Skip to Content
Vangon

Price:

400.00 ৳


Uttol Haoya
Uttol Haoya
560.00 ৳
700.00 ৳ (20% OFF)
Varotio Dorson (Kalikolom)
Varotio Dorson (Kalikolom)
280.00 ৳
350.00 ৳ (20% OFF)

Vangon

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/45747/image_1920?unique=536c44f

400.00 ৳ 400.0 BDT 500.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

মানুষের মন ভাঙে আর নদীর ভাঙে কুল। মানুষের যেমন মন বদলায় নদীরও তেমন গতিপথ বদলায়। তার ফলে সৃষ্টি হয় নতুন নদী। আর এভাবেই পদ্মা নদীর পথ বদলানাের খেলায় বিক্রমপুরের বুকে নতুন এক নদীর সৃষ্টি হয়। বারােভূঁইয়াখ্যাত মহাপ্রতাপশালী রাজা চাঁদ রায় ও কেদার রায়ের রাজধানী শ্রীপুরের সকল কীর্তি নাশ করেছিল বলে নদীটির নাম হয়ে যায় কীর্তিনাশা। এই নদী বিক্রমপুরের মানচিত্রকেই পালটে দিয়েছিল। ইতিহাসখ্যাত বিক্রমপুরকে দুভাগ করে নাম হয়ে যায় দক্ষিণ বিক্রমপুর ও উত্তর বিক্রমপুর। কীর্তিনাশার দুপাড়ের সকল ভূমি ও স্থাপনার মতাে মানুষের হৃদয়ও ভেঙেছিল। আশেপাশের হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। হারিয়ে গিয়েছিল পাড়াপ্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন-সহ সকল আপনজন। কীর্তিনাশার পাড়ে ছিল বিক্রমপুরের আরেক রাজা রাজবল্লভের রাজধানী রাজনগর। সেই রাজনগরের সকল কীর্তিও কীর্তিনাশা নাশ করে যেন নামকরণের সার্থকতা অর্জন করে। সামান্য একটি খাল হঠাৎ করে বিশাল নদী হয়ে যাওয়ার কারণে নয়ন ও নন্দিতা নামে দুজন প্রেমান্ধ মানুষের হৃদয়ও ভেঙে ছারখার হয়ে যায়। দুজন। দুদিকে পড়ে যায়। এক সময় কীর্তিনাশা তাদের ঘরবাড়িও ভেঙে ফেলে এবং কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন করায়। একদিকে থাকার জায়গা নেই অন্যদিকে পেটেও অন্ন নেই। তার ওপর বুকের মাঝে জমে থাকা ভালােবাসার মানুষের কোনাে দেখা নেই। এক জায়গায় ঘর তুলে কিছুদিন থাকতে না থাকতেই আবার সেই জায়গাও ভেঙে যায়। এভাবেই কীর্তিনাশা বিক্রমপুরের মানুষকে নিয়ে ফুটবলের মতাে খেলতে খেলতে এদিক থেকে ওদিক ফেলে এক ভয়ংকর নেশায় মেতে ওঠে। এক সময় সেই কীর্তিনাশা তার সকল মিশন শেষ করে পদ্মার বুকে হারিয়ে যায় আর পদ্মা নদীও তার গতিপথ পরিবর্তন করে নতুন পথে প্রবাহিত হয়।

