Skip to Content
বুদ্ধিবৃত্তিক জঞ্জাল (বার্ট্রান্ড রাসেল)

Price:

352.00 ৳


বুদ্ধিজীবী ও রাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ
বুদ্ধিজীবী ও রাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ
208.00 ৳
260.00 ৳ (20% OFF)
বুদ্ধের রাষ্ট্রদর্শন
বুদ্ধের রাষ্ট্রদর্শন
232.00 ৳
290.00 ৳ (20% OFF)

বুদ্ধিবৃত্তিক জঞ্জাল (বার্ট্রান্ড রাসেল)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/26909/image_1920?unique=83326c2

352.00 ৳ 352.0 BDT 440.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

ভ্রান্ত, গোঁড়া, বিজ্ঞানবিরোধী, সহিংস ও অমানবিক রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক, দার্শনিক মতবাদ এবং ধারণার বিরুদ্ধে সর্বদাই সোচ্চার ছিলেন বার্ট্রান্ড রাসেল। Unpopular Essays বইটি তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ । ‘বুদ্ধিবৃত্তিক জঞ্জাল-এ তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক তরবারির কোপ থেকে কোনো দার্শনিক, রাজনীতিবিদ, সমাজ-সংস্কারকই রক্ষা পেয়েছেন বলে মনে হয় না- প্লেটো থেকে শুরু করে অ্যারিস্টটল, দেকার্ত, কান্ট, হেগেল, লাইবনিজ, বার্কলি, মার্কস্, হিউম এবং অন্যান্য প্রখ্যাত সব দার্শনিক যেমন কাটা পড়েছেন, তেমনই আহত হয়েছেন তাঁর দেশের প্রখ্যাত সব রাজনীতিবিদসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানের রাজনীতিবিদ ও তথাকথিত সমাজ-সংস্কারকগণ। কেবল লক্‌ই বোধহয় একমাত্র দার্শনিক যিনি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরতে পেরেছিলেন। হতে পারে দুজনেরই অভিজ্ঞতাবাদের সমর্থনের ও উদারপন্থী রাজনৈতিক মতবাদের কারণে সেটি ঘটেছিল। বড় দার্শনিক অ্যারিস্টটলের অজ্ঞতার একটি বর্ণনা দিতে গিয়ে যেমন তিনি বলেছেন : “তিনি (অ্যারিস্টটল) বলেন যে, নারীদের রক্ত পুরুষদের তুলনায় কালো; শুকর হলো একমাত্র প্রাণী যাদের কৃমিরোগ হয়; যেসব হাতী অনিদ্রায় ভোগে তাদের কাঁধ লবণ, অলিভ তেল এবং গরম পানি দিয়ে মালিশ করে দিতে হবে; নারীদের দাঁতের সংখ্যা পুরুষদের চাইতে ইত্যাদি, ইত্যাদি।” এমন হাজারো দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন রাসেল, যা মহাপুরুষদের এবং সাধারণ মানুষেরও, অজ্ঞতা, গোঁড়ামি, কুসংস্কার, মিথ্যা বিশ্বাস, অশুভ চিন্তা, নষ্টামি প্রকাশ করেছে। কিন্তু তিনি বিশ্বের মানুষের মুক্তি, শান্তি এবং সুখের দিশাও দিয়েছেন এই বইটিতে। সবকিছু ছাপিয়ে রাসেল যেকথা এই বইয়ের প্রবন্ধগুলোর মধ্যে তুলে ধরতে চেয়েছেন তা হলো, তাঁর ভাষায়: “বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধগুলো... কোনো না কোনোভাবে ডান অথবা বামের গোঁড়া মতবাদের বিকাশকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে রচিত; এই গোঁড়া মতবাদই আমাদের এই ট্রাজিক শতাব্দীর বৈশিষ্ট্য ।”, এই বইটির নামকরণ কিছুটা ব্যাজস্তুতিমূলক; রাসেলের তীব্র সমালোচনার জন্য এর বক্তব্য 'অ-জনপ্রিয়' হতে পারে, কিন্তু সত্য সন্ধানের লক্ষ্যে রচিত বলে তা জনপ্রিয় বলেও বিবেচিত হতে পারে। এই বইটির সবচেয়ে বড় প্রবন্ধটির শিরোনাম অনুসরণে আমরা এই বইটির নাম রেখেছি ‘বুদ্ধিবৃত্তিক জঞ্জাল'। রাসেল একসময় বলেছিলেন যে, দর্শনের কাজ হলো 'সঠিক অনুধাবন' গড়ে তোলা। বুদ্ধিবৃত্তিক জঞ্জাল পরিষ্কার করাকে সেই লক্ষ্যে একটি প্রধান কাজ বলে ধরা যায়।

