Skip to Content
বাংলাদেশের আঞ্চলিকভাষার কবিতা

Price:

340.00 ৳


বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং আপনভুবন
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং আপনভুবন
240.00 ৳
300.00 ৳ (20% OFF)
বাংলাদেশের আদিবাসী : ভাষা সংস্কৃতি-অধিকার
বাংলাদেশের আদিবাসী : ভাষা সংস্কৃতি-অধিকার
240.00 ৳
300.00 ৳ (20% OFF)
20% OFF

বাংলাদেশের আঞ্চলিকভাষার কবিতা

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/26492/image_1920?unique=480c38a

340.00 ৳ 340.0 BDT 425.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

আধুনিক বাংলা সাহিত্যে সর্বপ্রথম আঞ্চলিক বা গ্রামীণ শব্দ ও ভাষা ব্যবহার করেছিলেন যুগস্রষ্টা মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। প্রাচীন ও মধ্যযুগ কাব্যনির্ভর। প্রাচীন ও মধ্যযুগের কবিরাও তাদের অনেক কবিতায় এই-আঞ্চলিকভাষা বা উপ-আঞ্চলিক কথ্যরীতির (Local Colloquial Style) শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামেরও আঞ্চলিকভাষা-প্রীতি ছিল এবং তিনি তার রচনায় এই-আঞ্চলিকভাষার প্রয়ােগ অতীব সার্থকভাবেই করেন। নজরুল ইসলাম আঞ্চলিকভাষা বলতেও পছন্দ করতেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব বাংলার বহু অঞ্চল ভ্রমণ করেন। এই ভ্রমণ ব্যপদেশে যখন যেখানে যেতেন, সেখানকার আঞ্চলিকভাষা রপ্ত করে বলার চেষ্টা করতেন। একবার বেশ কয়েকদিনের জন্যে তিনি সিলেট যান। তাঁর এই সিলেট যাত্রায় সারা সিলেটে সাড়া পড়ে যায় । তিনি সেখানকার বহু সভা-সমিতিতে অংশ গ্রহণ করেন। শুধু তাই নয়, তার সিলেটে অবস্থানকালে বাড়ি বাড়ি দাওয়াত পড়তে থাকে এবং নজরুল সে সব দাওয়াত রক্ষা করতে চেষ্টাও করেন। একদিন পাহলােয়ান ইলু মিয়া এক দাওয়াতের বন্দোবস্ত করেন। সেখানকার চাপাচাপির খাওয়ার ব্যবস্থায় ইলু মিয়ার কথার প্রেক্ষিতে নজরুল বলেন: “খালি খাউকা, খালি খাউকা, আর কতাে খাইতাম বা, খাইতে খাইতে নুহেষে পেট ফাটি যাইবােগি।” একটি বিষয় এখানে উল্লেখ্য যে, সাধারণ মানুষ যে-ভাষায় কথা বলেন এবং তাদের মুখের সেই বিস্তৃত ভাষা ভঙ্গিটি কিন্তু মানভাষা বাংলা নয়। এটা আঞ্চলিকভাষা কিংবা উপ-আঞ্চলিক কথ্যভাষা। আর এই উপ-আঞ্চলিক কথ্যভাষাই প্রকৃত প্রস্তাবে আমাদের মাতৃভাষা। কারণ, আমাদের মায়েরা সাধারণত মানভাষা বাংলায় কথা বলেন না।

