Skip to Content
ডিজিটাল লজিক ডিজাইন

Price:

350.00 ৳


১৮৫৭ এবং তারপর
১৮৫৭ এবং তারপর
300.00 ৳
300.00 ৳
প্রাইভেট লাইফ অব দ্য মুঘলস অব ইণ্ডিয়া
প্রাইভেট লাইফ অব দ্য মুঘলস অব ইণ্ডিয়া
300.00 ৳
300.00 ৳

ডিজিটাল লজিক ডিজাইন

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/24349/image_1920?unique=06c2284

350.00 ৳ 350.0 BDT 350.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

মানবসভ্যতা একসময় ছিল প্রস্তর যুগে। তখন মানুষের সব হাতিয়ার ছিল পাথর বা কাঠের তৈরি। এর পর একে একে এলো তাম্র যুগ ও লৌহ যুগ। যখন মানুষ তামা, লোহা ইত্যাদি পদার্থ ব্যবহার করে নানবিধ হাতিয়ার ও যন্ত্রাংশ তৈরি করতে শিখল; যখন কোনো নতুন পদার্থের ব্যবহার শেখার মাধ্যমে মানবসভ্যতার যুগ পরিবর্তন হয়, তখন দেখা যায় সেই সমাজের মানুষের জীবনমানে আমূল পরিবর্তন আসে। আজ থেকে হাজার বছর পরে কোনো নৃবিজ্ঞানী যদি আমাদের এই সময়ের দিকে পেছন ফিরে তাকায়, তাহলে হয়তো এই সময়কে শ্রেণিভুক্ত করবে সিলিকন যুগে। কারণ তামা, লোহার পরে এই সিলিকন নামক অর্ধপরিবাহী পদার্থের ব্যবহার আমাদের জনজীবনকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছে। এ যুগে আমরা আকণ্ঠ ডুবে আছি ডিজিটাল প্রযুক্তিতে। প্রান্তিক চাষি থেকে সফল উদ্যোক্তা – মোবাইল ফোন ছাড়া এখন কেউ কি তার ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারবে? সরকারি দপ্তর বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান – সবাই তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনার জন্য ইমেইল, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও ক্লাউড সার্ভিস ইত্যাদি ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। এসব ডিজিটাল প্রযুক্তি, যেসব যন্ত্রাংশের ওপর নির্ভর করে বানানো, যেমন - ওয়াইফাই রাউটার, তথ্য সার্ভার, প্রোসেসর ইত্যাদির কেন্দ্রে থাকে সিলিকন মাইক্রোচিপ। এমনকি যেসব প্রযুক্তিকে ঠিক ডিজিটাল বলে মনে হয় না, যেমন - পেট্রোল বা ডিজেলচালিত গাড়ি, এগুলোও তাদের ইঞ্জিন পরিচালনার জন্য সিলিকন মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে। একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী বা ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার যখন এসব ডিজিটাল প্রযুক্তি সংস্থাপন করে করেন, তখন তাঁকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে কিছু প্রোগ্রাম লিখতে হয়, যা