মেজর হিমদুল হোসেন তারেক (বীর বিক্রম)
মেজর (অব.) এটিএম হামিদুল হােসেন তারেক, বীরবিক্রম। জন্ম বগুড়া জেলার রজাকপুর গ্রামে। | পিতা, মরহুম আব্দুল হামিদ (ডিপুটি সুপার অব। পুলিশ)। তারেক ছিলেন বগুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র। ১৯৭১-এ ছাত্রাবস্থায় তিনি ৭ নং সেক্টরের একজন মুক্তিযােদ্ধা ছিলেন। একজন অকুতােভয় অসীম সাহসী যােদ্ধা হিসেবে বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি মাত্র ১৯ বছর বয়সে বীর বিক্রম’ উপাধিতে ভূষিত হন। বগুড়া জেলায় তিনিই একমাত্র বীর বিক্রম পদকে ভূষিত ছাত্র মুক্তিযােদ্ধা। বহুদিন হতেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। তিনি একজন মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও লেখক। তিনি ২০১০ সালে সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের লেখক হিসেবে জাতীয় কবি শামসুর রহমান স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন। তার লেখা ‘জলছবি ৭১', রনাঙ্গনের সাথী', ‘একাত্তরের কিশাের মুক্তিযােদ্ধা’, ‘বিশ্বাস করুন আমি রাজাকার নই’, ‘বিষাক্ত বর্শার অজস্রফলা', কাউখালী ও ধানসিড়িবাকের মুক্তিযুদ্ধ এবং ‘রােড টু বগুড়া' শিশু-কিশােরদের জন্য ‘আদিবাসী রুপকথা' পাঠক সমাজে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। লেখকের লেখা ‘জনযুদ্ধ-৭১', একটি ব্যতিক্রমধর্মী মুক্তিযুদ্ধের উপহার।