Skip to Content
নিত্য কারাগারে

Price:

220.00 ৳


নিতু মাহবুবের ডায়েরি
নিতু মাহবুবের ডায়েরি
240.00 ৳
300.00 ৳ (20% OFF)
নিনাদ
নিনাদ
256.00 ৳
320.00 ৳ (20% OFF)

নিত্য কারাগারে

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/25164/image_1920?unique=479c0a1

220.00 ৳ 220.0 BDT 275.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

রাত অনেক হয়েছে। পাশের খাটিয়ায় ওবায়েদ ঘুমিয়ে পড়েছে। আমার চোখে ঘুমবেশ কিছুদিন ধরে ঘুম আমার সঙ্গে আড়ি দিয়েছে। প্রায়ই বিনিদ্র রজনী পার করছি ওবায়েদ আর আমদের ফালতু ধলুর নাক ডাকার বিচিত্র শব্দ শুনে পাশে। ভ্রাকৃচ্ছতার রােগী হওয়ার কী জ্বালা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।গত ন'মাস ধরে যেখানটায় বাস করছি তার নাম দশ সেল। ঢাকা জেলের দশ্য সেলের মধ্যে সর্বাধুনিক ব্যবস্থা এটিতে। ১৯৬২ সালে ছাত্রাবস্থায় যখন ত্রা এনেছিল তখন ছাব্বিশ সেলে ছিলাম। সেই সময়েই জানলাম নতুন সেল আর ইছে। নাম দেওয়া হয়েছে দশ সেল। কারণ, সেখানে দশটি ঘর থাকবে।শহিলাম তা তৈরি হচ্ছে বিশিষ্ট অতিথিদের জন্যে। সব রকম সুযােগ-সুবিধাই শক্তি থাকবে সেখানে। তখন হয়ত ইচ্ছে হয়েছিল যদি দশ সেলে থাকতেম! সেই সুযােগ এরই মধ্যে এসে গেল। দশ সেলে প্রথম মেহমান ছিলেন উত্তরবঙ্গের জনৈক জাতীয় পরিষদ সদস্য। দল থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলাকিকার আলী ভুট্টো। অল্পদিন পরেই তিনি মুক্তি পেয়ে যান। তারপর থেকেশাহি দশ সেল খালিই পড়েছিল। দীর্ঘদিন পর সেটা আবার ভরে উঠেছে আগমনে। ছয় দফা দাবির আন্দোলন করে আমরা যেসব আওয়ামীকার কর্মী কারাবরণ করেছি তাদের স্থান হয়েছে দশ সেলে। সারা জেলখানার কাকে বলে ভাগ্যবানদের জন্য এই জায়গা। আমদের মত কিন্তু ভিন্ন।১৯৬২ সালের পরও বেশ কয়েকবার এদিকে আমার আসতে হয়েছে। পুরনাে শ্রী, নতুন হাজত, পুরানাে বিশ এবং এক-দুই খাতায় পর পর থেকে গেছি। আল-জীবনের সূচনায় অবশ্য বর্তমান দশ সেলেরই সংলগ্ন চার-খাতায় আমাকে "আ" Sইল। তারপর থেকে স্বল্প পরিসর এই জীবনে দশবার কারাবরণের সময় = জাগায় আমাকে রাখা হয়েছে। ঢাকা জেলের প্রায় প্রত্যেক স্থানেই দল বাস করেছি। এর প্রতিটি জায়গা আমার আসা হয় আরও অনেকের সঙ্গে তখন আমি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। নীয় দিক থেকে সকলের চাইতে ছােট, বলতে গেলে একেবারে সর্বকনিষ্ঠ।

শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন

শাহ্ মােয়াজ্জেম হােসেন শাহ্ মােয়াজ্জেম হােসেন বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত নাম। তিনি ১৯৩৯ সালের ১০ই জানুয়ারি বিক্রমপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৪ সালে ঢাকা সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল হতে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি, ঢাকা কলেজ হতে এইচএসসি, জগন্নাথ কলেজ হতে বিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে নবম শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় তার প্রথম কারাবণ। দেশ ও মানুষের জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে তিনি বহু কারাবরণ করেন। বন্ধুরা। তাকে কারাগারের পাখি বলে ডাকেন। বাংলাদেশের জীবিত রাজনৈতিকদের মধ্যে তার। চাইতে কেউ বেশি কারাবরণ করেননি। ১৯৫৪ সালে তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৯ সালে উক্ত সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তিন তিন বার তিনি সে পদে বহাল ছিলেন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের তিনি ছিলেন মহানায়ক। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং | মুজিবনগর হতে স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসাবে কাজ করেন। ভারতীয় পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে তার। ভাষণ আমাদের স্বাধীনতা ইতিহাসের এক। অবিস্মরণীয় ঘটনা। ১৯৭২ সালে তিনি স্বাধীন।

Title

নিত্য কারাগারে

Author

শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন

Publisher

Ananya

Number of Pages

152

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  • First Published

    FEB 2016

    রাত অনেক হয়েছে। পাশের খাটিয়ায় ওবায়েদ ঘুমিয়ে পড়েছে। আমার চোখে ঘুমবেশ কিছুদিন ধরে ঘুম আমার সঙ্গে আড়ি দিয়েছে। প্রায়ই বিনিদ্র রজনী পার করছি ওবায়েদ আর আমদের ফালতু ধলুর নাক ডাকার বিচিত্র শব্দ শুনে পাশে। ভ্রাকৃচ্ছতার রােগী হওয়ার কী জ্বালা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।গত ন'মাস ধরে যেখানটায় বাস করছি তার নাম দশ সেল। ঢাকা জেলের দশ্য সেলের মধ্যে সর্বাধুনিক ব্যবস্থা এটিতে। ১৯৬২ সালে ছাত্রাবস্থায় যখন ত্রা এনেছিল তখন ছাব্বিশ সেলে ছিলাম। সেই সময়েই জানলাম নতুন সেল আর ইছে। নাম দেওয়া হয়েছে দশ সেল। কারণ, সেখানে দশটি ঘর থাকবে।শহিলাম তা তৈরি হচ্ছে বিশিষ্ট অতিথিদের জন্যে। সব রকম সুযােগ-সুবিধাই শক্তি থাকবে সেখানে। তখন হয়ত ইচ্ছে হয়েছিল যদি দশ সেলে থাকতেম! সেই সুযােগ এরই মধ্যে এসে গেল। দশ সেলে প্রথম মেহমান ছিলেন উত্তরবঙ্গের জনৈক জাতীয় পরিষদ সদস্য। দল থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলাকিকার আলী ভুট্টো। অল্পদিন পরেই তিনি মুক্তি পেয়ে যান। তারপর থেকেশাহি দশ সেল খালিই পড়েছিল। দীর্ঘদিন পর সেটা আবার ভরে উঠেছে আগমনে। ছয় দফা দাবির আন্দোলন করে আমরা যেসব আওয়ামীকার কর্মী কারাবরণ করেছি তাদের স্থান হয়েছে দশ সেলে। সারা জেলখানার কাকে বলে ভাগ্যবানদের জন্য এই জায়গা। আমদের মত কিন্তু ভিন্ন।১৯৬২ সালের পরও বেশ কয়েকবার এদিকে আমার আসতে হয়েছে। পুরনাে শ্রী, নতুন হাজত, পুরানাে বিশ এবং এক-দুই খাতায় পর পর থেকে গেছি। আল-জীবনের সূচনায় অবশ্য বর্তমান দশ সেলেরই সংলগ্ন চার-খাতায় আমাকে "আ" Sইল। তারপর থেকে স্বল্প পরিসর এই জীবনে দশবার কারাবরণের সময় = জাগায় আমাকে রাখা হয়েছে। ঢাকা জেলের প্রায় প্রত্যেক স্থানেই দল বাস করেছি। এর প্রতিটি জায়গা আমার আসা হয় আরও অনেকের সঙ্গে তখন আমি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। নীয় দিক থেকে সকলের চাইতে ছােট, বলতে গেলে একেবারে সর্বকনিষ্ঠ।
    No Specifications