে করতে থাকেন, তার চারপাশের গল্পই তিনি শুনছেন। অনেকসময় পাঠক নিজেও উপন্যাসের একটা চরিত্র হিসাবে নিজেকে ভাবতে থাকেন। এখানেই লেখক অনেকের চেয়ে আলাদা।