Skip to Content
Fakir Lalan Saijir Lilagan

Price:

380.00 ৳


Notebook : The Starry Night (1889, Vincent van Gagh 30 March 1853-29 July 1890)
Notebook : The Starry Night (1889, Vincent van Gagh 30 March 1853-29 July 1890)
99.00 ৳
99.00 ৳
Srimadvagabatgita
Srimadvagabatgita
1.00 ৳
1.00 ৳

Fakir Lalan Saijir Lilagan

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/45792/image_1920?unique=2938bb7

380.00 ৳ 380.0 BDT 380.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

প্রথমেই সঙ্কলনটির সম্পাদনা প্রকরণ নিয়ে সবিনয় কিছু কথা বলে নেওয়াটা ভালাে। যথা, প্রকরণসম্মতভাবে, লালন স্বামীর কালাম বা পদরাজি তত্তদর্শনে গত সাধনসঙ্গীত। তৌহিদ বা পরমতত্ত্বের অপরােক্ষ প্রাপ্তিমুখেই তাঁর রচিত শব্দসমূহ নিয়ােজিত, অন্য আর কিছুই নয়, তা মনে রাখাটা বেশ জরুরী। মানুষের যে কোনও কর্মের একটা প্রয়ােজনিক নিজত্ব থাকে। সেটাতেই কর্মের সত্তা। কিন্তু যার যাদের প্রতি তা কৃত হচ্ছে, যথা রচনার ক্ষেত্রে পাঠকের প্রতি, তারা যদি আবার তাদের প্রয়ােজন সাপেক্ষে কর্মটিকে এক ভিন্নসত্তা দেয়-তবে তার কী বিহিত হবে এটা নিয়ে সর্বত্রই নানান দার্শনিক আলােচনা চলমান। সে চলুক তবু সব টেক্সটই খােলা বটে, তবে সেই প্রিটেক্সটে যদি চণ্ডীদাস রচিত “সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই” পংক্তিদ্বয় কোনও আধুনিক বঙ্গীয় রাজনৈতিক দল তাদের ইলেকশন ম্যানিফেস্টোর লােগাে-ক্যাপশনরূপে ব্যবহার করে, তা যে সাহিত্যিক যাথার্থ্য বজায় রাখতে পারে না, এ নিয়ে সম্ভবত কোনও অমীমাংসা নেই। কেননা কবি উচ্চারিত ‘মানুষ’এর লক্ষ্যার্থ আর ইলেকটরেট ‘মানুষ’ যে এক নয়, সেটাকে কোনও পাঠকৃতিগত স্বাধীনতার থিওরি দিয়ে নষ্ট করতে গেলে বাক্য-বাক্যার্থ ন্যূনতম সম্বন্ধেরও আর বিশেষ অবকাশ কি? সাহিত্যের বদলে সেক্ষেত্রে রাহিত্যই তাে হয়! অবশ্য আবার তার মানে এও নয় যে, চর্যাপদ পড়তে গেলে রেচক-পূরক-কুম্ভকে পারদর্শিতা জরুরী, কিন্তু পদগুলির প্রায়ােজনিক নিজত্ব যে ঐসকল যৌগিকক্রিয়া। বর্ণনাতেই আছে, জাতপাত-সমাজচিত্রণে নেই, কেননা ঐ সবই যে বর্ণনার রূপক-মশলা হিসেবে ব্যবহৃত সুতরাং উপপ্রাপ্তিমাত্র, এই মান্যতাটুকু অন্তত তার আস্বাদনের পক্ষে অপরিহার্য বলেই মনে হয়। আর একটা ধারণা আছে যে, এসব বর্ণনায় ডিসকোর্স অতিরিক্ত কোনও জ্ঞেয়, জ্ঞাতব্য বা মেটাফিজিক্স নেই। ডিসকোর্স মানে, বিষয়-নির্দিষ্ট বিশেষ ভাষাব্যবহারের অর্থশৃঙ্খলা। তার বাইরে বা অতিরিক্ততায় পদ বা বাক্যের, বিষয়তঃ কোনও রিয়ালিটি বা এক্সিস্টেন্স’ নেই। এখন, পদ বা বাক্যার্থের ‘রিয়ালিটি বা। এক্সিস্টেন্স’ মডার্নিস্ট ধারণায় ঐন্দ্রিয় ও বৌদ্ধিক পরীক্ষার বিষয়, আর পূর্বোক্ত পােস্টমডার্নিস্ট ধারণায়, ডিসকোর্স-স্পেসিফিক।

