Skip to Content
গণিত প্রতিভা : শ্রীনিবাস রামানূজন

Price:

288.00 ৳


গণিত কুইজ ও মজার গণিত
গণিত কুইজ ও মজার গণিত
240.00 ৳
300.00 ৳ (20% OFF)
গণিত বোঝার হাতেখড়ি
গণিত বোঝার হাতেখড়ি
267.20 ৳
334.00 ৳ (20% OFF)

গণিত প্রতিভা : শ্রীনিবাস রামানূজন

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/23439/image_1920?unique=83326c2

288.00 ৳ 288.0 BDT 320.00 ৳

Not Available For Sale

(10% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

বিজ্ঞানের যে শাখায় ভারতীয়দের অবদান সবচেয়ে বেশি তার নাম গণিতবিদ্যা। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে আধুনিক কাল পর্যন্ত ভারতীয় গণিতজ্ঞেরা মৌলিক গবেষণা করে চলেছেন। গণিত গবেষণায় আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে, সে কথা বুঝতে প্রাচীন কয়েকজন গণিতজ্ঞের কথা আমরা দু-চার লাইনে বলব। প্রথমে বলব আমরা আর্যভটের কথা। তার সময়কাল ৪৭৬ থেকে ৫৫০ খ্রিস্টাব্দ। গুপ্তযুগে আর্যভটের জন্ম। তাঁর আগ্রহের বিষয় ছিল জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতবিদ্যা। তিনি সূর্যের চারপাশে গ্রহের অবস্থান নির্ণয় করেছিলেন। বলেছিলেন, গ্রহেরা সূর্যের চারপাশে ঘােরে। ৩৬৫ দিনে একবছর হয়, একথাও বলেছিলেন। তিনি। সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ কেন হয় তা ব্যাখ্যা করেছিলেন। দশমিকের পর চার ঘর পর্যন্ত পাই’ (T)-এর মান নির্ভুল বের করেছিলেন। পৃথিবীর পরিধি পরিমাপ করেছিলেন আর্যভট্ট, যার মান আধুনিক মানের ৯৯.৮%। মাত্র তেইশবছর বয়সে তিনি তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আর্যভটীয়’ লিখেছিলেন। ব্রহ্মগুপ্তের জন্ম ৫৯৮ খ্রিস্টাব্দে। ৬৭০ খ্রিস্টাব্দে বাহাত্তর বছর বয়সে তিনি মারা যান। তার লেখা সবচেয়ে পরিচিত বই ‘ব্রহ্মস্ফুট সিদ্ধান্ত। সাধারণ সরল সমীকরণের সমাধান নির্ণয় করেছিলেন ব্রহ্মগুপ্ত। গণিতের তিনি একাধিক প্রতিপাদ্য নির্মাণ করেন। তবে ‘শূন্য’কে সংখ্যা হিসেবে বিবেচনা তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ। তিনি শূন্যের আবিষ্কর্তা নন। টলেমি ও ব্যাবিলনীয় সভ্যতার কেউ কেউ শূন্যের কথা বলেছেন। শূন্যের প্রকৃত গুরুত্ব যিনি পৃথিবীতে প্রথম আবিষ্কার করেন তাঁর নাম ব্রহ্মগুপ্ত। আর এই আবিষ্কার এমন যুগান্তকারী যে লােকেরা সাধারণভাবে তাকেই ‘শূন্যের আবিষ্কর্তা হিসেবে বিবেচনা করেন। সপ্তম শতাব্দীতে সম্ভবত মহারাষ্ট্রে প্রথম ভাস্কর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সময়কাল আনুমানিক ৬০০ থেকে ৬৮০ খ্রিস্টাব্দ। তিনিই প্রথম হিন্দু দশমিক পদ্ধতিতে সংখ্যা লেখেন। বৃত্ত এঁকে তাকে ‘শূন্য’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। ভগ্নাংশ নিয়ে তার ও ব্রহ্মগুপ্তের কাজ আজও প্রশংসিত হয়।

