Skip to Content
স্মৃতিসত্তার সৈয়দ হক

Price:

180.00 ৳


শুদ্ধ বানান চর্চা প্রমিত বাংলা বানান বিধি
শুদ্ধ বানান চর্চা প্রমিত বাংলা বানান বিধি
200.00 ৳
250.00 ৳ (20% OFF)
আনন্দলোক : ১১ মার্চ ২০২৫
আনন্দলোক : ১১ মার্চ ২০২৫
80.00 ৳
80.00 ৳

স্মৃতিসত্তার সৈয়দ হক

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/39734/image_1920?unique=8e0d0d6

180.00 ৳ 180.0 BDT 225.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

সকল প্রাপ্তির ভিড়েও আমার কানে কে যেন প্রতিনিয়ত বলে যায়—‘মানুষ এমনই। একবার পেলে তার কাছে নিতান্তই মাটির মনে হয় সােনার মােহর'। তার সঙ্গে অজানিতে আমার কণ্ঠ একাকার হয়ে যায়। কাকে যেন সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা-রাত্রি জিজ্ঞেস করতে থাকি ‘সে ক্যান দুঃখ দ্যায় ? উত্তর পাই না। হয়ত উত্তর প্রত্যাশাও করি না। আমি বরং উত্তরের অধিক গুরুত্বে জীবনভর বয়ে নিয়ে চলি এই গৃঢ়-সরল প্রশ্ন। চলতে চলতে সামনে দেখি ধু-ধু জলেশ্বরী। সেখানে করিমন বেওয়া ঘুমােবার জায়গা পাচ্ছে। না। এবং তার সঙ্গে সঙ্গে গােটা উত্তর বাংলা, পর্যায়ক্রমে দক্ষিণ বাংলা এবং শেষ পর্যন্ত গােটা বাংলাদেশই অন্দ্রি কারণ ভূমিহীন করিমন বেওয়াই বাংলাদেশ। আবার বাংলাদেশই করিমন বেওয়া। আর দূর আকাশে সবাই যখন নক্ষত্রবিলাসে ব্যস্ত তখন আমি নীলিমা জুড়ে মঞ্চস্থ হতে দেখি গাধাজ্যোৎস্নার পূর্বাপর। কারণ জলেশ্বরীবাস আমাকে এই অভিজ্ঞান দিয়েছে যে দুনিয়াব্যাপী গাধাকুলের রাজত্ব থাকলে জ্যোৎস্নাতেও তার দাগ পড়ে। তারপর অজস্র দেয়ালের দেশ পেরিয়ে দেখি খেলারামকে খেলতে বলে প্রকারান্তরে সে আমার তথাকথিত রুচির নাবালক কোষগুলাে গুঁড়িয়ে দেয়। নিষিদ্ধ লােবানের ঘ্রাণে উন্মাতাল আমি বৃষ্টি ও বিদ্রোহের সমার্থকতা উপলব্ধি করি। রক্ত ও জলের যুগলবন্দি এই চুরাশির জাতককে নিক্ষেপ করে অশেষ একাত্তরে। সেই কবে সে মন্ত্র শুনিয়েছিল—‘ভাষাই আপন করে আবার সেই ভাষা করে পর। শুধু মন্ত্র পড়িয়েই ক্ষান্তি দেয় নি সে। ভাষার গােলকধাধা তাে সে-ই ফাঁস করে মার্জিনের টুকরােটাকরা মন্তব্যে। সামান্য কথায় শিল্পের চোরাপথে পৌছবার সংকেত রেখে যায় আমার জন্য। খল সময় যখন বিচ্ছিন্নতার ইন্ধন জোগায় তখন সে আমায় জানান দেয়-মানুষ আসতে আছে। বানের লাহান মানুষ আসতে আছে। যূথবদ্ধ স্বপ্নেরা আসছে। তাদের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। যখন আমার দেশ ছেয়ে যায় রঙবেরঙের দালালের আলখেল্লায়, তখন সে নূরলদীনের কথা মনে করিয়ে দেয়। কালপূর্ণিমার রাতে সে ভুলতে দেয় না যে আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান। তেরােশত নদীর দেশে এমনভাবে আর কার পাল তােলা, সৈয়দ শামসুল হক ছাড়া ? সেই সৈয়দ শামসুল হককে নিয়ে তাঁর জীবদ্দশায় রচিত কয়েকটি প্রবন্ধ এবং মৃত্যুত্তর রচিত একটি স্মৃতিরেখায় এই বইয়ের নির্মাণ। সঙ্গে রইল বিভিন্ন সময় গৃহীত তার তিনটি সাক্ষাৎকার এবং বিচিত্র জীবন ও সৃষ্টিপঞ্জি। পাঠক আসুন, সৈয়দ শামসুল হক-কে পড়ি।

