Skip to Content
আলাওল পদ্মাবতী

Price:

300.00 ৳


Fearless Freedom (Penguin)
Fearless Freedom (Penguin)
600.00 ৳
600.00 ৳
ছায়াছবির ছায়াপথে
ছায়াছবির ছায়াপথে
400.00 ৳
400.00 ৳

আলাওল পদ্মাবতী

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/22187/image_1920?unique=0fec06c

300.00 ৳ 300.0 BDT 300.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

কবি জায়সী সিংহল দ্বীপ, রাজা গন্ধর্বসেন, রাজসভা, নগর, উদ্যান ইত্যাদি বর্ণনা করে পদ্মাবতীর উল্লেখ করেছেন। রাজভবনে হীরামণ নামে একটি অদ্ভুত শুকপক্ষী ছিল। পক্ষীটি ছিল পদ্মাবতীর অত্যন্ত প্রিয়। পদ্মাবতী শুককে সর্বদা তাঁর কাছে রাখতেন এবং শুকের সঙ্গে সর্বপ্রকার আলাপআলােচনা করতেন। পদ্মাবতী ক্রমশঃ যৌবনবতী হলেন এবং তাঁর রূপের সংবাদ সমস্ত ভূমণ্ডলে পরিব্যাপ্ত হল। তাঁর বিয়ে হচ্ছে না দেখে হীরামণ তাঁকে বললাে যে সে দেশ দেশান্তর ঘুরে তাঁর উপযুক্ত বর খুঁজে আনবে। রাজা এ সংবাদ শুনে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলেন এবং শুককে মারবার আদেশ দিলেন। পদ্মাবতী অত্যন্ত বিনয় করে শুকের প্রাণ রক্ষা করলেন। কিন্তু এরপর থেকে শুক সুযােগ খুঁজতে লাগলাে কোনক্রমে রাজভবন ছেড়ে যেতে। | একদিন পদ্মাবতী মানসরােবরে এলেন সখীদের সঙ্গে নিয়ে স্নান ও জলক্রীড়া করতে। এই সুযােগে শুকপক্ষী বনে উড়ে গেল। বনের অন্যান্য পাখীরা মহামানী জ্ঞানে শুককে ভক্তি জানালাে। সেই বনে এক ব্যাধ এলাে। ব্যাধের আগমনে সব পাখীগুলি উড়ে গেল, কিন্তু চিন্তাশীল শুক ধরা পড়লাে। ব্যাধ শুককে সিংহলের হাটে নিয়ে এলাে বিক্রি করতে। সেখানে চিতােরের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে এক ব্রাহ্মণ হাটে এসেছিলেন। ব্রাহ্মণ জানতে পারলেন যে, এই শুকপক্ষী অত্যন্ত জ্ঞানী এবং সুপণ্ডিত। ব্রাহ্মণ শুককে ক্রয় করে চিতাের দেশে এলেন। চিতােরে তখন রাজা চিত্রসেনের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র রত্নসেন রাজা হয়েছেন। শুকের প্রশংসা শুনে রত্নসেন লক্ষ টাকা দিয়ে হীরামন ক্রয় করলেন।

Syed Ali Ahsan

সৈয়দ আলী আহসান (২৬শে মার্চ, ১৯২২ - ২৫শে জুলাই, ২০০২) বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা সাহিত্যিক, কবি, সাহিত্য সমালোচক, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। তিনি তাঁর পাণ্ডিত্যের জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন। সৈয়দ আলী আহসান কৃত বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের ইংরেজি অনুবাদ সরকারি ভাষান্তর হিসাবে স্বীকৃত। পুরোনো ঢাকা শহরের আরমানিটোলায় অবস্থিত আরমানিটোলা সরকারি হাইস্কুল থেকে এন্ট্রান্স (এসএসসি) এবং ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমানে ঢাকা কলেজ) থেকে এফএ (এইচএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে স্নাতক (বিএ)এবং ১৯৪৪ সালে স্নাতকোত্তর (এমএ) ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি কলকাতা চলে যান। সেখানেই বিয়ে করেন ৭ জুলাই, ১৯৪৬। অত:পর যথাক্রমে অল ইন্ডিয়া রেডিও কলকাতা কেন্দ্রে এবং রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্রে কর্মসূচি নিয়ামকরূপে চাকরি করেছেন। তিনি ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে সৈয়দ আলী আহসান করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান নিযুক্ত হন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা একাডেমীর পরিচালক (প্রধান নির্বাহী) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর পুনরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০২ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জুলাই তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

Title

আলাওল পদ্মাবতী

Author

Syed Ali Ahsan

Publisher

Ahmed Publishing House

Number of Pages

221

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Poetry
  • First Published

    FEB 2023

    কবি জায়সী সিংহল দ্বীপ, রাজা গন্ধর্বসেন, রাজসভা, নগর, উদ্যান ইত্যাদি বর্ণনা করে পদ্মাবতীর উল্লেখ করেছেন। রাজভবনে হীরামণ নামে একটি অদ্ভুত শুকপক্ষী ছিল। পক্ষীটি ছিল পদ্মাবতীর অত্যন্ত প্রিয়। পদ্মাবতী শুককে সর্বদা তাঁর কাছে রাখতেন এবং শুকের সঙ্গে সর্বপ্রকার আলাপআলােচনা করতেন। পদ্মাবতী ক্রমশঃ যৌবনবতী হলেন এবং তাঁর রূপের সংবাদ সমস্ত ভূমণ্ডলে পরিব্যাপ্ত হল। তাঁর বিয়ে হচ্ছে না দেখে হীরামণ তাঁকে বললাে যে সে দেশ দেশান্তর ঘুরে তাঁর উপযুক্ত বর খুঁজে আনবে। রাজা এ সংবাদ শুনে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলেন এবং শুককে মারবার আদেশ দিলেন। পদ্মাবতী অত্যন্ত বিনয় করে শুকের প্রাণ রক্ষা করলেন। কিন্তু এরপর থেকে শুক সুযােগ খুঁজতে লাগলাে কোনক্রমে রাজভবন ছেড়ে যেতে। | একদিন পদ্মাবতী মানসরােবরে এলেন সখীদের সঙ্গে নিয়ে স্নান ও জলক্রীড়া করতে। এই সুযােগে শুকপক্ষী বনে উড়ে গেল। বনের অন্যান্য পাখীরা মহামানী জ্ঞানে শুককে ভক্তি জানালাে। সেই বনে এক ব্যাধ এলাে। ব্যাধের আগমনে সব পাখীগুলি উড়ে গেল, কিন্তু চিন্তাশীল শুক ধরা পড়লাে। ব্যাধ শুককে সিংহলের হাটে নিয়ে এলাে বিক্রি করতে। সেখানে চিতােরের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে এক ব্রাহ্মণ হাটে এসেছিলেন। ব্রাহ্মণ জানতে পারলেন যে, এই শুকপক্ষী অত্যন্ত জ্ঞানী এবং সুপণ্ডিত। ব্রাহ্মণ শুককে ক্রয় করে চিতাের দেশে এলেন। চিতােরে তখন রাজা চিত্রসেনের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র রত্নসেন রাজা হয়েছেন। শুকের প্রশংসা শুনে রত্নসেন লক্ষ টাকা দিয়ে হীরামন ক্রয় করলেন।
    No Specifications