Shelly Sengupta
শেলী সেনগুপ্তা সাহিত্যের আনন্দছাত্রী। আনন্দশিক্ষকও। গৃহকোণশিল্পে নিষ্ঠা থাকার পরও বিভিন্ন পেশার সঙ্গে সবিরাম যুক্ত ছিলেন। ব্যাংকের চাকুরে, স্কুলশিক্ষক, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আধিকারিক, স্বনিয়োজিত পেশাজীবী এবং সর্বশেষ ঢাকার ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রভাষক। লেখার বিষয় গদ্য হোক কিংবা কবিতা, নিবন্ধ হোক কিংবা চরিত বিষয়ে কোনো রচনা-চর্চাটিতে আগ্রহ ও মনোযোগের সঙ্গে প্রজনিষ্ণুতার নিরবচ্ছিন্নতা যদি সম্মেলক গাইতো দু’মলাটের ভেতর বদ্ধ হতে এতটা বছর তার লাগে না। বিচ্ছিন্নভাবে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনাগুলোর সংকলনই একাধিক গ্রন্থের অবয়বে বেরিয়ে আসতে শুরু করতো কুড়ি বছর আগে থেকে। অবয়বে ক্ষুদ্র এই গ্রন্থের কবিতাগুলোও কণাকণা। প্রতিটিতে মানবিক ও হৃৎকেন্দ্রিক কিছু অনুভবকে তিনি বেণু বাজাবার আনন্দে ধরেছেন রেণুরেণু। সাহস ও সততার সঙ্গে ধারণ করা কথাগুলো তার একার নয়, অনেকের। কেউ বলে, কেউ লুকোয়। তেত্রিশ বছর ধরে যার সঙ্গে আনন্দেবেদনায় সাফল্যেব্যর্থতায় ও হরিষেবিষাদে তার জীবনসঙ্গ তিনি শ্রমজীবী কথাসাহিত্যিক ও সরকারের সচিব রণজিৎ বিশ্বাস। গেল শতকের আশির দশকে তাদের গৃহকোণে নেমেছিল অভিষেক ও উপমা। শেলী সেনগুপ্তা জীবনকে দেখেন জীবনের মতো করেই। বেঁচে থাকাকে তিনি মনে করেন ভাগ্যের ও আনন্দের। তিনি গুছিয়ে বাঁচতে চান, আনন্দময়তায় বাঁচতে চান। কারণ, তার জীবনপথের সহযাত্রীটির বৈশিষ্ট্য তার বিপরীত। সাধনশিল্প, গৃহসজ্জা, ব্যঞ্জনশিল্প ও মেডিটেশান কিংবা মনব্যায়ামে তার প্রীতির শেকড় গভীরে নামানো। সঙ্গে নিয়েছেন শিশুপ্রেম ও সমাজকর্ম। পঠন প্রায় নিত্যসঙ্গী। প্রকাশিত গ্রন্থ : হৃদয়ের অলিন্দনিলয়, অনন্ত তুমি, অবেলায় জলস্নান, অনন্তে অবগাহন, অনন্তসঙ্গ অনিবার।