মানবতার জননী শেখ হাসিনা

বিশ্বের অধিকার বঞ্চিত, শােষিত, নির্যাতিত মানুষের ত্রাণকর্তা হিসেবে যুগে যুগে আবিৰ্ভত হয়েছেন বহু মহামানব। শাসকের। রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, জেল-নির্যাতন মােকাবিলা করে লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হয়েছে এদের অনেককে। ২৩ বছর পাকিস্তানের জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে বারবার মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে ১৯৭১ সালে অধিকার বঞ্চিত বাঙালির স্বাধীনতা এনেছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি মানবতাবাদী নেতা ছিলেন সারা বিশ্বে তাঁর পরিচিতি ছিল শােষিত মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে। তার সুযােগ্য কন্যা এখন বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় । মানবিক মনােভাবের কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এখন বিশ্বে আলােচিত নাম। তার নামের আগে পরে বিশ্লেষণ যােগ করতে হয় না, দরকার হয় না। এক কঠিন সংগ্রামের পথ বেয়ে তিনি আজ স্বপ্রতিভায় বিকশিত। পিতার যােগ্য উত্তরসূরী হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন । ৩৮ বছর ধরে একটানা দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে থাকা, চারবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া এবং এখনও প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা সত্যিই গর্বিত হওয়ার মতাে। পিতার মতাে দুর্জয় সাহস নিয়ে দেশের রাজনীতি ও জনগণের পক্ষে নিজের দৃঢ় অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছেন, যুদ্ধ করছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখনও এগিয়ে চলছেন। তাঁর নেততে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় প্রায় ২০০০ ডলার। স্বাস্থ্য শিক্ষা, খাদ্য, বিদ্যৎ, যােগাযােগ, তথ্যপ্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে দ্রুত গাণিতিক পরিবর্তন। অর্থনৈতিক সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে বাংলাদেশ। প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের উপরে । নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ধাপে ধাপে পূরণ হতে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ যা রূপকল্প। ২০২১-এর সফল কর্মসূচি। দারিদ্র্য হ্রাস, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, আঞ্চলিক সহযােগিতা সম্প্রসারণ এসব কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে বিশেষ অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ যােগাযােগ ব্যবস্থায় দৃশ্যমান হচ্ছে আমূল পরিবর্তন। শেখ হাসিনা। ব্যক্তিগতভাবে এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকার জন্য অর্জন করেছেন ৩৮টি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি । রােহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে হয়েছেন, 'মাদার অব হিউম্যানিটি।