মুহাম্মদ শাফী

মুহম্মদ শফি বাংলা আঞ্চলিকভাষা-কাব্যের পথিকৃৎ কবি ; বিরল স্বপ্ন-পুরুষ; জীবন্ত কিংবদন্তীর নাম মুহম্মদ শফি। তিনি বরেণ্য নাট্যকার । জাতীয় ব্যক্তিত্বদের ওপর নাট্যরচনা তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ অবদান । সাহিত্যের প্রায়সকল শাখায় উল্লেখযােগ্য কাজ করেছেন । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তাঁর রচনার বিশিষ্ট অনুপ্রেরণা। তিনি ঐতিহ্য ও কালসচেতন সাহিত্যিক। কবিতা, নাটক, উপন্যাস, ছােটগল্প, প্রবন্ধ-গবেষণা, শিশুসাহিত্য, হাইকু, দ্বিপদী, চতুষ্পদী, জীবনী, ইতিহাস, সম্পাদনা ইত্যাদি মিলিয়ে মুহম্মদ শফির প্রকাশিত গ্রন্থ ৬৪টি। তন্মধ্যে কাব্যগ্রন্থ ২২টি ও নাটক ১৭টি। তিনি বেশকিছু পাঠ্যপুস্তকও সম্পাদনা করেছেন। বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম মাধ্যমিক স্তরসহ বিশ্ববিদ্যালয়েও তার নাটক পাঠ্যতালিকাভুক্ত করা হয়েছে । এছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে কবি ও নাট্যকার মুহম্মদ শফির বহু রচনা প্রচারবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। ১৯৬০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যশােরের কেশবপুর পৌরসভার ভবানীপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে মুহম্মদ শফি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আফসার আহমদ সিদ্দিকী। মুহম্মদ শফি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ.। সাহিত্যের শিক্ষক। ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত ছিলেন । বিচিত্র পেশা আর অভিজ্ঞতা তার । বর্তমানে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মতিঝিল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগে কর্মরত। বাংলা আঞ্চলিক ভাষা-কাব্যে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অবদানের জন্যে সারাবিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে মুহম্মদ শফিই প্রথম পুরস্কৃত কবি । শিক্ষাবিদ, কবি ও নাট্যকার হিসেবে তিনি এ-যাবৎ যেসকল পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলাে : রেডিও বেইজিং অ্যান্ড ট্যুরিজম্ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাওয়ার্ড (চীন প্রজাতন্ত্র), সমকালীন সাহিত্য পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু। স্মৃতিপদক, বাংলাদেশ-জাপান হাইকু পুরস্কার ও জাপান। রাজপরিবারের বিশেষ পুরস্কার, মনােজ বসু স্মৃতিপুরস্কার, ম্যান। অব দ্য ইয়ার, ১৯৯৯ (আমেরিকা), ইউনিভার্সাল অ্যাওয়ার্ড অব অ্যাপ্লিমেন্ট (আমেরিকা), ইন্টারন্যাশনাল অর্ডার অব মেরিট (লন্ডন), বিংশ শতাব্দী সম্মান স্বর্ণপদক (আমেরিকা), কাজী কাদের নেওয়াজ শিশুসাহিত্য পুরস্কার, মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার, দেশজ মেলা পুরস্কার, বিবেকানন্দ সম্মাননা, বাকফো। স্বর্ণপদক, ম্যান অব দ্য ইয়ার বাংলাদেশ, ২০০৮ (আমেরিকা), এশিয়ান লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ স্বর্ণপদক (ভারত), আন্তর্জাতিক জলঙ্গী কবিতা উৎসব সারস্বত সম্মাননা (ভারত), জীবনানন্দ দাশ সাহিত্যপুরস্কার, রঙধনু সাহিত্য পুরস্কার, সার্ক কালচারাল সম্মাননা (ভারত), একুশে সম্মাননা (শিক্ষা ক্ষেত্রে), সপ্তডিঙা সম্মাননা (যাদপুর। বিশ্ববিদ্যালয়), নজরুল সম্মাননা, বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ পদক, বিদ্যাসাগর সম্মাননা, একতারা শিল্পী গােষ্ঠী। সম্মাননা, কবি সংসদ সাহিত্যপুরস্কার প্রভৃতি। এ-ছাড়া পেয়েছেন। কাব্যাচার্য’ ও ‘বঙ্গশ্রী’ উপাধি ।

Title

বাংলাদেশের আঞ্চলিকভাষার কবিতা

Author

মুহাম্মদ শাফী

Publisher

Jhingephul

Number of Pages

294

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Poems
  • First Published

    FEB 2020

     Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

     Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

     Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

     International Delivery: Charges vary by country and book weight - will be informed after order confirmation.

     3 Days Happy Return. Change of mind is not applicable

     Multiple Payment Methods: Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

    আধুনিক বাংলা সাহিত্যে সর্বপ্রথম আঞ্চলিক বা গ্রামীণ শব্দ ও ভাষা ব্যবহার করেছিলেন যুগস্রষ্টা মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। প্রাচীন ও মধ্যযুগ কাব্যনির্ভর। প্রাচীন ও মধ্যযুগের কবিরাও তাদের অনেক কবিতায় এই-আঞ্চলিকভাষা বা উপ-আঞ্চলিক কথ্যরীতির (Local Colloquial Style) শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামেরও আঞ্চলিকভাষা-প্রীতি ছিল এবং তিনি তার রচনায় এই-আঞ্চলিকভাষার প্রয়ােগ অতীব সার্থকভাবেই করেন। নজরুল ইসলাম আঞ্চলিকভাষা বলতেও পছন্দ করতেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব বাংলার বহু অঞ্চল ভ্রমণ করেন। এই ভ্রমণ ব্যপদেশে যখন যেখানে যেতেন, সেখানকার আঞ্চলিকভাষা রপ্ত করে বলার চেষ্টা করতেন। একবার বেশ কয়েকদিনের জন্যে তিনি সিলেট যান। তাঁর এই সিলেট যাত্রায় সারা সিলেটে সাড়া পড়ে যায় । তিনি সেখানকার বহু সভা-সমিতিতে অংশ গ্রহণ করেন। শুধু তাই নয়, তার সিলেটে অবস্থানকালে বাড়ি বাড়ি দাওয়াত পড়তে থাকে এবং নজরুল সে সব দাওয়াত রক্ষা করতে চেষ্টাও করেন। একদিন পাহলােয়ান ইলু মিয়া এক দাওয়াতের বন্দোবস্ত করেন। সেখানকার চাপাচাপির খাওয়ার ব্যবস্থায় ইলু মিয়ার কথার প্রেক্ষিতে নজরুল বলেন: “খালি খাউকা, খালি খাউকা, আর কতাে খাইতাম বা, খাইতে খাইতে নুহেষে পেট ফাটি যাইবােগি।” একটি বিষয় এখানে উল্লেখ্য যে, সাধারণ মানুষ যে-ভাষায় কথা বলেন এবং তাদের মুখের সেই বিস্তৃত ভাষা ভঙ্গিটি কিন্তু মানভাষা বাংলা নয়। এটা আঞ্চলিকভাষা কিংবা উপ-আঞ্চলিক কথ্যভাষা। আর এই উপ-আঞ্চলিক কথ্যভাষাই প্রকৃত প্রস্তাবে আমাদের মাতৃভাষা। কারণ, আমাদের মায়েরা সাধারণত মানভাষা বাংলায় কথা বলেন না।
    No Specifications