Skip to Content
ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম

Price:

200.00 ৳


টুটুলের মা-গাছ
টুটুলের মা-গাছ
120.00 ৳
150.00 ৳ (20% OFF)
ডিনারের জন্য কয়েকটি কাটা আঙ্গুল
ডিনারের জন্য কয়েকটি কাটা আঙ্গুল
112.00 ৳
140.00 ৳ (20% OFF)

ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/34391/image_1920?unique=cbf2c4f

200.00 ৳ 200.0 BDT 250.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

সবাই গােল হয়ে ঘিরে আছে বড় মনিটরটি, একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে গ্রহটির দিকে। অত্যন্ত নিখুঁত বিশ্লেষণ করার উপযােগী মনিটর, নব্বই হাজার কিলাে মিটার দূরের আশ্চর্য গ্রহটিকে স্পষ্ট ফুটিয়ে তুলেছে। কিম জিবান, দলের ইঞ্জিনিয়ার, মনিটরের বিভিন্ন নবগুলি টিপে টিপে গ্রহটির ছবিটিকে আরাে স্পষ্ট করার চেষ্টা করছিল। মনিটরে গ্রহটির আশ্চর্য রঙগুলির বেশিরভাগই কৃত্রিম, কিম জিবানের দেয়া, খানিকটা দেখতে সুবিধা হওয়ার জন্যে এবং খানিকটা ভালাে দেখানাের জন্যে। সে ব্যক্তিগত জীবনে শিল্পী, অন্তত নিজে তাই বিশ্বাস করে, তাই কোনাে কাজ না থাকলে মনিটরের একঘেয়ে ছবিগুলিতে রঙ দিয়ে একটু বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করে। মহাকাশযানের নিয়মকানুনের ফাইল খুঁজে দেখলে হয়ত দেখা যাবে কাজটা যষ্ঠ মাত্রার বেআইনী কাজ, কিন্তু সেটা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না, সবাই একসাথে থাকলে শব্দ করে হাঁচি দেয়াও নাকি ষষ্ঠ মাত্রার বেআইনী কাজ। কিম জিবান আজ খুব সুবিধে করতে পারছে না, গ্রহটিতে এমন একটা কিছু আছে যে যতই রঙ দেয়ার চেষ্টা করুক কিছুতেই সেটাকে দেখতে ভালাে লাগানাে যাচ্ছে না। খোঁচা খোঁচা দাড়ি ঘষতে ঘষতে কিম জিবান পুরাে গ্রহটিতে এক পোচ নীল রঙ বুলিয়ে দেয়, নীল রঙে যে কোনাে গ্রহকে ভালাে। দেখায় কিন্তু এবারে সেটা দিয়েও কোনাে লাভ হল না। বড় বড় গােলাকার গর্ত, যেগুলি নাকি খুব ধীরে ধীরে আকার পরিবর্তন করছে। গ্রহটিকে একটি কুৎসিত সরীসৃপের রূপ দিয়েছে, নীল রঙের সরীসৃপ এমন কিছু সুদর্শন বস্তু নয়। লু মহাকাশযান সিয়ানের দলপতি। দলপতির দায়িত্ব অন্যদের থেকে বেশি কথাটা পুরােপুরি সত্যি নয়। যখনি কোনাে সিদ্ধান্ত নিতে হয় সিসিয়ানের মূল কম্পিউটার সিডিসি তাকে সাহায্য করে। সিডিসি চতুর্থ মাত্রার কম্পিউটার, পৃথিবীতে চতুর্থ মাত্রার কম্পিউটারের সংখ্যা হাতে গােনা যায়। তার স্মৃতিভান্ডারে শুধু যে অপরিমেয় তথ্য রয়েছে তাই নয়, প্রয়ােজনে যে কোনাে মেমােরি ব্যাংকে যােগাযােগ করে প্রয়ােজনীয় জিনিস জানার অধিকার এবং ক্ষমতা দুইই তার আছে। সিডিসি ছাড়াও মহাকাশযানে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা রয়েছে, এটি একটি অনুসন্ধানী মহাকাশযান। এখানে সবাই কোনাে না কোনাে ধরনের বিজ্ঞানী। লুকে যখন সিদ্ধান্ত নিতে হয় সে অন্য বিজ্ঞানীদের সাথে আলােচনা করে, যেটা সবাই ভালাে মনে করে সেই সিদ্ধান্তই নেয়া হয়। তবে তিন মাত্রা বা তার থেকে বেশি