পিয়াস মজিদ

পিয়াস মজিদ জন্ম : ২১ ডিসেম্বর, ১৯৮৪, শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর (ইতিহাস বিভাগ), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পেশা : জনসংযোগ কর্মকর্তা, বাংলা একাডেমিপুরস্কার : এইচএসবিসি-কালি ও কলম পুরস্কার ২০১২, কলকাতার আদম লিটল ম্যাগাজিন প্রদত্ত তরুণ কবি সম্মাননা ২০১৬, সিটি-আনন্দ আলো পুরস্কার ২০১৬, শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার ২০১৬, দাঁড়াবার জায়গা সাহিত্য পুরস্কার ২০১৭, কলকাতা।অন্যান্য কর্মকা- : তার ছোটগল্প অবলম্বনে আশুতোষ সুজন নির্মাণ করেছেন টেলিছবি নগর ঢাকায় জনৈক জীবনানন্দ। ২০১৫তে আমন্ত্রিত হয়ে অংশ নিয়েছেন চীনে অনুষ্ঠিত চীন- দক্ষিণ এশিয়া- দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া লেখক সম্মেলনে।

Title

স্মৃতিসত্তার সৈয়দ হক

Author

পিয়াস মজিদ

Publisher

Anyaprokash

Number of Pages

110

Language

Bengali / বাংলা

First Published

JAN 2017

সকল প্রাপ্তির ভিড়েও আমার কানে কে যেন প্রতিনিয়ত বলে যায়—‘মানুষ এমনই। একবার পেলে তার কাছে নিতান্তই মাটির মনে হয় সােনার মােহর'। তার সঙ্গে অজানিতে আমার কণ্ঠ একাকার হয়ে যায়। কাকে যেন সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা-রাত্রি জিজ্ঞেস করতে থাকি ‘সে ক্যান দুঃখ দ্যায় ? উত্তর পাই না। হয়ত উত্তর প্রত্যাশাও করি না। আমি বরং উত্তরের অধিক গুরুত্বে জীবনভর বয়ে নিয়ে চলি এই গৃঢ়-সরল প্রশ্ন। চলতে চলতে সামনে দেখি ধু-ধু জলেশ্বরী। সেখানে করিমন বেওয়া ঘুমােবার জায়গা পাচ্ছে। না। এবং তার সঙ্গে সঙ্গে গােটা উত্তর বাংলা, পর্যায়ক্রমে দক্ষিণ বাংলা এবং শেষ পর্যন্ত গােটা বাংলাদেশই অন্দ্রি কারণ ভূমিহীন করিমন বেওয়াই বাংলাদেশ। আবার বাংলাদেশই করিমন বেওয়া। আর দূর আকাশে সবাই যখন নক্ষত্রবিলাসে ব্যস্ত তখন আমি নীলিমা জুড়ে মঞ্চস্থ হতে দেখি গাধাজ্যোৎস্নার পূর্বাপর। কারণ জলেশ্বরীবাস আমাকে এই অভিজ্ঞান দিয়েছে যে দুনিয়াব্যাপী গাধাকুলের রাজত্ব থাকলে জ্যোৎস্নাতেও তার দাগ পড়ে। তারপর অজস্র দেয়ালের দেশ পেরিয়ে দেখি খেলারামকে খেলতে বলে প্রকারান্তরে সে আমার তথাকথিত রুচির নাবালক কোষগুলাে গুঁড়িয়ে দেয়। নিষিদ্ধ লােবানের ঘ্রাণে উন্মাতাল আমি বৃষ্টি ও বিদ্রোহের সমার্থকতা উপলব্ধি করি। রক্ত ও জলের যুগলবন্দি এই চুরাশির জাতককে নিক্ষেপ করে অশেষ একাত্তরে। সেই কবে সে মন্ত্র শুনিয়েছিল—‘ভাষাই আপন করে আবার সেই ভাষা করে পর। শুধু মন্ত্র পড়িয়েই ক্ষান্তি দেয় নি সে। ভাষার গােলকধাধা তাে সে-ই ফাঁস করে মার্জিনের টুকরােটাকরা মন্তব্যে। সামান্য কথায় শিল্পের চোরাপথে পৌছবার সংকেত রেখে যায় আমার জন্য। খল সময় যখন বিচ্ছিন্নতার ইন্ধন জোগায় তখন সে আমায় জানান দেয়-মানুষ আসতে আছে। বানের লাহান মানুষ আসতে আছে। যূথবদ্ধ স্বপ্নেরা আসছে। তাদের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। যখন আমার দেশ ছেয়ে যায় রঙবেরঙের দালালের আলখেল্লায়, তখন সে নূরলদীনের কথা মনে করিয়ে দেয়। কালপূর্ণিমার রাতে সে ভুলতে দেয় না যে আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান। তেরােশত নদীর দেশে এমনভাবে আর কার পাল তােলা, সৈয়দ শামসুল হক ছাড়া ? সেই সৈয়দ শামসুল হককে নিয়ে তাঁর জীবদ্দশায় রচিত কয়েকটি প্রবন্ধ এবং মৃত্যুত্তর রচিত একটি স্মৃতিরেখায় এই বইয়ের নির্মাণ। সঙ্গে রইল বিভিন্ন সময় গৃহীত তার তিনটি সাক্ষাৎকার এবং বিচিত্র জীবন ও সৃষ্টিপঞ্জি। পাঠক আসুন, সৈয়দ শামসুল হক-কে পড়ি।
No Specifications