Aminul Islam Bhuiyan

আমিনুল ইসলাম ভুইয়া ১৯৫৩ সালের ১ অক্টোবর নরসিংদী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এবং ১৯৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে নীতি বিশ্লেষণে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা : প্লেটোর আইনকানুন (অনুবাদ : বাংলা একাডেমি); সক্রেটিসের জবানবন্দি, ইউথিফ্রো, প্রোতাগোরাস, ক্রিতো, মেনো, ফিদো, ফিদ্রাস, লেকিজ, লাইসিস, ইউথিদামাস (অনুবাদ: পাঠক সমাবেশ); কার্ল পপার: নির্বাচিত দার্শনিক রচনা (অনুবাদ ও সম্পাদনা; ৩ খন্ডে; বাংলা একাডেমি); জগতের লাঞ্ছিত (ফ্রাঞ্জ ফাঁনোর The Wretched of the Earth-এর অনুবাদ; বাংলা একাডেমি ও মওলা ব্রাদার্স); বাংলাদেশের সত্তার অন্বেষা (আকবর আলি খানের Discovery of Bangladesh-এর অনুবাদ; বাংলা একাডেমি); অত্যাচারিতের শিক্ষা (পাওলো ফ্রেইরির Pedagogy of the Oppressed-এর অনুবাদ; আরবান); রবীন্দ্রনাখ: দর্শনভাবনা (মূর্ধন্য) ও প্লেটোর রিপাবলিক-এর ভূমিকা (পাঠক সমাবেশ) । ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের সচিব পদ থেকে অবসর লাভ করেন (সর্বশেষ দায়িত্বপালন: সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ)। বর্তমানে বাংলায় প্লেটোসমগ্র অনুবাদে ব্যাপৃত। পছন্দের বিষয়: বিজ্ঞানের দর্শন ও তুলনামূলক কিংবদন্তিশাস্ত্র।

Title

বুদ্ধিবৃত্তিক জঞ্জাল (বার্ট্রান্ড রাসেল)

Author

Aminul Islam Bhuiyan

Publisher

Somoy Prokashon

Number of Pages

263

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Philosophy
  • First Published

    FEB 2023

    ভ্রান্ত, গোঁড়া, বিজ্ঞানবিরোধী, সহিংস ও অমানবিক রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক, দার্শনিক মতবাদ এবং ধারণার বিরুদ্ধে সর্বদাই সোচ্চার ছিলেন বার্ট্রান্ড রাসেল। Unpopular Essays বইটি তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ । ‘বুদ্ধিবৃত্তিক জঞ্জাল-এ তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক তরবারির কোপ থেকে কোনো দার্শনিক, রাজনীতিবিদ, সমাজ-সংস্কারকই রক্ষা পেয়েছেন বলে মনে হয় না- প্লেটো থেকে শুরু করে অ্যারিস্টটল, দেকার্ত, কান্ট, হেগেল, লাইবনিজ, বার্কলি, মার্কস্, হিউম এবং অন্যান্য প্রখ্যাত সব দার্শনিক যেমন কাটা পড়েছেন, তেমনই আহত হয়েছেন তাঁর দেশের প্রখ্যাত সব রাজনীতিবিদসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানের রাজনীতিবিদ ও তথাকথিত সমাজ-সংস্কারকগণ। কেবল লক্‌ই বোধহয় একমাত্র দার্শনিক যিনি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরতে পেরেছিলেন। হতে পারে দুজনেরই অভিজ্ঞতাবাদের সমর্থনের ও উদারপন্থী রাজনৈতিক মতবাদের কারণে সেটি ঘটেছিল। বড় দার্শনিক অ্যারিস্টটলের অজ্ঞতার একটি বর্ণনা দিতে গিয়ে যেমন তিনি বলেছেন : “তিনি (অ্যারিস্টটল) বলেন যে, নারীদের রক্ত পুরুষদের তুলনায় কালো; শুকর হলো একমাত্র প্রাণী যাদের কৃমিরোগ হয়; যেসব হাতী অনিদ্রায় ভোগে তাদের কাঁধ লবণ, অলিভ তেল এবং গরম পানি দিয়ে মালিশ করে দিতে হবে; নারীদের দাঁতের সংখ্যা পুরুষদের চাইতে ইত্যাদি, ইত্যাদি।” এমন হাজারো দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন রাসেল, যা মহাপুরুষদের এবং সাধারণ মানুষেরও, অজ্ঞতা, গোঁড়ামি, কুসংস্কার, মিথ্যা বিশ্বাস, অশুভ চিন্তা, নষ্টামি প্রকাশ করেছে। কিন্তু তিনি বিশ্বের মানুষের মুক্তি, শান্তি এবং সুখের দিশাও দিয়েছেন এই বইটিতে। সবকিছু ছাপিয়ে রাসেল যেকথা এই বইয়ের প্রবন্ধগুলোর মধ্যে তুলে ধরতে চেয়েছেন তা হলো, তাঁর ভাষায়: “বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধগুলো... কোনো না কোনোভাবে ডান অথবা বামের গোঁড়া মতবাদের বিকাশকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে রচিত; এই গোঁড়া মতবাদই আমাদের এই ট্রাজিক শতাব্দীর বৈশিষ্ট্য ।”, এই বইটির নামকরণ কিছুটা ব্যাজস্তুতিমূলক; রাসেলের তীব্র সমালোচনার জন্য এর বক্তব্য 'অ-জনপ্রিয়' হতে পারে, কিন্তু সত্য সন্ধানের লক্ষ্যে রচিত বলে তা জনপ্রিয় বলেও বিবেচিত হতে পারে। এই বইটির সবচেয়ে বড় প্রবন্ধটির শিরোনাম অনুসরণে আমরা এই বইটির নাম রেখেছি ‘বুদ্ধিবৃত্তিক জঞ্জাল'। রাসেল একসময় বলেছিলেন যে, দর্শনের কাজ হলো 'সঠিক অনুধাবন' গড়ে তোলা। বুদ্ধিবৃত্তিক জঞ্জাল পরিষ্কার করাকে সেই লক্ষ্যে একটি প্রধান কাজ বলে ধরা যায়।
    No Specifications