Redwan Masud

রেদোয়ান মাসুদ ১৯৮৮ সালের ৬ই জানুয়ারী শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানাধীন মোড়ল কান্দি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবার নাম মোঃ নুরউদ্দিন মোড়ল ও মাতার নাম জামিলা খাতুন। ২০০৬ সালে তার মা মারা যান। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগ থেকে এমবি এ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ তথ্য ভান্ডার “বাংলাকোষ” এর প্রতিষ্ঠাতা ও সি ই ও, হেলথ এইড হাসপাতালের পরিচালক ও দেশের একটি জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল এর বার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক। কবিতা চর্চার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখালেখি করেন। ২০১৪ সালে বই মেলায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ“মায়ের ভাষা”। ২০১৫ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার ২য় কাব্যগ্রন্থ “মনে পড়ে তোমাকে”। ২০১৭ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার ৩য় কাব্যগ্রন্থ “অনেক কথা ছিল বলার”। তার মনে পড়ে তোমাকে ও অনেক কথা ছিল বলার বই ২’টি কলকাতা বইমেলায়ও প্রকাশিত হয়েছে। যা তাকে পাঠকের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তুলে। সম্পূর্ণ বাস্তব ঘটনা নিয়ে লেখা তার “অপেক্ষা” উপন্যাসটি ২০১৮ সালের একুশে বই মেলায় ব্যাপক সাড়া জাগায়। কবিতা দিয়ে সাহিত্য জগতে প্রবেশ করলেও “অপেক্ষা” উপন্যাসের মাধ্যমে পাঠকের মাঝে একজন ঔপন্যাসিক হিসেবে ব্যপক প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি কবিতা ও উপন্যাস লেখার পাশাপাশি ইতিহাস চর্চাও করে যাচ্ছেন। ইতিহাসের উপর কয়েকটি বই প্রকাশের জন্য কাজ শুরু করেছেন। তিনি জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাপনে ততোটা আগ্রহী নন। তাই আধুনিকতার এই যুগে একেবারে সাধারণ জীবনযাপন করছেন।

Title

Vangon

Author

Redwan Masud

Publisher

Anindya Prokash

Number of Pages

318

Category

  • Novel
  • First Published

    MAR 2021

    মানুষের মন ভাঙে আর নদীর ভাঙে কুল। মানুষের যেমন মন বদলায় নদীরও তেমন গতিপথ বদলায়। তার ফলে সৃষ্টি হয় নতুন নদী। আর এভাবেই পদ্মা নদীর পথ বদলানাের খেলায় বিক্রমপুরের বুকে নতুন এক নদীর সৃষ্টি হয়। বারােভূঁইয়াখ্যাত মহাপ্রতাপশালী রাজা চাঁদ রায় ও কেদার রায়ের রাজধানী শ্রীপুরের সকল কীর্তি নাশ করেছিল বলে নদীটির নাম হয়ে যায় কীর্তিনাশা। এই নদী বিক্রমপুরের মানচিত্রকেই পালটে দিয়েছিল। ইতিহাসখ্যাত বিক্রমপুরকে দুভাগ করে নাম হয়ে যায় দক্ষিণ বিক্রমপুর ও উত্তর বিক্রমপুর। কীর্তিনাশার দুপাড়ের সকল ভূমি ও স্থাপনার মতাে মানুষের হৃদয়ও ভেঙেছিল। আশেপাশের হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। হারিয়ে গিয়েছিল পাড়াপ্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন-সহ সকল আপনজন। কীর্তিনাশার পাড়ে ছিল বিক্রমপুরের আরেক রাজা রাজবল্লভের রাজধানী রাজনগর। সেই রাজনগরের সকল কীর্তিও কীর্তিনাশা নাশ করে যেন নামকরণের সার্থকতা অর্জন করে। সামান্য একটি খাল হঠাৎ করে বিশাল নদী হয়ে যাওয়ার কারণে নয়ন ও নন্দিতা নামে দুজন প্রেমান্ধ মানুষের হৃদয়ও ভেঙে ছারখার হয়ে যায়। দুজন। দুদিকে পড়ে যায়। এক সময় কীর্তিনাশা তাদের ঘরবাড়িও ভেঙে ফেলে এবং কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন করায়। একদিকে থাকার জায়গা নেই অন্যদিকে পেটেও অন্ন নেই। তার ওপর বুকের মাঝে জমে থাকা ভালােবাসার মানুষের কোনাে দেখা নেই। এক জায়গায় ঘর তুলে কিছুদিন থাকতে না থাকতেই আবার সেই জায়গাও ভেঙে যায়। এভাবেই কীর্তিনাশা বিক্রমপুরের মানুষকে নিয়ে ফুটবলের মতাে খেলতে খেলতে এদিক থেকে ওদিক ফেলে এক ভয়ংকর নেশায় মেতে ওঠে। এক সময় সেই কীর্তিনাশা তার সকল মিশন শেষ করে পদ্মার বুকে হারিয়ে যায় আর পদ্মা নদীও তার গতিপথ পরিবর্তন করে নতুন পথে প্রবাহিত হয়।
    No Specifications