এসব যন্ত্রাংশের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিয়ারিং অত্যন্ত জনপ্রিয় অনুষদ। তা হবেই-বা না কেন? বর্তমান যুগে যত বেশি দক্ষ পোগ্রামার ও ইঞ্জিনিয়ার একটি দেশের কর্মক্ষেত্রে থাকবে, সে দেশ ততই এগিয়ে যাবে। তবে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানবসভ্যতার যুগ পরিবর্তিত হলেও, সেই সভ্যতার অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি জাতিগোষ্ঠী যে একইভাবে পরিবর্তিত হয়, তা কিন্তু নয়। যেমন এই বর্তমান সময়েও অ্যামাজনের গহিন অরণ্যে, কিংবা আন্দামানের সেন্টিনেল আইল্যান্ডে এমন বিচ্ছিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠী আছে, যারা আটকে আছে প্রস্তর যুগে। স্যাটেলাইট বা উড়োজাহাজ থেকে তাদের ছবি তুলে দেখা যায়, তাদের সব হাতিয়ার পাথরের বা কাঠ-খড়ের তৈরি। এরা দুর্গম অঞ্চলে থাকার কারণেই এত বছর টিকে গেছে। নইলে ইতিহাসে দেখা যায় পুরোনো যুগের সভ্যতা, তার চেয়ে নতুন যুগের সভ্যতার সংস্পর্শে এসে বিলুপ্ত হয়ে যায়। অনেকেই হয়তো এটা ভেবে কিছুটা আস্বস্ত বোধ করবেন যে, আমরা অন্তত কোনো প্রাচীন যুগে আটকে নেই। পুরোদমে প্রবেশ করেছি ডিজিটাল যুগে। কিন্তু আসলেই কি তা-ই? তাম্র, লৌহ ইত্যাদির ব্যবহার করে হাতিয়ার প্রস্তুত করা যদি সেসব যুগকে নির্ধারণ করে, তাহলে এ যুগের সিলিকন ব্যবহার করে সিলিকন মাইক্রোচিপ বা নানা রকম ডিজিটাল বর্তনী ও যন্ত্রাংশ তৈরি করা হচ্ছে সিলিকন যুগের নির্ধারক। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আমরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শিখলেও, এগুলো বানানো এখনো বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর নাগালের বাইরে রয়ে গেছে। সিলিকন মাইক্রোচিপ বানানোর কোনো কারখানা আমাদের দেশে এখনো গড়ে ওঠেনি। বড়ো আকারের ইলেকট্রনিকস উৎপাদক প্রতিষ্ঠান এ দেশে যা আছে, তারা মূলত বিভিন্ন ডিজিটাল যন্ত্রাংশ অন্য দেশ থেকে আমদানি করে এনে এ দেশের সস্তা শ্রম ব্যবহার করে অ্যাসেম্বল করে। এ অবস্থার উত্তরণ তবেই সম্ভব যদি আমরা নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি নকশা ও প্রস্তুত করতে শিখি। অর্থাৎ এ দেশে একটি দক্ষ জনশক্তি গড়ে ওঠে, যারা শুধু প্রোগ্রামিং করতেই সক্ষম নয়, যে যন্ত্র তারা প্রোগ্রাম করছে সেটা তৈরি করতেও সক্ষম। সক্ষম নতুন নতুন উদ্ভাবনে। আর এসবের প্রথম ধাপ হচ্ছে ডিজিটাল লজিক ডিজাইন দক্ষতা অর্জন, যা এই বইয়ের আলোচ্য বিষয়।