শ্যামল চক্রবর্তী

শ্যামল চক্রবর্তী জন্ম ১৯৫৭। উদয়পুর রমেশ স্কুল, মহারাজা বীরবিক্রম কলেজ ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনাে করেন। বসু বিজ্ঞান মন্দিরে গবেষণা। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের রসায়ন বিভাগে অধ্যাপনা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। বাইরের দেশে কিছুকাল উচ্চতর গবেষণা। বর্তমানে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে অধ্যাপনা করেন। বহু জনপ্রিয় বিজ্ঞান গ্রন্থের রচয়িতা। বইয়ের সংখ্যা একশাে কুড়ি। ১৯৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সত্যেন্দ্রনাথ পুরস্কারে সম্মানিত। সায়েন্স অ্যাসােসিয়েশন অফ বেঙ্গল’ ও ‘কিশাের জ্ঞান বিজ্ঞান কর্তৃক দুই ভিন্ন বছরে ‘গােপালচন্দ্র ভট্টাচার্য’ পুরস্কারে সম্মানিত। ২০০১ সালে ভারতীয় যুক্তিবাদী সমিতি বর্ষসেরা বিজ্ঞান লেখক হিসেবে সম্মানিত করেছেন। ২০০৫ সালে। ‘জ্ঞান বিচিত্রা' পুরস্কার ও ২০০৯ সালে বিজ্ঞান সাহিত্যে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেছেন। লেখক বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ আন্দোলনে দীর্ঘকাল যুক্ত

Title

গণিত প্রতিভা : শ্রীনিবাস রামানূজন

Author

শ্যামল চক্রবর্তী

Publisher

Dey's Publishing House

Number of Pages

208

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Biography
  • First Published

    JUN 2015

    বিজ্ঞানের যে শাখায় ভারতীয়দের অবদান সবচেয়ে বেশি তার নাম গণিতবিদ্যা। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে আধুনিক কাল পর্যন্ত ভারতীয় গণিতজ্ঞেরা মৌলিক গবেষণা করে চলেছেন। গণিত গবেষণায় আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে, সে কথা বুঝতে প্রাচীন কয়েকজন গণিতজ্ঞের কথা আমরা দু-চার লাইনে বলব। প্রথমে বলব আমরা আর্যভটের কথা। তার সময়কাল ৪৭৬ থেকে ৫৫০ খ্রিস্টাব্দ। গুপ্তযুগে আর্যভটের জন্ম। তাঁর আগ্রহের বিষয় ছিল জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতবিদ্যা। তিনি সূর্যের চারপাশে গ্রহের অবস্থান নির্ণয় করেছিলেন। বলেছিলেন, গ্রহেরা সূর্যের চারপাশে ঘােরে। ৩৬৫ দিনে একবছর হয়, একথাও বলেছিলেন। তিনি। সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ কেন হয় তা ব্যাখ্যা করেছিলেন। দশমিকের পর চার ঘর পর্যন্ত পাই’ (T)-এর মান নির্ভুল বের করেছিলেন। পৃথিবীর পরিধি পরিমাপ করেছিলেন আর্যভট্ট, যার মান আধুনিক মানের ৯৯.৮%। মাত্র তেইশবছর বয়সে তিনি তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আর্যভটীয়’ লিখেছিলেন। ব্রহ্মগুপ্তের জন্ম ৫৯৮ খ্রিস্টাব্দে। ৬৭০ খ্রিস্টাব্দে বাহাত্তর বছর বয়সে তিনি মারা যান। তার লেখা সবচেয়ে পরিচিত বই ‘ব্রহ্মস্ফুট সিদ্ধান্ত। সাধারণ সরল সমীকরণের সমাধান নির্ণয় করেছিলেন ব্রহ্মগুপ্ত। গণিতের তিনি একাধিক প্রতিপাদ্য নির্মাণ করেন। তবে ‘শূন্য’কে সংখ্যা হিসেবে বিবেচনা তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ। তিনি শূন্যের আবিষ্কর্তা নন। টলেমি ও ব্যাবিলনীয় সভ্যতার কেউ কেউ শূন্যের কথা বলেছেন। শূন্যের প্রকৃত গুরুত্ব যিনি পৃথিবীতে প্রথম আবিষ্কার করেন তাঁর নাম ব্রহ্মগুপ্ত। আর এই আবিষ্কার এমন যুগান্তকারী যে লােকেরা সাধারণভাবে তাকেই ‘শূন্যের আবিষ্কর্তা হিসেবে বিবেচনা করেন। সপ্তম শতাব্দীতে সম্ভবত মহারাষ্ট্রে প্রথম ভাস্কর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সময়কাল আনুমানিক ৬০০ থেকে ৬৮০ খ্রিস্টাব্দ। তিনিই প্রথম হিন্দু দশমিক পদ্ধতিতে সংখ্যা লেখেন। বৃত্ত এঁকে তাকে ‘শূন্য’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। ভগ্নাংশ নিয়ে তার ও ব্রহ্মগুপ্তের কাজ আজও প্রশংসিত হয়।
    No Specifications