Title

Fakir Lalan Saijir Lilagan

Publisher

Lalan Biswasangha

Number of Pages

238

Category

  • Folklore
  • First Published

    MAR 2019

    প্রথমেই সঙ্কলনটির সম্পাদনা প্রকরণ নিয়ে সবিনয় কিছু কথা বলে নেওয়াটা ভালাে। যথা, প্রকরণসম্মতভাবে, লালন স্বামীর কালাম বা পদরাজি তত্তদর্শনে গত সাধনসঙ্গীত। তৌহিদ বা পরমতত্ত্বের অপরােক্ষ প্রাপ্তিমুখেই তাঁর রচিত শব্দসমূহ নিয়ােজিত, অন্য আর কিছুই নয়, তা মনে রাখাটা বেশ জরুরী। মানুষের যে কোনও কর্মের একটা প্রয়ােজনিক নিজত্ব থাকে। সেটাতেই কর্মের সত্তা। কিন্তু যার যাদের প্রতি তা কৃত হচ্ছে, যথা রচনার ক্ষেত্রে পাঠকের প্রতি, তারা যদি আবার তাদের প্রয়ােজন সাপেক্ষে কর্মটিকে এক ভিন্নসত্তা দেয়-তবে তার কী বিহিত হবে এটা নিয়ে সর্বত্রই নানান দার্শনিক আলােচনা চলমান। সে চলুক তবু সব টেক্সটই খােলা বটে, তবে সেই প্রিটেক্সটে যদি চণ্ডীদাস রচিত “সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই” পংক্তিদ্বয় কোনও আধুনিক বঙ্গীয় রাজনৈতিক দল তাদের ইলেকশন ম্যানিফেস্টোর লােগাে-ক্যাপশনরূপে ব্যবহার করে, তা যে সাহিত্যিক যাথার্থ্য বজায় রাখতে পারে না, এ নিয়ে সম্ভবত কোনও অমীমাংসা নেই। কেননা কবি উচ্চারিত ‘মানুষ’এর লক্ষ্যার্থ আর ইলেকটরেট ‘মানুষ’ যে এক নয়, সেটাকে কোনও পাঠকৃতিগত স্বাধীনতার থিওরি দিয়ে নষ্ট করতে গেলে বাক্য-বাক্যার্থ ন্যূনতম সম্বন্ধেরও আর বিশেষ অবকাশ কি? সাহিত্যের বদলে সেক্ষেত্রে রাহিত্যই তাে হয়! অবশ্য আবার তার মানে এও নয় যে, চর্যাপদ পড়তে গেলে রেচক-পূরক-কুম্ভকে পারদর্শিতা জরুরী, কিন্তু পদগুলির প্রায়ােজনিক নিজত্ব যে ঐসকল যৌগিকক্রিয়া। বর্ণনাতেই আছে, জাতপাত-সমাজচিত্রণে নেই, কেননা ঐ সবই যে বর্ণনার রূপক-মশলা হিসেবে ব্যবহৃত সুতরাং উপপ্রাপ্তিমাত্র, এই মান্যতাটুকু অন্তত তার আস্বাদনের পক্ষে অপরিহার্য বলেই মনে হয়। আর একটা ধারণা আছে যে, এসব বর্ণনায় ডিসকোর্স অতিরিক্ত কোনও জ্ঞেয়, জ্ঞাতব্য বা মেটাফিজিক্স নেই। ডিসকোর্স মানে, বিষয়-নির্দিষ্ট বিশেষ ভাষাব্যবহারের অর্থশৃঙ্খলা। তার বাইরে বা অতিরিক্ততায় পদ বা বাক্যের, বিষয়তঃ কোনও রিয়ালিটি বা এক্সিস্টেন্স’ নেই। এখন, পদ বা বাক্যার্থের ‘রিয়ালিটি বা। এক্সিস্টেন্স’ মডার্নিস্ট ধারণায় ঐন্দ্রিয় ও বৌদ্ধিক পরীক্ষার বিষয়, আর পূর্বোক্ত পােস্টমডার্নিস্ট ধারণায়, ডিসকোর্স-স্পেসিফিক।
    No Specifications