Muhammed Zafar Iqbal

মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী কথাসাহিত্য ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক, কলাম লেখক, পদার্থবিদ, শিক্ষাবিদ ও আন্দোলনকর্মী। তার লেখা কিছু উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে তিনি অবসরে চলে যান। তিনি ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ক্যলিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনলজি ও বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চে ১৮ বছর কাজ করার পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হন।

Title

ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম

Author

Muhammed Zafar Iqbal

Publisher

Shikha Prokashoni

Number of Pages

104

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Science Fiction
  • First Published

    APR 2017

    সবাই গােল হয়ে ঘিরে আছে বড় মনিটরটি, একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে গ্রহটির দিকে। অত্যন্ত নিখুঁত বিশ্লেষণ করার উপযােগী মনিটর, নব্বই হাজার কিলাে মিটার দূরের আশ্চর্য গ্রহটিকে স্পষ্ট ফুটিয়ে তুলেছে। কিম জিবান, দলের ইঞ্জিনিয়ার, মনিটরের বিভিন্ন নবগুলি টিপে টিপে গ্রহটির ছবিটিকে আরাে স্পষ্ট করার চেষ্টা করছিল। মনিটরে গ্রহটির আশ্চর্য রঙগুলির বেশিরভাগই কৃত্রিম, কিম জিবানের দেয়া, খানিকটা দেখতে সুবিধা হওয়ার জন্যে এবং খানিকটা ভালাে দেখানাের জন্যে। সে ব্যক্তিগত জীবনে শিল্পী, অন্তত নিজে তাই বিশ্বাস করে, তাই কোনাে কাজ না থাকলে মনিটরের একঘেয়ে ছবিগুলিতে রঙ দিয়ে একটু বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করে। মহাকাশযানের নিয়মকানুনের ফাইল খুঁজে দেখলে হয়ত দেখা যাবে কাজটা যষ্ঠ মাত্রার বেআইনী কাজ, কিন্তু সেটা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না, সবাই একসাথে থাকলে শব্দ করে হাঁচি দেয়াও নাকি ষষ্ঠ মাত্রার বেআইনী কাজ। কিম জিবান আজ খুব সুবিধে করতে পারছে না, গ্রহটিতে এমন একটা কিছু আছে যে যতই রঙ দেয়ার চেষ্টা করুক কিছুতেই সেটাকে দেখতে ভালাে লাগানাে যাচ্ছে না। খোঁচা খোঁচা দাড়ি ঘষতে ঘষতে কিম জিবান পুরাে গ্রহটিতে এক পোচ নীল রঙ বুলিয়ে দেয়, নীল রঙে যে কোনাে গ্রহকে ভালাে। দেখায় কিন্তু এবারে সেটা দিয়েও কোনাে লাভ হল না। বড় বড় গােলাকার গর্ত, যেগুলি নাকি খুব ধীরে ধীরে আকার পরিবর্তন করছে। গ্রহটিকে একটি কুৎসিত সরীসৃপের রূপ দিয়েছে, নীল রঙের সরীসৃপ এমন কিছু সুদর্শন বস্তু নয়। লু মহাকাশযান সিয়ানের দলপতি। দলপতির দায়িত্ব অন্যদের থেকে বেশি কথাটা পুরােপুরি সত্যি নয়। যখনি কোনাে সিদ্ধান্ত নিতে হয় সিসিয়ানের মূল কম্পিউটার সিডিসি তাকে সাহায্য করে। সিডিসি চতুর্থ মাত্রার কম্পিউটার, পৃথিবীতে চতুর্থ মাত্রার কম্পিউটারের সংখ্যা হাতে গােনা যায়। তার স্মৃতিভান্ডারে শুধু যে অপরিমেয় তথ্য রয়েছে তাই নয়, প্রয়ােজনে যে কোনাে মেমােরি ব্যাংকে যােগাযােগ করে প্রয়ােজনীয় জিনিস জানার অধিকার এবং ক্ষমতা দুইই তার আছে। সিডিসি ছাড়াও মহাকাশযানে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা রয়েছে, এটি একটি অনুসন্ধানী মহাকাশযান। এখানে সবাই কোনাে না কোনাে ধরনের বিজ্ঞানী। লুকে যখন সিদ্ধান্ত নিতে হয় সে অন্য বিজ্ঞানীদের সাথে আলােচনা করে, যেটা সবাই ভালাে মনে করে সেই সিদ্ধান্তই নেয়া হয়। তবে তিন মাত্রা বা তার থেকে বেশি
    No Specifications