Skip to Content
প্রিয়তম অসুখ সে

Price:

800.00 ৳


Atomic Habits by James Clear
Atomic Habits by James Clear
1,798.00 ৳
1,798.00 ৳
Hercule Poirot : The Complete Short Stories
Hercule Poirot : The Complete Short Stories
2,100.00 ৳
2,100.00 ৳

প্রিয়তম অসুখ সে

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/2476/image_1920?unique=c773b04

800.00 ৳ 800.0 BDT 800.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

বিকেলের দিকে হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নামল। হৃদি তখন খোলা মাঠে একটা শুকনো খড়ের গাদার ওপর বসেছিল। যতদূর চোখ যায়, কোথাও কেউ নেই। কেবল ধুধু ফসলের মাঠ। মাঠের পাশে নদী। নদীর বুকে শব্দ। সেই শব্দে নুপূরের ছন্দ তুলে নেমে এল বৃষ্টি। হৃদি তটস্থ গলায় বলল, ‘এখন ? এখন কী হবে ?’ ‘কী হবে ?’ ‘এই যে বৃষ্টি চলে এল।’ ‘তাতে কী ?’ ‘আমি এই ভেজা শাড়িতে ফিরব কী করে ?’ ‘ফিরতে হবে না।’ বলে হৃদির বুকের কাছে এগিয়ে গেল অনিক। তারপর দুহাতে আঁকড়ে ধরল তাকে। বলল, ‘তোমার কাজল ধুয়ে যাচ্ছে।’ হৃদি কথা বলল না। অনিকের এই কথা, এই কণ্ঠস্বর, নদী, মাঠ, বৃষ্টি সবই তার ভালো লাগছে। কিন্তু এখান থেকে ফেরার চিন্তা তাকে আড়ষ্ট করে রাখল। অনিক হঠাৎ তার ঘাড়ের কাছের ভেজা চুলে নাক ডুবিয়ে দিল। তারপর ফিসফিস করে বলল, ‘বৃষ্টি এলেই তোমার চুলে খানিক ভুলে গন্ধ নেব তোমার ঠোঁটেই খুঁজব নেশা, নিকোটিনটা বন্ধ দেব বেহিসেবি হাটবাজারে ছেড়েই দেব দামাদামি বৃষ্টি এলেই বদলে যাব, আবার হব তোমার আমি।’ হৃদি কথা বলল না। সে টলমল চোখে তাকিয়ে রইল। সূর্য লুকিয়েছে অনেক আগেই। মেঘলা আকাশও যেন আগেভাগেই দিনের যবনিকা টেনে দিচ্ছে। কিন্তু হৃদির চোখে, মুখে, বুকে জ্বলে রইল আশ্চর্য দ্যুতিময় এক আলো! সন্ধ্যার অন্ধকারের সাধ্য কী সেই আলো নেভায় ?

সাদাত হোসাইন

সাদাত হোসাইন স্নাতকোত্তর, নৃবিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সাদাত হোসাইন নিজেকে বলেন গল্পের মানুষ। তাঁর কাছে চারপাশের জীবন ও জগত, মন ও মানুষ সকলই গল্প। তিনি মনে করেন, সিনেমা থেকে পেইন্টিং, আলোকচিত্র থেকে ভাস্কর্য, গান থেকে কবিতা- উপন্যাস-নাটক, সৃজনশীল এই প্রতিটি মাধ্যমই মূলত গল্প বলে। গল্প বলার সেই আগ্রহ থেকেই একের পর এক লিখেছেন- আরশিনগর, অন্দরমহল, মানবজনম, নিঃসঙ্গ নক্ষত্র, নির্বাসন, ছদ্মবেশ, মেঘেদের দিন ও অর্ধবৃত্তের মতো তুমুল জনপ্রিয় উপন্যাস। ‘কাজল চোখের মেয়ে’, তোমাকে দেখার অসুখ'সহ দারুণ সব পাঠকপ্রিয় কবিতার বই। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বোধ, দ্য শুজ, প্রযত্নের পাশাপাশি' নির্মাণ করেছেন 'গহীনের গান' এর মতো ব্যতিক্রমধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও। জিতেছেন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকার পুরস্কার, এসবিএসপি-আরপি ফাউন্ডেশন সাহিত্য পুরস্কার, পশ্চমিবঙ্গের চোখ সাহত্যি পুরস্কার, শুভজন সাহিত্য সম্মাননা ও এক্সিম ব্যাংক- অন্যদিন হুমায়ূন আহমদে সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯। তাঁর জন্ম ১৯৮৪ সালের ২১ মে, মাদারীপুর জেলার, কালকিনি থানার কয়ারিয়া গ্রামে।

Title

প্রিয়তম অসুখ সে

Author

সাদাত হোসাইন

Publisher

Anyaprokash

Language

Bengali / বাংলা

বিকেলের দিকে হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নামল। হৃদি তখন খোলা মাঠে একটা শুকনো খড়ের গাদার ওপর বসেছিল। যতদূর চোখ যায়, কোথাও কেউ নেই। কেবল ধুধু ফসলের মাঠ। মাঠের পাশে নদী। নদীর বুকে শব্দ। সেই শব্দে নুপূরের ছন্দ তুলে নেমে এল বৃষ্টি। হৃদি তটস্থ গলায় বলল, ‘এখন ? এখন কী হবে ?’ ‘কী হবে ?’ ‘এই যে বৃষ্টি চলে এল।’ ‘তাতে কী ?’ ‘আমি এই ভেজা শাড়িতে ফিরব কী করে ?’ ‘ফিরতে হবে না।’ বলে হৃদির বুকের কাছে এগিয়ে গেল অনিক। তারপর দুহাতে আঁকড়ে ধরল তাকে। বলল, ‘তোমার কাজল ধুয়ে যাচ্ছে।’ হৃদি কথা বলল না। অনিকের এই কথা, এই কণ্ঠস্বর, নদী, মাঠ, বৃষ্টি সবই তার ভালো লাগছে। কিন্তু এখান থেকে ফেরার চিন্তা তাকে আড়ষ্ট করে রাখল। অনিক হঠাৎ তার ঘাড়ের কাছের ভেজা চুলে নাক ডুবিয়ে দিল। তারপর ফিসফিস করে বলল, ‘বৃষ্টি এলেই তোমার চুলে খানিক ভুলে গন্ধ নেব তোমার ঠোঁটেই খুঁজব নেশা, নিকোটিনটা বন্ধ দেব বেহিসেবি হাটবাজারে ছেড়েই দেব দামাদামি বৃষ্টি এলেই বদলে যাব, আবার হব তোমার আমি।’ হৃদি কথা বলল না। সে টলমল চোখে তাকিয়ে রইল। সূর্য লুকিয়েছে অনেক আগেই। মেঘলা আকাশও যেন আগেভাগেই দিনের যবনিকা টেনে দিচ্ছে। কিন্তু হৃদির চোখে, মুখে, বুকে জ্বলে রইল আশ্চর্য দ্যুতিময় এক আলো! সন্ধ্যার অন্ধকারের সাধ্য কী সেই আলো নেভায় ?
No Specifications