Title

ডিজিটাল লজিক ডিজাইন

Publisher

Dimik Prokashoni

Number of Pages

130

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Programming
  • First Published

    MAY 2023

    মানবসভ্যতা একসময় ছিল প্রস্তর যুগে। তখন মানুষের সব হাতিয়ার ছিল পাথর বা কাঠের তৈরি। এর পর একে একে এলো তাম্র যুগ ও লৌহ যুগ। যখন মানুষ তামা, লোহা ইত্যাদি পদার্থ ব্যবহার করে নানবিধ হাতিয়ার ও যন্ত্রাংশ তৈরি করতে শিখল; যখন কোনো নতুন পদার্থের ব্যবহার শেখার মাধ্যমে মানবসভ্যতার যুগ পরিবর্তন হয়, তখন দেখা যায় সেই সমাজের মানুষের জীবনমানে আমূল পরিবর্তন আসে। আজ থেকে হাজার বছর পরে কোনো নৃবিজ্ঞানী যদি আমাদের এই সময়ের দিকে পেছন ফিরে তাকায়, তাহলে হয়তো এই সময়কে শ্রেণিভুক্ত করবে সিলিকন যুগে। কারণ তামা, লোহার পরে এই সিলিকন নামক অর্ধপরিবাহী পদার্থের ব্যবহার আমাদের জনজীবনকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছে। এ যুগে আমরা আকণ্ঠ ডুবে আছি ডিজিটাল প্রযুক্তিতে। প্রান্তিক চাষি থেকে সফল উদ্যোক্তা – মোবাইল ফোন ছাড়া এখন কেউ কি তার ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারবে? সরকারি দপ্তর বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান – সবাই তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনার জন্য ইমেইল, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও ক্লাউড সার্ভিস ইত্যাদি ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। এসব ডিজিটাল প্রযুক্তি, যেসব যন্ত্রাংশের ওপর নির্ভর করে বানানো, যেমন - ওয়াইফাই রাউটার, তথ্য সার্ভার, প্রোসেসর ইত্যাদির কেন্দ্রে থাকে সিলিকন মাইক্রোচিপ। এমনকি যেসব প্রযুক্তিকে ঠিক ডিজিটাল বলে মনে হয় না, যেমন - পেট্রোল বা ডিজেলচালিত গাড়ি, এগুলোও তাদের ইঞ্জিন পরিচালনার জন্য সিলিকন মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে। একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী বা ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার যখন এসব ডিজিটাল প্রযুক্তি সংস্থাপন করে করেন, তখন তাঁকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে কিছু প্রোগ্রাম লিখতে হয়, যা এসব যন্ত্রাংশের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিয়ারিং অত্যন্ত জনপ্রিয় অনুষদ। তা হবেই-বা না কেন? বর্তমান যুগে যত বেশি দক্ষ পোগ্রামার ও ইঞ্জিনিয়ার একটি দেশের কর্মক্ষেত্রে থাকবে, সে দেশ ততই এগিয়ে যাবে। তবে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানবসভ্যতার যুগ পরিবর্তিত হলেও, সেই সভ্যতার অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি জাতিগোষ্ঠী যে একইভাবে পরিবর্তিত হয়, তা কিন্তু নয়। যেমন এই বর্তমান সময়েও অ্যামাজনের গহিন অরণ্যে, কিংবা আন্দামানের সেন্টিনেল আইল্যান্ডে এমন বিচ্ছিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠী আছে, যারা আটকে আছে প্রস্তর যুগে। স্যাটেলাইট বা উড়োজাহাজ থেকে তাদের ছবি তুলে দেখা যায়, তাদের সব হাতিয়ার পাথরের বা কাঠ-খড়ের তৈরি। এরা দুর্গম অঞ্চলে থাকার কারণেই এত বছর টিকে গেছে। নইলে ইতিহাসে দেখা যায় পুরোনো যুগের সভ্যতা, তার চেয়ে নতুন যুগের সভ্যতার সংস্পর্শে এসে বিলুপ্ত হয়ে যায়। অনেকেই হয়তো এটা ভেবে কিছুটা আস্বস্ত বোধ করবেন যে, আমরা অন্তত কোনো প্রাচীন যুগে আটকে নেই। পুরোদমে প্রবেশ করেছি ডিজিটাল যুগে। কিন্তু আসলেই কি তা-ই? তাম্র, লৌহ ইত্যাদির ব্যবহার করে হাতিয়ার প্রস্তুত করা যদি সেসব যুগকে নির্ধারণ করে, তাহলে এ যুগের সিলিকন ব্যবহার করে সিলিকন মাইক্রোচিপ বা নানা রকম ডিজিটাল বর্তনী ও যন্ত্রাংশ তৈরি করা হচ্ছে সিলিকন যুগের নির্ধারক। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আমরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শিখলেও, এগুলো বানানো এখনো বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর নাগালের বাইরে রয়ে গেছে। সিলিকন মাইক্রোচিপ বানানোর কোনো কারখানা আমাদের দেশে এখনো গড়ে ওঠেনি। বড়ো আকারের ইলেকট্রনিকস উৎপাদক প্রতিষ্ঠান এ দেশে যা আছে, তারা মূলত বিভিন্ন ডিজিটাল যন্ত্রাংশ অন্য দেশ থেকে আমদানি করে এনে এ দেশের সস্তা শ্রম ব্যবহার করে অ্যাসেম্বল করে। এ অবস্থার উত্তরণ তবেই সম্ভব যদি আমরা নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি নকশা ও প্রস্তুত করতে শিখি। অর্থাৎ এ দেশে একটি দক্ষ জনশক্তি গড়ে ওঠে, যারা শুধু প্রোগ্রামিং করতেই সক্ষম নয়, যে যন্ত্র তারা প্রোগ্রাম করছে সেটা তৈরি করতেও সক্ষম। সক্ষম নতুন নতুন উদ্ভাবনে। আর এসবের প্রথম ধাপ হচ্ছে ডিজিটাল লজিক ডিজাইন দক্ষতা অর্জন, যা এই বইয়ের আলোচ্য বিষয়।
    No Specifications